বাংলাদেশে আইএস তৎপরতার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতই বেশি উদ্বিগ্ন যে, সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) জন কেরি সরাসরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে তাদের দূতাবাসের সাবেক একজন কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ঢাকায় নিজ বাসভবনে অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। জন কেরি শুধু ফোনই করেননি, সে দেশের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালকে দ্রুত ঢাকায় পাঠান এবং তিনি ঢাকা পৌঁছেই বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন। এর আগে আরো বেশ কয়টি হত্যাকা- দেশে সংঘটিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, মসজিদের মোয়াজ্জিন, মন্দিরের পুরোহিতকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা প্রক্রিয়ার ধরন প্রায় একই রকম। একটা বিশেষ স্থানে (ঘাড়ে) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাড়া আর কোথাও বড় মাপের কোনো প্রতিবাদ সভা হয়েছে বলে মনে হয় না। আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত বাহিনীর ওপরও আক্রমণ করা হয়েছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার ঘটক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তথাকথিত আইএসকে। কেননা আইএস ঘটনা ঘটার পরপরই হত্যাকা-ের দায় দায়িত্ব স্বীকার করে ইন্টারনেটে প্রচার চালাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার প্রথম থেকেই বলে আসছেন বাংলাদেশে সরাসরি কোনো জঙ্গি স্থাপনা নেই বা কোনো আইএস জঙ্গি এখানে তৎপরতা চালাচ্ছে না। বাংলাদেশের সরকারের মতে অভ্যন্তরীণ সৃষ্ট জঙ্গিরাই এসব হত্যাকা- সম্পন্ন করে আইএসের নাম ব্যবহার করে আইএসের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে চায়। উদ্দেশ্য একটাই_ আইএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এটা প্রমাণ করতে পারলেই তাদের কর্মকা-ের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টি তাদের আকর্ষণে সক্ষম হবে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গিচক্র কর্মকা-ের সফলতা দেখে তাদের জঙ্গি তৎপরতায় সহযোগী ও সংশ্লিষ্ট হবে। বিশ্বের যেসব দেশে জঙ্গি তৎপরতা চলছে বিশেষ করে উগ্র মুসলিম জঙ্গিবাদী তৎপরতা যেমন_ সিরিয়া, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, ইরাক প্রভৃতি তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারলে বাংলাদেশকেও তারা অনুরূপভাবে একটা সংঘর্ষময় এলাকা বলে প্রমাণ করে সরকার উৎখাতের তৎপরতা আরো শক্তিশালী করতে পারবে। এটা তো সত্য, বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ধর্মীয় জঙ্গিবাদী তৎপরতা চলে আসছে। ১৯৭১ সালে জামায়াত-শিবির জঙ্গিবাদীচক্র মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ও ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যার মাধ্যমে যে নিষ্ঠুরতা ও জঙ্গিবাদী তৎপরতা শুরু করেছিল, তা আজো অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে '৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলে তাদের জঙ্গিবাদী তৎপরতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জামায়াত-শিবিরচক্র বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়েছিল এবং তৎকালীন মূল বিরোধী দল বিএনপি তাদের জঙ্গিবাদী তৎপরতার সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে, তাতে প্রমাণ হয় রাজনৈতিক দর্শন হিসেবে জামায়াত-শিবিরচক্র ও তাদের সহযোগী বিএনপি জঙ্গিবাদী তৎপরতা থেকে এক বিন্দু সরে আসেননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে ও পরে অংশগ্রহণ না করে যে ভয়াবহ সহিংসতাময় পরিস্থিতি বিএনপি ও জামায়াত-শিবির সৃষ্টি করেছিল এবং যাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের কথা বলা হয়েছিল, তার স্বরূপ আজ জনগণের কাছে ধরা পড়েছে। একথা সত্য_ বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীচক্রের জঙ্গিবাদী তৎপরতায় সর্বাত্মক সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ এত মাথাচাড়া দিয়ে উঠত না। বিএনপি তো ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলা ভাইয়ের সংগঠন জেএমবিকে জঙ্গিবাদী তৎপরতার জন্য আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। সেদিন তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদী কর্মকা- নেই। যা বলা হচ্ছে এটা মিডিয়ার সৃষ্টি। দেশের ৪৫৫টি স্থানে একসঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, আদালতে ঢুকে বিচারককে হত্যা করে, বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবীদের হত্যা এসব তো বিএনপি শাসনামলে সংঘটিত হয়েছে। নির্বাচন নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতা দখল প্রক্রিয়ায় প্রকাশ্যে বিশ্বাসী বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে। জামায়াতের সেই ঘোষণাকে বিএনপি কাঁধে নিয়ে হাস্যস্পদ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে প্রচার করেছে, তা জনগণের কাছে সম্পূর্ণরূপে ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রশাসন ও দেশের বাস্তবতা সম্পর্কে বিশ্বের যে কোনো রাষ্ট্রনায়কের চেয়ে বেশি খোঁজ-খবর রাখেন। তিনি প্রথম থেকেই বলে আসছেন এ দেশে কোনো জঙ্গিবাদী তৎপরতা নেই। যা চলছে তা যড়সব মৎড়ঃিয দেখে-শুনে মনে হয় আন্তর্জাতিক একটা চক্র বাংলাদেশের জঙ্গিবাদে আইএসের সংশ্লিষ্টতা আছে এটা প্রমাণ করতে চায়। প্যারিসে জঙ্গিবাদী তৎপরতায় নৃশংসভাবে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হলেও তারা জোর কোনো বিবৃতি বা প্রতিবাদ জানান না। অথচ বাংলাদেশের মসজিদে একজন মোয়াজ্জিন, মন্দিরে একজন পুরোহিত নিহত হলে তারা সব গেল বলে চিৎকার শুরু করেন। জঙ্গিবাদের দায় বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপাতে চান। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় তারা তো কম প্রচেষ্টা চালাননি। আফগানিস্তানের জঙ্গিবাদের অবস্থা কী? জঙ্গিবাদ দমন করতে গিয়ে সেখানে তারা হাসপাতালে ড্রোন হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েও সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। প্রতিদিন রক্ত ঝরছে, প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও স্বৈরাচারী শাসক সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইরাকে সামরিক অভিযান চালিয়ে এবং সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা করে আজো ইরাকে শান্তি আসেনি। প্রতিদিন প্রাণ ঝরছে, শত শত জীবন বিনষ্ট হচ্ছে। শিয়া-সুনি্ন বিরোধ এখনো অব্যাহত আছে। সিরিয়ার অবস্থাও ভয়াবহ। বিশ্ব নেতাদের ভাবিয়ে তুলেছে। সেখানেও প্রতিদিন প্রাণ ঝরছে, শত শত নিরীহ মানুষের জীবন যাচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে উদ্বাস্তু হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান নিচ্ছে। সেখানে যুদ্ধবিরোধী চুক্তি হলেও তেমন কার্যকর নেই। বিশ্বের পরাশক্তিগুলো সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। আইএসকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আল-কায়দা কেন শক্তিশালী হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্মিলিতভাবে আলেপ্পোতে যুদ্ধবিরতি সফলতা হচ্ছে না কেন। অনেক সাহায্য-সহযোগিতা করা সত্ত্বেও সোমালিয়া ও নাইজেরিয়ায় জঙ্গিবাদ কবলিত দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন। যারা বাংলাদেশে কোনো কিছু ঘটলেই জঙ্গিবাদ দমনে সাহায্য-সহযোগিতা দিতে এগিয়ে আসতে চায়, তারা বিশ্ব জঙ্গি দমনে ও সন্ত্রাস নির্মূলে কতটুকু সফল হয়েছেন। শুধু যুদ্ধ করে যে ও সামরিক অভিযান চালিয়ে জোরপূর্বকভাবে ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এই উপলব্ধি স্তরে তারা কি এখনো পৌঁছাতে পেরেছে।
বাংলাদেশ একটা মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। এখানে ৯০% জনগণ মুসলমান। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এখানে ধর্মীয় উগ্রবাদ সক্রিয় রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সংঘাত অনিবার্য হয়েছিল সেই জন্যই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেখানে দুটি পক্ষ একদিকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী শক্তি, অন্যদিকে ধর্মান্ধ, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদীগোষ্ঠী। '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের কারণেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতার পর প্রায় সাড়ে তিন বছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হয়। '৭৫-এর প্রতিবিপ্লবের পর একজন স্বৈরশাসক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তার ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবিরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসন করেন। সেই থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারার বিপরীতে চলতে থাকে। