চরমুনাই’র পীর সাহেব সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে জামাত শিবির কোন ইসলামী দল নয়।এই দেশের ‘তৌহিদি জনতা’ জামাতের বিচার চায়! বরিশালে জামাত শিবিরের হরতাল হবেনা!
খেলাফত মজলিসের ভাষ্য ‘আমরা জামাতকে এতোটুকু ঘৃণা করি যা আওয়ামী লীগও করেনা’!
আজ সারা বাংলার মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন জামাত শিবিরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করনের ঘোষণা আসবে!
কিন্তু তরুণ প্রজন্ম জানে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের কৌশল! তারা প্রায় আম জনতার সামনে মূলা ঝুলিয়ে ঘুরাতে থাকে তাদের বিকৃত রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণ হওয়া পর্যন্ত আর আজ তরুণ প্রজন্ম বলতে শুরু করেছে ওয়াক থুঃ মুলায় গন্ধ! কাল হয়তো বলবে এক মূলা কতদিন?
কারন তরুণ প্রজন্ম মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বকে ঘৃণা করেন!
তরুণ প্রজন্ম ভাবছে জামাতকে ব্যান করার পর জামাত শিবিরের কর্মী সমর্থকরা নতুন বোতলে পুরনো মদকে ফিরিয়ে আনতে কি কি কৌশল নিবে, সেই সব ফাঁক ফোঁকর গুলো আসুন খুজি?
১।
নতুন নামে আরেকটি দল শুরু করবে যেই দলে অমুসলিমদেরও রাখা হতে পারে, বাঙ্গালিকে আরেকবার এক হাত দেখে নেয়ার খাহেশে!
২।
পুরনো ছোট দলে ভীর জমাবে।
৩।
ব্যাশবুসা পালটে বিএনপি ছাত্র দল সহ অন্যান্ন দলে ভিরবে এমন কি সিপিবিতেও হতে পারে।
৪।
মিঃ মৌদুদি ও হাসান আল বান্নাকে মাথায় রেখে নিজেদের বিলিন হওয়াকে রুখতে চেষ্টা নিবে, ফেসবুকে হিন্দু নামের আড়ালে নিজেদের মাঝে যোগাযোগ রাখবে এবং সেকুলার শব্দগুলকে কোড হিসেবে ব্যাবহার করবে।
৫।
ফুলকুরি সাইমুম ফোকাস রেতিনা সহ অন্যান্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের আকিকা উৎসব শুরু করবে প্রয়োজনে লোক দেখানো বিলোপ করবে।
৬।
নতুন নামের প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়ে ছাত্র দল ও ছাত্র লীগের হালুয়া রুটির ভাগ নেয়াদের সামনে রাখবে।
৭।
বিভিন্য দলে প্রবেশ করে ও দলের অভ্যান্তরে পেইড এজেন্ট নিয়োগ করে দলে উপ দল তৈরি করে নিজেদের শক্তিশালী করবে।
৮।
জামাত এমিরিকার পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত জিগরি দোস্ত তাই আজকের শিবিরকে অনেক স্মার্ট হিসেবে গড়া হয়েছে তাই তারা প্রবেশবাদ (এন্ট্রিইজম) ও দিভাইদ এন্ড রুল এ অতি দক্ষ।
৯।
জামাত শিবিরের প্রতিশোধ পরায়ণ ও যুদ্ধংদেহী কেউ কেউ হরকাতুল জিহাদ জেএমবি এমন কি বাম চরমপন্থীদের ব্যানারে চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে পারে।
১০।
জামাত শিবিরের হাতে রয়েছে অনেকগুলো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এই গুলোকে ওরা অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করার কৌশলও নিতে পারে।
তাই ২০১৩ সাল পর্যন্ত যত জামাত শিবিরের কর্মী তৈরি হয়েছে তাদের সবার ডাটাব্যাজ তৈরি করতে হবে এবং তারা কোন কোন প্রতিষ্ঠানে (ব্যাংক বীমা হাসপাতাল পরিবহন প্রেস ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে স্কুল কলেজ কোচিং সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষক হিসেবে) সংখ্যায় বেশি তা সনাক্ত করতে হবে।
বাস্তবতা হচ্ছে আজ যদি জামাত শিবিরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ করা হয় তবেঁ সামাজিক ভাবে ওদের নির্মূল করতে এক থেকে দুই যুগ লাগবে!
সামাজিক ভাবে নির্মূল কিভাবে হবে?
আসলে সামাজিক ভাবে কথাটার আগে বলা উচিত ধর্মীয়ভাবে কারন আমাদের মাননীয় আলেম সমাজের কাছে মৌদুদি জামাত শিবির অভিশপ্ত!
আর বলা বাহুল্য আলেম সমাজই গ্রাম বাংলার তৃণমূলে ছড়িয়ে রয়েছেন।
তারাই আমাদের শেষ ভরসা।
তাছাড়া ওরা ওদের হাতে থাকা র্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এই গুলোকে ওরা অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করতে না পারে তার ব্যাপারে সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদি কৌশল নিতে হবে।
তাই সমাজ ও রাষ্ট্রীয় উভয়ভাবে তাদের রুখতে হবে আর আলেম সমাজ ও তৌহিদি জনতার সহযোগিতায় তা সম্ভব প্রতীয়মান হয়।