সাভার থেকে: ‘আমার পা কেটে বাহির কর, আমি আর সইতে পারি না...’ ধ্বংসস্তুপের ভেতর শোনা যাচ্ছে এক নারীর এমন আর্তনাদ। উদ্ধারকারীরা তাকে দেখছেন ভেঙ্গে পড়া দেওয়ালের ফাঁকে। কেউ হাত দিয়ে এ নারীকে উদ্ধারের আশ্বাস দিচ্ছেন। কেউ চিৎকার করে। গার্মেন্টসের এ নারী চাপা পড়ে আছেন ভেঙ্গে পড়া বিশাল এক দেয়ালের মাঝে।
বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় ধসে পড়া ভবনের পেছনের দিকে গিয়ে দেখা গেছে, এ নারীর বাম পায়ের হাটুর উপরে একটি বড় দেয়াল। ভালোভাবে মাথা উচু করতে পারছেন না কারণ আরেকটু উপরে ধসে পড়া আরেকটি দেয়াল। সারামুখ তার কংক্রিটের ধুলোয় ঢাকা। কখনো একটু উঠে বসেন। কখনো আবার শুয়ে পড়েন। এক তীব্র যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছেন এ নারী।
বেলা ৪টায় ভবনের পেছন দিকে ধসে পড়া দেয়ালের পাশে একসঙ্গে চারজন নারী মোবাইল টর্চ জ্বেলে এ প্রতিবেদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আটকে পড়া এ ৪ নারী প্রতিবেদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে ২ জন মারা গেছে, আমরা এখনো বাইচা আছি। আমাদের ৪ জনের মধ্যে ২ জনের পায়ের ভেতর দিয়ে একদিক দিয়ে রড় ঢুকে আরেক দিয়ে বাহির হইয়া গেছে।’’
আটকে পড়া অনেকেই আকুতি করে উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘আমাদের হাত পা কেটে হলেও বাহির করুন।’’
সাভার সার্কেলের এএসপি মশিউদ্দৌলা রেজা বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১টা পর্যন্ত ৭৬টি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে বেশিরভাগই নেয়া হয়েছে এনাম মেডিকেল কলেজে।
তবে উদ্ধারকাজে নিয়োজিতকর্মীরা জানিয়েছেন লাশের সংখ্যা শতাধিক।
এই ভবনের মালিককে আল্লাহ বাচিয়ে রেখেছেন কেনো ?
আল্লাহ হয়েতো ঐ বদমাইশকে গণপিটুনিতে আরো মর্মান্তিক মিত্তু দিতে চান ।
জাকিয়া আহমেদ ও আদিত্য আরাফাতবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১