ফেইসবুক ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নিশ্চয়ই এতক্ষনে গুলশান হামলায় জঙ্গীদের পরিচয় জেনেছেন, তাই না? আমি যে সকল তথ্য পড়েছি তা নিচে তুলে ধরলাম।
১। মির সামিথ মুবাশ্শির। স্কলাস্টিকা স্কুলের ছাত্র। ও লেভেল সম্পন্ন করেছে গত বছর। ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা যুব ও ক্রিড়া সেক্রেটারি ইমতিয়াজ খান বাবুলের পুত্র। সে গত মার্চ থেকে সে নিঁখোজ ছিলো।
২।নিরবাশ ইসলাম। - নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলো।
৩। আন্দালিব আহামদ। - আধুনিক লেখাপড়া জানা ধনী পরিবারের সন্তান।
৪। রাইয়ান মিনহায। -ঢাকাতেই বড় হওয়া আধুনিক পাঙ্কুবাজ ছেলে।
৫ম জন মডার্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের এডুকেটেড ছেলে, নাম জানা যায় নাই।
আমার মন্তব্যঃ
============
প্রায় সকল জঙ্গীর ফেসবুক আইডি দেখলে বুঝা যায় যে, এরা কেউ প্রাক্টসিং মুসলমান ছিলো না। মডার্ন তথা আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ ছিলো তারা। এমনকি নায়ক, নায়িকা ও বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সেলফিও পাওয়া গিয়েছে তাদের আইডিতে।
মুখে দাড়ি নাই, জীবন যাপনে ইসলাম নাই, পবিত্র রামাদান মাসে এশার সালাত পড়ে নই, তারবীহ পড়ে নাই, ফজরের সালাতের কোন খবর নাই, তারপরও তারা নাকি মুসলিম! ‘আল্লাহু আকবার’ বলল আর মুসলিম হয়ে গেল?
অবাক!
মুসলীম দাবী করা এত সহজ ?
১। জঙ্গী প্রজনন কেন্দ্র চেইঞ্জ হইয়া গেলো নাকি?দেশের সুশীল সমাজ আজ কৈ? নর্থ সাউথ, স্কলাস্টিকা কোন মাদ্রাসার নাম নয়। গরীব কেউ এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারে কাছেও যেতে পারে না।
২। মাদ্রাসার ছাত্রদের আজ বড়ই লজ্জার দিন। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পোলাপাইন তাদের ডিংগিয়ে এগিয়ে চলেছে 3G গতিতে। ব্যবসা বানিজ্যে চাকুরীতে মাদ্রাসার ছাত্রদের থেকে তারা তো এগিয়ে আছেই বরং এবার আল্লাহর রাস্তায়(!)ও তারা মাদ্রাসার ছাত্রদের চাইতে এগিয়ে গেলো। হাসতে হাসতে নিজের জান বিলিয়ে দিলো, গলা কেটে খুন করলো ২০ জন কুফ্ফারদের। আর কি চাই?
৩। বাংলাদেশের বিশিষ্ট এক পাগল আছেন যার নাম শাহরিয়ার কবির। বাংলাদেশে যে কোন ঘটনা ঘটার ২/১ ঘন্টা মধ্যেই যিনি বানী প্রসব করেন যে এই ঘটনার জন্য মাদ্রাসার জঙ্গি তথা জামায়াত-শিবির জড়িত। যার প্রমান আমরা গুলশান হামলার ক্ষেত্রে পেয়েছি। হায় এরা যদি জানতে আন্দাজে কথা বলা কত বড় গুনাহের কাজ। আমি সকলে প্রতি অনুরোধ করবো, ইসলাম ও মুসলমানিত্বের স্বার্থে মুসলমানদের ইসলাম ও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি অপবাদকারী হিংসা ও বিদ্বেষের বিষ ছিটানো এই সকল আগাছাকে প্রতিহত করুন!
৪। সত্যিকারের দোষীকে ধরতে সরকারকে সাহায্য করুন। সরকার ও বিরোধী দলের একে অপরকে দোষারোপ এর রাজনীতি বন্ধ করুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো আনেক আগেই সুন্দর কথা বলেছেন যে, মাদ্রাসা নয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই জঙ্গীবাদে জড়িত। গুলশান হামলায় আমরা তাঁর সেই কথার সত্যতার প্রমান পেলাম। লিংক -http://www.dailynayadiganta.com/detail//97609
৫। কিছু উগ্রবাদী হানাফী পন্ডিত পোষ্ট দিয়েছে যে, জঙ্গীরা নাকি আহলে হাদীস। কারন এরা নিজে নিজে কোরআন হাদীস পড়ে না বুঝে জঙ্গী হয়ে গিয়েছে। ধিক্বার জানাই এই সকল হানাফী ব্যক্তিগণের, যাদের জন্মই হয়েছে আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করার জন্য।
মনে রাখবেন, ‘আল্লাহু আকবার’ চিৎকার করে কেউ কোন জঙ্গী হামলা করলেই যেমন মুসলমান হয়ে যায় না, তেমনী শুধু রফউল ইয়াদাইন বা
সালাতে বুকে হাত বাঁধলেই কেউ আহলে হাদীস হয়ে যায় না। আহলে হাদীস তো তারাই যারা সত্যিকারের কোরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসারী। তাদের দ্বারা জঙ্গী হামলা তো একেবারেই অসম্ভব অকল্পনীয় বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
৬। নিহত ২০ জনের মধ্যে ৪ জন মুসলীমও রয়েছে, যারা মারা গেছেন শুধুমাত্র সূরা বলতে না পারার কারনে। হায়, ওরা কেমন মুসলীম! সূরা ফাতেহাও জানা নাই? [জঙ্গীরা নাকি প্রত্যেককে খুন করার আগে সূরা জিজ্ঞাসা করেছিলো!]