সীমান্তে চাষাবাদের সময় কিংবা সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হত্যাকাণ্ড ঘটলেও প্রতিটি ক্ষেত্রে গরু পাচারের সময় নিহত হয়েছে বলে প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে। বিএসএফ’র নির্যাতনে নিহত শাহজাহান আলী বিধবা মায়ের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অন্যের জমিতে বর্গাচাষ করে তাদের সংসার চলত। গত বছর শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তেই গুলি করে অথবা নির্যাতনের মাধ্যমে ১৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করে বিএসএফ। আহত করে ১১ বাংলাদেশীকে। আর চলতি মাসের ১৬ দিনে বিএসএফ’র হাতে মারা গেছেন চারজন বাংলাদেশী নাগরিক। ৭ জানুয়ারি কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রমের সময় গুলি করা হয় ফেলানী নামে এক কিশোরীকে। ৮ জানুয়ারি রাজশাহীর খানপুর সীমান্তে সিরাজুল ও জাইজুদ্দিন নামে দুই বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়।
'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' সহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব হত্যাকাণ্ড এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার দায়ে বিএসএফ সদস্যদের বিচারের দাবি করা হলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাতে মোটেই কর্ণপাত করছে না। অন্য দিকে বিজিবি’র পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলেও অনেক ক্ষেত্রে পতাকা বৈঠকে বসতে রাজি হয় না ভারত। লাশ হস্তান্তরেও বিলম্ব ঘটানো হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৩