এটা সত্য যে,ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণগুলি অধিকাংশ সময়ই মহিলাদের সাধারণ শারীরিক সমস্যার অংশ বলেই মনে হয়। তাই,না জানা থাকলে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু,এটা যেহেতু কোন সাইলেন্ট ডিজিস না তাই লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় করা যাবে না এটাও ভুল ধারণা।
যেসব মহিলাদের ওভারিয়ান ক্যান্সার সাসপ্যাক্ট হয়েছে,তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করে এই ক্যান্সারের প্রাথমিকভাবে চার ধরনের লক্ষণের কথা জানা গেছেঃ
>> মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যাথা বা তলপেটে ব্যাথা
>> ক্ষুধামন্দা
>>ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
>>পেটের পীড়া লেগই থাকে,পেট প্রায়ই ফাঁপা থাক
এই লক্ষণগুলি ক্যান্সার ছাড়াও অন্যান্য রোগের লক্ষণও হতে পারে এমনকি ওভারি ছাড়াও অন্য কোন অঙ্গের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও এই লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে। তবে, এই লক্ষণগুলি যদি প্রতিমাসে ১২ বার বা তারচেয়ে বেশী বার দেখা যায়, তাহলে ওভারিতে সমস্যা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যায় এবং এই সময় অবশ্যই একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।তবে,কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে টানা ২ সপ্তাহ এই লক্ষণগুলি থাকলেও দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছেঃ
>>অতিরিক্ত সাদাস্রাব
>> অস্বাভাবিক হারে ওজন বৃদ্ধি বা ওজন হ্রাস
>> যৌন মিলনের সময় ব্যাথা এবং যৌন মিলনের পর রক্তপাত
>> কোষ্ঠকাঠিন্য
>>বদহজম
>>মল ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন
এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা হচ্ছে, এই লক্ষণগুলি থাকলেই যে ওভারিয়ান ক্যান্সার হয়েছে এটা বলা যাবে না। ডাক্তার যখন এই লক্ষণগুলি সম্পন্ন কোন মহিলাকে পর্যবেক্ষণ করে এর পিছনে কোন স্পষ্ট কারণ খুঁজে পায় না,তখনি ওভারিয়ায়ন ক্যান্সার হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তখন ডাক্তার পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও আরও কিছু টেস্ট করে। প্রচলিত টেস্টগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
>>আলট্রাসাউনড মেথড বা আলট্রাসনগ্রাফি
>>কম্পিউটেড টেমোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যান
>>বেরিয়াম এনেমা এক্স-রে (এটি কোলন ক্যান্সার নির্ণয়েও ব্যবহৃত হয়)
>>ম্যাগনেটিক রেজনেন্স ইমাজিং স্ক্যান বা এমআরআই
>>বুকের এক্স-রে (ক্যান্সার সেলগুলো ফুসফুসের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে কিনা সেটা দেখার জন্য এই টেস্ট)
>> পজিট্রন ইমিশন টেমোগ্রাফি স্ক্যান বা পিআইটি
এছাড়াও প্রয়োজনে লেপ্রোস্কোপি, কোলনোস্কোপি, বায়পসি সহ রক্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে ডাক্তার পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য c-125 টেস্টটি সাজেসট করে।
#ক্যান্সারকে ভয় পাবেন না। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক চিকিৎসায় প্রথম স্টেজ,দ্বিতীয় স্টেজ এমনকি তৃতীয় স্টেজের ক্যান্সারও ভালো হয়।
##আমি কোন ডাক্তার বা বিজ্ঞানী না বা এই রিলেটেড কেউ না।সাধারণ একজন মানুষ। নিজের একান্ত ব্যাক্তিগত কিউরিসিটি থেকে যা জানতে পেরেছি,তাই,লেখার চেষ্টা করলাম।আশা করি,ভুল হলে সংশোধন করে সাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন। ধন্যবাদ!