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মন্ত্রী বানিয়ে ও গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দ- কার্যকরের মাধ্যমে জাতি আজ অভিশাপমুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রম ও যুক্তিবাদী রাজনীতির কারণে দেশ এখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির আওতায়। এ দেশে যারা মূলত জঙ্গিবাদী_ তারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের শত্রু। প্রায় ১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে ও ব্যাপক উন্নয়ন কারণেই দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞ জঙ্গিরা মেনে নিতে পারছে না। তারা তো স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয় এই কারণেই তাদের গাত্রদাহ। এজন্যই ওরা নৃশংস হত্যাকা- চালাচ্ছে। মূল দল তো একটাই। বিভিন্ন সময়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই বিভিন্ন নামে তারা আবির্ভূত হচ্ছেন।
১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক যে চক্র পাকিস্তান ভাঙার বিরোধিতা করে হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা এখনো তাদের পরাজয়ের গ্লানি ভুলে যাননি। ভুলে যাননি বলেই তারা '৭৫-এর প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও সরকার উৎখাত করা, জেলহত্যা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা এবং একের পর এক জঙ্গিবাদী কর্মকা- চালাচ্ছেন। '৭১-এর আন্তর্জাতিক দোসররা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার যে অপচেষ্টা স্বাধীনতাবিরোধীচক্র সংঘটিত করেছিল এবং সেই ধারায় তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ও সিরিয়ার মতো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত আছে কিনা। বাংলাদেশকে দিয়ে আইএসের উপস্থিতি স্বীকার করে নিতে পারলে তাদের ষড়যন্ত্রের বিস্তৃতি করার পথ সুপ্রশস্ত হবে। এজন্যই এত চাপ।
বাংলাদেশের বিজ্ঞ, বিচক্ষণ, সুকৌশলী, সাহসী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সঠিকভাবেই বলেছেন, সহযোগিতার প্রকৃতি কী ধরনের এবং কিভাবে কতটুকু করতে হবে। তার আগে ফাঁসির আসামি খুনিদের বাঁচাতে পারলে বিশ্বের অন্যতম গণতান্ত্রিক শক্তিধর রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি যারা পরিচালনা করছেন, তারা কি এতই বোকা। এখানে আইএস আছে কিনা তা জানেন না। তারা ভালো করেই জানেন বর্তমান জঙ্গিবাদী তৎপরতা যা স্থানীয় জঙ্গিবাদ দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। এর সঙ্গে আইএসের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের ব্যর্থ প্রয়াস চলছে মাত্র। এ বিষয়ে কোনো দেশ যদি সহযোগিতা দিতে আগ্রহী হয়, সেই সহযোগিতার প্রকৃতি অনুধাবন করে বাংলাদেশ তা মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করবে না। বরং সহযোগিতার বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় না হয়ে যদি ভারত বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদ দমনে তৎপর হয়, তবে ব্যাপারটা সহজতর হবে। কেননা এ অঞ্চলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে ভারত ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বেশ কার্যকর হবে জঙ্গি দমনে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বরাবরই বলে আসছেন বাংলাদেশে সাম্প্র্রতিক তথাকথিত আইএসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাংলাদেশ নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত এ দেশের জনগণ প্রতিহত করবে। দেশি-বিদেশি কোনো চক্রান্তই এ ক্ষেত্রে সফল হবে না। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন সাধন এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার অবশ্যই বিজয়ী হবে।
ডা. এসএ মালেক: রাজনীতিক ও কলাম লেখক
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