মিজান সাহেবের আম্মার অবস্থা খুব খারাপ, আজ প্রায় ১ মাস।
তিনি এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবকে তার আম্মার জন্য দু’আ করতে অনুরোধ করলেন। ইমাম সাহেব তাকে বললেন,
-আপনি একটা বোখারী খতম দিয়ে দিন। বালা মুসিবত দূর করার জন্য এটা একটা ভালো পরীক্ষিত আমল।
--আপনি ব্যাবস্থা করুন হুজুর।
-ঠিক আছে, কাল সকালে আমার মাদ্রাসায় চলে আসবেন, আমি ব্যবস্থা করছি।
-
সকাল নয়টা দিকে মিজান সাহেব ঐ হুজুরের মাদ্রাসায় উপস্থিত হলেন। দুপুর ১২ টার মধ্যেই বোখারী খতম হয়ে গেলো। মিজান সাহেব হুজুরকে বললেন,
-হুজুর কত টাকা দিতে হবে?
--আমরা সাধারনত বোখারী খতমে ৪৫,০০০/- টাকা নেই যেন প্রতি হুজুরকে কমপক্ষে ১,৫০০/- টাকা দিতে পারি। আপনি আমার পরিচিত। আপনি ৩০,০০০/- দিন যেন প্রতি হুজুরকে কমপক্ষে ১,০০০/- করে দিতে পারি।
মিজান সাহেব ঐ টাকা দিয়ে বাসায় চলে আসলেন
[ইমাম সাহেবের মুখে মুচকী হাসি! আহ এমন খতম যদি প্রতিদিন আসতো!]
--
!
___________________
১। ৩০ জন হুজুর গোল করে বসেন। পুরো বুখারীকে ৩০ ভাগ করে, প্রতি ভাগ এক এক জন হুজুরকে দেওয়া হয়। হুজুরগণ তার ভাগের বোখারীর হাদীস গুলো রিডিং পড়তে থাকেন। এভাবে সবার যখন পড়া হয়ে যায় তখন একটি বোখারী খতম হয়েছে বলা হয়। বলা হয়ে থাকে যে এই খতমে অনেক ফজিলাত (!)
.
২। ইতিহাস থেকে জানা যায় ৭০০ হিজরীর দিকে কোন এক বুজুর্গ বিপদের সময় বুখারীর খতম দিয়ে উপকার পেয়েছিলেন। সেই থেকেই এই বোখারী খতমের রেওয়াজ চালু হয়েছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কোন পীর-বুজুর্গের কোন আমল বা রেসম-রেওয়াজকে ইসলামী শরীয়তের দলিল সাব্বস্থ করা যায় না। ইসলামী শরীয়তের দলিল হলো কোরআন ও রাসুল ﷺ এর হাদীস!
.
২। হাদীস পাঠ করা বিত’আত নয়। একা একা হাদীস পাঠ করতে করতে ১ খতম কেন, ১০০ খতম দিলেও তা বিদ’আত হবে না। কিন্তু কোন বালা-মুসিবত দূর করার জন্য বা কোন মাকসাদ হাসিল করার জন্য কতিপয় হুজুরকে গোল করে বসিয়ে পুরো বোখারী খতম করানোটাই বিদ’আত হবে। কারন রোগ-ব্যাধি হলে কি করতে হবে বা কোন নেক-মাকসাদ হাসিল করতে হলে কি করতে হবে তা ইসলামী শরীয়তে রয়েছে। সেগুলোকে বাদ দিয়ে নতুন করে কোন আমল সৃষ্টি করার সুযোগ ইসলামে নাই! এভাবে কোন বিশেষ নিয়মে ইবাদত করা দ্বীনের মধ্যে নতুন আবিষ্কার। And in Islam this is called বিদ’আত!
-
বোঝা গেছে ব্যাপারটা?