==> বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়া আমাদের দেশে বাতিক উঠে / ঘটনা নিয়ে রটনা হয় । বেশ রসবোধের সাথে সেইসব বাতিক/ ঘটনা- রটনা দেশের সকল মানুষই আবার বেশ রসালো করে তোলে । পূর্বের + বর্তমানের কিছু বিষয়ে শোনা এবং দেখা কিছু বাতিকের উদাহরন ঃ-
বহু বছর পূর্বে ,আমাদের দেশে মানুষ পুলিশের নাম শুনলেই ভয়ে পালাইত । বেশ সম্মান সহ বেশ উপরি টাকা আমদানির চাকরি মনে করা হত এটাকে । কারো মেয়ের জামাই অথবা গোষ্ঠীতে একটা পুলিশ মামা-চাচা অথবা দূরসম্পর্কের আত্মীয় থাকলে তার ভাবই ছিল আলাদা । কথায় কথায় মানুষের ডায়ালগ ছিল _ ' মাছের রাজা ইলিশ , জামাই'র রাজা পুলিশ ' ।
কিন্তু এর কিছুকাল পর যখন দুর্নীতিগ্রস্থ এবং সল্প ক্ষমতার কাঠের বন্দুক ওয়ালা পুলিশদের ছাপিয়ে নতুন একটা রক্ষীবাহিনী'র নাম বাংলার আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল তা হল টপ টু বোটম কালো পোশাকধারী কালো চশমা পরিধান করা র্যাব , সাধারন লোকদের পুলিশের ঘুষের পোটলা , ঠোলা আরও নানা কিসিমের শ্রাব্য-অশ্রাব্য ভাষার পরিচিতি ভুলে নতুন বাহিনিকে স্বাগত জানাতে এক্কেবারে গদ্গদ অবস্থা । পূর্ণ নতুন উদ্যমে তাদের প্রচারনায় চলতে থাকল সকলের কাছে । জনমনে র্যাবম্যানিয়া তাদের পুরানো সেই ডায়ালগ ভুলিয়ে দিয়ে নতুন ডায়ালগের সূচনা করলো _'মাথায় কালো ক্যাপ , জামাই'র রাজা র্যাব ' । ক্রস ফায়ার ের আতঙ্ক যদিও এখন বন্দুকযুদ্ধ খেতাব পাইছে তবুও এই কালোবাহিনির প্রতি ভয় কিন্তু আগের চেয়ে কোন অংশেই কমে নাই বাড়া বেতিরেকে ।
কিছুকাল পূর্বে বাংলাদেশের সিম বাজারে সরকারীভাবে টেলিটক সিম আসছিলো রাজ্যের যত সুযোগ সুবিধার প্রতিশ্রুতি নিয়া । এর জন্য বিশা.........ল লাইন লাগছিলো । মানুষের বাতিকে মনে হইতেছিল একটা টেলিটক সিম যেন একটা সোনার হরিন । যাদের ভাগ্য লেগে গেছিল ওই সময় এ তারা নাকি একেকজন বড়সড় অফার পাইতেছিল নানাজনের কাছ থেকে ,যেন এই সোনার হরিন খানা তাদের নিকট ট্রান্সফার করে । রম্য ম্যাগাজিনের আলোচ্য বিষয় হল এটি । জামাই'র নাকি মেয়েপক্ষের কাছে চাওয়ার কিছু নাই খালি একটা টেলিটক সিম দিলেই চলব '
ঐশীর ঘটনাটার পর যেইখানে সেইখানে মেয়েদের নিয়া কথা উঠলেই এক কথা বইলা থামাইয়া দেয় মেয়েরা কি না করতে পারে! সেইদিন ক্লাসের পর দুইজন র্যাব সহপাঠীদের সাথে কথা বলতেছিলেন । আলোচনায় শুনলাম মেয়েদের কে উদ্দেশ্য কইরা দাঁত কেলিয়ে বলতেছে মেয়েদের দেখলেই নাকি ডর লাগে । জিজ্ঞাসিলে ক্যান ? উত্তর দিল _ ঐশী কি ঘটনা টা ঘটাইল দেখলেন না !বুঝলাম ঐশী- বাতিকে আক্রান্ত ওনারাও । সেইদিন এক খবর পরলাম ঐশী নামে এক মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করছে । নাম ঐশী দেইখা নাকি সবাই খেপাইত তাই । ( সত্যতা জানিনা ) ।
নতুন করে বেশকিছুদিন ধরে খবরের পাতা , রম্য ম্যাগাজিনের পাতা, ব্লগের পাতা এমনকি মুখবই এর পাতাতে যেইখানে দেখি সেইখানেই পিঁয়াজ নিয়া লেখালেখি দেখতেছি । বিভিন্ন গ্রুপ ,পেজ অথবা লোকজন নিজের মুখবই এর দেয়ালে বর্তমানে পিঁয়াজ নিয়া বেশ হাস্যরসাত্মক পোস্ট দিতেছে । যেইখানে , খাবারের সামনে পেঁয়াজ রেখে তার স্বাদ মনে মনে আস্বাদন , কারো বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুমিছুর বদলে পেঁয়াজ নেওয়া , বউ কে উপহার হিসেবে হীরার নেকলেস এর পরিবর্তে পিয়াজের নেকলেস দিতে উৎসাহ , গিন্নীর পিয়াজ কাটতে চোখের জল আর কর্তার পিয়াজ কিনতে চোখের জল এইসকল বিষয় গুলি বেশ সাবলীল ভাবে চোখে পড়তেছে ।আসল কারন ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় নাকি এই অবস্থা ।
এই বাতিক ও আশা করি কেটে যাবে । শুধু মনে ভাবি__ বাতিক হউক ার যাই হউক , যেইহারে পেঁয়াজের ঝাঁজে মানুষের চোখের জল ঝরতেছে , আগস্ট শেষ না হইতেই বুঝি এক নতুন ' পেঁয়াজ শোক' শুরু হইলো বাংলার ঘরে ঘরে । ^j^