বাংলাদেশের ব্রেলভী ও দেওবন্দীদের আক্বীদা হলো রাসুল ﷺ জীবিত। তার প্রমান পাওয়া যায় তাদের বিভিন্ন বক্তব্য ও লেখনিতে।যেমন
হোসাইন আহমদ মাদানীকে মদীনায় তার ছাত্ররা প্রশ্ন করলো,
-রাসুল ﷺ কি কবরে জীবিত? তিনি বললেন,
-আলমে মেছালীতে রাসুল ﷺ জীবিত।
কিন্ত ছাত্ররা দলিল প্রমাণাদী পেশ করলো যে,
“(হে নবী!) নিশ্চয় আপনি মৃত্যুবরণ করবেন আর তারাও মৃত্যুবরণ করবে।” [সূরা যুমার ৩০]
-
মাদানী ছাত্রদেরকে বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে বুঝাতে চেষ্টা করলেন, কিন্ত তারা বুঝতে অপ্রস্তুত। এরপর মাদানী ছাত্রদেরকে নিয়ে রওযায়ে আতহারের কাছে নিয়ে গেলেন এবং হাত দিয়ে ইশারা করলেন, এই ইশারাতে রাসুল ﷺ তাঁর কবর থেকে মাথা উঠিয়ে সকলকে দেখা দিয়ে আবার মাটির নিচে লুকিয়ে গেলেন।
→বই:ইরশাদাতে মুরশিদী, পৃষ্ঠা ৪২।
লেখক:মাওলানা আহমাদ শফি, প্রিন্সিপাল, আল্-জামিয়াতুল আহ্লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম।
-
►►একটি চ্যালেঞ্জঃ
আমাদের সমাজের মুসলমানেরা আজ সালাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রচন্ড ইখতেলাফে জর্জরিত।
তারা বুজতে পারছে না কোনটা ছেড়ে কোনটা মানবো। তাই হায়াতুন্নবী আক্বীদায় বিশ্বাসী বাংলাদেশী আলেমদের নিকট অনুরোধ চলুন আমরা মদিনায় ছুটে যাই।রাসুল ﷺ এর নিকট থেকে আমরা সমস্তু ইখতেলাফের সমাধান জেনে আসি। তিনি তো এতদিন শুধু হাত বা মাথা বের করছেন। আমরা রাসুল ﷺ কে অনুরোধ করবো পুরো শরীর বের করতে।তারপর রাসুল ﷺ এর ইমামতিতে মদিনা মসজিদে পুরো ২ রাক’আত সালাত আদায় করবো; যেন চাক্ষুস দেখে নিতে পারি রাসুল ﷺ এর সালাত কেমন!
তখন আমরা বুঝতে পারবো রাসুল ﷺ সালাত কি
-হানাফী মাযহাবের মতো?
-শাফেয়ী মাযহাবের মতো?
-নাকি মালেকী মাযহাবের মতো, নাকি
-নাকি হাম্বলী মাযহাবের মতো!
-
এইভাবে আমরা সমস্তু ইখতেলাফ রাসুল ﷺ থেকে জেনে নিব। ফলে আমাদের মাঝে তিনি ‘হায়াতুন্নবী’ না ’জিন্দা নবী’ এই বিতর্ক থাকবে না। বিতর্ক দূরীভুত হবে সালাতসহ অন্যান্য সকল ইখতিলাফী মাসআলায়।
-
ব্রেলভী-দেওবন্দী আলেমরা রাজী আছেন এই চ্যালেন্জ গ্রহণ করতে?
-
!
মন্তব্য___________
১। উপরে বর্নীত কিচ্ছাটি যে একটা ডাহা বানোয়াট এবং মিথ্যা একটি কাহিনী তাতে কোন সন্দেহ নাই। কারন নবী ﷺ কোনদিন কবর থেকে উঠে এসেছেন, ইতিহাসে এমন কোন প্রমান নেই। যে এই দাবী করে সে একজন কাজ্জাব (চরম মিথ্যাবাদী), সে একজন দাজ্জাল (মারাত্বক রকমের ধোঁকাবাজ)। এমন ধোকাবাজ বক্তা সম্পর্কে আল্লাহ নবী ﷺ আমাদের ১৪৫০ বছর আগেই সতর্ক করে গিয়েছেন; একদিন আল্লাহর রাসুল ﷺ বললেন,
-আমি আমার উম্মাতের জন্য একটি বিষয়কে দাজ্জাল এর থেকেও বেশী ভয় করি। (একজন সাহাবী বললেন), আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
-হে আল্লাহর রাসুল, সেটি কি? তিনি বললেন,
-বিপথগামী এবং পথভ্রষ্ট আলেম। [মুসনাদে ইমাম আহমাদঃ ২১৬২১, তাবরানীঃ ৭৬৫৩,হাদীসটি সহীহ।]
-
২।ফিতনার যুগেই এই সকল বক্তার আবির্ভাব বেশী হবে। যেমন আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন,
-(ফিতনার যুগে) কিছু লোক এমন হবে, যারা জাহান্নামের দরজার দিকে মানুষকে দাওয়াত দিবে (অর্থাৎ তাদের দাওয়াত এমন ভ্রষ্টতাপূর্ণ হবে, যা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে);যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। [সহীহ বুখারীঃ হাদীস নং-৩৩৩৬,৬৬৭৯]
-
৩। নবী ﷺ সম্পর্কে যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা প্রচার করে তার জন্য কি প্রতিদান রয়েছে এই হাদীসে দেখুন, নবী ﷺ বলেছেন,
-যে ব্যক্তি আমার উপরে মিথ্যারোপ করে,সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়। [সহীহ বুখারীঃ ১০৭; সহীহ মুসলিম]