somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তরুণ প্রজন্ম প্রতারিত ও ব্যাবহার হতে চায়না কারন তারা মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বকে ঘৃণা করে!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘বিএনপি যদি ক্ষমতায় তরুণ প্রজন্মের সমর্থনে যেতে চায় তাহলে তাকে প্রজন্ম চত্বরের চেতনা মেনে যেতে হবে’
এই কথা শুনে অনেকেই বলবে প্রজন্ম চত্বরের চেতনা তো আওয়ামী লীগ ছিনতাই করে নিয়েছে এর উত্তর হল এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই কেননা যখন কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা হল তখন ব্লগে ও ফেসবুকে রটে গেল যে ‘আওয়ামী লীগ ও জামাতে ইসলামীর মাঝে সমাজতা হয়েছে যে জামাত যদি বিএনপির সাথে জোট না রাখে তবেই আওয়ামী লীগ জামাতের অনুকূলে যাবে’ তারপর অল্প কিছু ব্লগার দেশপ্রেমে উদবুদ্ধ হয়ে শাহবাগ যাদুঘরের সামনে সমবেত হল প্রতিবাদে! তারপর থেকে ইতিহাস ‘প্রজন্ম চত্বরের’!

আওয়ামী লীগের পলিসি ম্যাকাররা সম্ভবত সুপার সনিক গতিতে চলে তাই তারা প্রথমেই এমন একটি অবস্থানে চলে গেল যাতে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল যে আওয়ামী লীগ বলতে চাইছে এই দেশ তরুণ প্রজন্মের আমরা তার খাদেম মাত্র

কিন্তু একি সময়ে বিএনপিকে মনে হচ্ছিল কিংকর্তব্যবিমূঢ়্য তারা এই তরুণদের সাথে আছে আবার ‘মোবাইল ফোন কোম্পানিদের মত শর্ত প্রযোজ্য ভ্যাট প্রযোজ্য’ বলে বলছে আওয়ামী লীগ প্রজন্ম চত্বরের দেশপ্রেম মূলক দাবী গুলোকে ‘অনুকূলকরন’ করছে কিন্তু এখানে কিছু প্রশ্ন উঠে! প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনে কারা অংশগ্রহণ করেছিল, তারা কি চাইছিল, কিভাবে তারা পেতে চাইছিল?
প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনে কারা অংশগ্রহণ করেছিল?

ওরা যারা তরুণ। এই তরুণ গুলো কারা? ওরা যারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অদ্ধ্যায়ন করছে! আমরা ভিবিন্য আন্দোলনে সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দেখি কিন্তু বেসরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দেখিনা কারন বেসরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হল ওরা যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ে রাজনৈতিক বিড়ম্বনায় পরতে চায়না কিন্তু এবার দেখা গেল যে ছাত্র সমাজের সবায় সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এমনকি হাই স্কুলের ছেলে মেয়ে সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রিরা বাবা মার হাত ধরে শাহবাগ চত্বরকে প্রজন্ম চত্বরে পরিণত করলো!

তারা চাইছিল রাজাকারের ফাঁসি ততপরবর্তীতে রাজাকারির সাথে জড়িত রাজনৈতিক প্রতিস্থানের নিষিদ্ধতা!
কিভাবে তারা পেতে চাইছিল? এই প্রজন্ম চত্বরে সমবেত যারা হয়েছিল যারা তারা নিজেদের দাবী শুনাতে এসেছিল রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিজ্ঞদের! রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিজ্ঞরা কিভাবে শুনতে পারতেন?
দাবী যখন শুরু হল তখন ফেব্রুয়ারি মাস (এখনো ফেব্রুয়ারি চলছে তবেঁ তা বড় কথা নয়) এই সরকার এই মেয়াদে আর মাত্র ১০ মাস আছে তাই বিএনপি যদি এই রকম ভাবে প্রজন্ম চত্বরে আসতে পারতো, তারা আসতো এবং বলতো প্রজন্মকেঃ

১।
জামাত শিবিরের সাথে আমাদের ঐক্য রাজনৈতিক এমন ঐক্য আওয়ামী লীগও করেছে, এটা নীতিগত আপোষ রফা নয় কিন্তু এখন যেহেতু নতুন প্রজন্ম চাইছেনা তাই আমরা ওয়াদা করছি জামাত শিবিরের সাথে আর নয় এবং অন্য কেউ ওদের সাথে থাকতে চাইলে বা কোন অপসুযোগ নিলে আমরা ছাড় দিবনা তাদের। ২।
রাজাকারদের গন হত্যার প্রমানে শাস্তি যাতে ফাঁসি হয় তা নিশ্চিত করা
৩।
জামাত শিবিরের রাজনীতি আইন করে, সামাজিক ভাবে নিষিদ্ধ ও বয়কট করা হবে।

৪।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত দুর্নীতি হয়েছে তার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি ও তাদের রাজনৈতিক অধিকার বিলোপ। এইরকম ভাবে তারা আসলে অনেক বেশি বাস্তববাদিতার ও কৌশলী হিসেবে তরুণ প্রজন্মের সামনে তারা হাই লাইতেদ হতে পারতেন এতে ২০১৪ এর নির্বাচনের আগেই তারা কোন রকম জোট গঠন ছাড়ায় তারা নিজেদের তরুণ প্রজন্মের দল হিসেবে রিনিউ নবায়ন রিফ্রেশ করে নিতে পারতেন।
৫।
নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিপাট ভদ্রলোক দক্ষ ও সৎ লোক মনোনীত করতে হবে। সন্ত্রাসী, যারা ব্যাবসার জন্য রাজনীতি করে ও দুরনিতিবাজ তাদেরকে ছুড়ে দিতে হবে! আর আওয়ামী লীগ যদি প্রজন্ম চত্বরের দাবীকে মেনে নিয়ে কাজ করতে চায় তাহলে বলতে হয়ঃ

১।
হাতে আছে ১০মাস অতিমানবিক গতিতে তরুণদের জন্য তরুণদের দেশমাতৃকার জন্য কাজ কাজ করতে থাকুন
২।
জামাত শিবিরের রাজনীতি আইন করে, সামাজিক ভাবে নিষিদ্ধ ও বয়কট করতে হবে
৩।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত দুর্নীতি হয়েছে তার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি ও তাদের রাজনৈতিক অধিকার বিলোপ।
৪।
নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিপাট ভদ্রলোক দক্ষ ও সৎ লোক মনোনীত করতে হবে। সন্ত্রাসী, যারা ব্যাবসার জন্য রাজনীতি করে ও দুরনিতিবাজ তাদেরকে ছুড়ে দিতে হবে! এই দাবী গুলো যদি কেউ পূরণ করতে পারে তবেই সে তরুণ প্রজন্মের দল। আর যে এইখানে সুযোগ খুজবে বা সুযোগ না পেয়ে বিষদগার করবে তাদেরকে তরুণ প্রজন্ম নিজেরা প্রতারিত হয়ে চিনে নিবে! আর তরুণ প্রজন্ম প্রতারিত ও ব্যাবহার হতে চায়না কারন তারা মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বকে ঘৃণা করে! তরুণ প্রজন্মের চোখ বাধা নেই তারা দেখছে, তরুণ প্রজন্ম স্বাধীন মনস্তাত্ত্বিক দাসত্ব থেকে। তরুণ প্রজন্ম দাবী থেকে সরে যায়নি, যাবেনা! তাদের উঠে দাড়াতে না দিলে তারাও, কাউকে উঠে দাড়াতে দিবেনা!
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×