জগতে কিছু মানুষ আছে বাইরে থেকে যাদের হাসি খুশি ভাব দেখে ভেতরের কষ্ট টা বোঝা যায় না, কখনোই না।
যদি প্রকাশ্যে তাদের কয়েক টা ব্যর্থতা আপনি দেখে থাকেন, তবুও বাইরের তাদের কে আপনি দেখবেন অনেক টা শক্ত এবং অনড়!
কিন্তু আমি বলব- এদের থেকে দূর্ভাগা পৃথিবীতে খুব কমই আছে! এরা নিজেদের লুকাতে পছন্দ করে, নিজেদের কষ্টগুলো লুকাতে ভালবাসে!
ভেতরে ভেতরে অন্তর্দহনের দাবানলে গলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েও, এরা বাইরে বলতে পারে- 'হ্যা রে... তোর ইয়ের খবর কি'!
আমি জানি না পৃথিবীতে এরুপ মানুষের সংখ্যা কত, তবে ধীরে ধীরে এদের সংখ্যা বাড়ছে! একথাও ঠিক যে, জিজ্ঞেস করুন আর নাই করুন জগতের প্রায় সকলেই বলবে বাস্তবিক জীবনে তারা অসুখী, কিন্তু তাদের মাঝে আরও অসুখী হচ্ছে সেই সব মানুষ গুলো যারা নিজেদের জাহির করতে পারে না! যারা নিজেদের কষ্ট গুলো কে ছাইচাপা আগুনের মত করে মনের ভেতর পুষে পুষে বড় করে চলে!
নিজেকে ঐ প্রজাতির মাঝে ফেলব কি ফেলব না এই নিয়েই আমি ভেবে চলেছি। কেননা ভয় লাগে কি যে, পাছে পাঠক না আবার ভেবে বসে যে নিজেকে জাহির করতে কিংবা অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করতেই আমি এরুপ আত্মপ্রবন্ধ লিখতে বসেছি! গুণিজনরা নাকি একটা কথা প্রায়শই বলে থাকেন যে, 'জগতের মানুষজন নিজেদের সর্বত্র দুঃখী বলে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন'! না, আমি এরুপ নই! আমি শুধু নিজের জীবনের বাস্তবতাটাকেই এই প্রবন্ধে তুলে ধরতে চাচ্ছি।
একটা মজার বিষয় কি জানেন?
এই প্রবন্ধ টা যখন আপনি পড়ছেন, আপনি নিজের অজান্তেই কিন্তু প্রবন্ধের আলোচ্য সেই ব্যক্তিসত্বা হিসেবে নিজেকেই কল্পনা করতে শুরু করেছেন।
তাই নয় কি?