কে এম মন্জুর হোসেন খান
সবুজের মাঝে জীবনের বাঁকে এসে
হঠাৎ করে যেন সময় থমকে দাঁড়ায়।
কোথাও কেউ নেই, তবু কে যেন প্রশ্ন করে-
স্মৃতিরা কি কভু ঝরে যায়!
হাজার কন্ঠে চিৎকার করে, তখন
বলতে ইচ্ছে করে-
‘না ওরা ঝরে যায় না’, কিন্তু
কে যেন তখন কন্ঠ চেপে ধরে।
তখন নিজেকে নিজেই শুধাই-
স্মৃতিরা কি তবে সত্যিই ঝরে যায়?
নাকি চেপে থাকে হৃদয় গহিণের
কোন এক অচিন অজানায়!
ভোরের ঘুম ভাঙ্গানি পাখির ডাকে,
বাতাসের স্নিগ্ধ কোমল ছোঁয়ায়,
যখন ফুলেরা সৌরভ মেলে ধরে,
সূর্যি মামা আড়মোড়া ভেঙ্গে তাকায়,
শুরু হয় একটি নতুন দিন-
একটি নতুন মালা গাঁথায়।
শুরু হয় একটি নতুন গল্প-
প্রেম-বিরহ, আশা-নিরাশা অথবা কল্পনায়।
কেউ বলে যায়-
কেউ শুনে যায়।
কেউ লিখে যায়-
কেউ দেখে যায়।
কেউ নিরবে ভালোবেসে যায়-
কেউ বুঝে অথবা না বুঝেই চলে যায়।
কেউ ধরে রাখে স্মৃতি,
ছোট ছোট কিছু ঘটনার মাঝে।
কেউ নিজের মত করেই চলে,
হাসি, আনন্দ আর অতীতের ধাঁচে।
অবশেষে ক্লান্ত পাখিরা যখন নীড়ে ফেরে
বাতাস ধীরে ধীরে নির্জিব হয়ে আসে,
ফুলেরা যায় শুকিয়ে।
সূর্যি মামা চলে যায় ঘুম পাড়ানির দেশে।
ঠিক তেমনি করে-
স্মৃতিরাও কি নির্জিব হয়ে পড়ে?
হয়তো এটাই ঠিক।
তবে ওরা ঝরে যায় না নিশ্চয়।
স্মৃতি, আজীবন তুমি এমনি করেই থেকো।
জানি, কখনও তুমি মোর প্রীতি হবে না।
হবে না মোর গলার মালা।
তবে হয়ে থেকো মোর হৃদয়ের অন্তঃস্থলে-
গোধূলী কালের আশার ভোলা।
আমার পূর্বের কবিতা “হারায়ে খুঁজি”
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১