আপনারা বলেন আহলে হাদিসরা খৃষ্টানদের দালাল।
আমি কিন্তু সেই খৃষ্টানকেই খুজছি যেই খৃষ্টানটি আমাদেরকে তাদের দালাল বানিয়েছে।
এখন আমি তাকেই খুজি যে আমাকে তাদের দালাল বানিয়েছে।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
আগে অনেক অনেক বিদাত করেছি।
মিলাদ কিয়াম করেছি, হুজুরকে নজরানা দিয়েছি।
আমি এখন তারেই খুজি যে আমারে সঠিক পথের দালাল বানিয়েছে। নজরানাটা তাকেই দিবো
এখন আমি তাকেই খুজি।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
এত দিন তো ২০০টির মতো সহীহ হাদিস থাকার পরও ২/১টি জ্বাল/জয়ীফ হাদিসের কারনে রফুলইয়াদাইন করি নাই।
ওদের দালাল না হলে কি এই হাদিসগুলা জানতাম?
এখন আমি তাকেই খুজি।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
হুজুরের ওয়াজে আর লাইব্রেরীর বইগুলোতে যে ভেজাল আর জয়ীফ হাদিসে ভরা এটা তো বাংলাদেশের মুসলমানেরা জানতোই না! আমরা ওদের দালাল হওয়ার পরই না আমরা তা জেনেছি। আমি তাকেই খুঁজি। তাকে একবার দেখবো না তা কি হয়?
এখন আমি তাকেই খুজি।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
এখন দেখি বুকে হাত বাঁধার হাদিসগুলোই বেশী সহীহ। এই হাদিসগুলো বাংলার কাটমোল্লারা সব লুকিয়ে রেখেছিলো। ওদের দালাল না হলে তো এই হাদিসগুলো কবেই হারিয়ে যেতো।
এখন আমি তাকেই খুজি।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
তাদের কারনে আজ আমি ‘মুখে উচ্চারনে কোন নিয়ত করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘নামাজে দাড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া (ইন্নি ওয়াজহিয়া..) পড়ি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘জামায়াতে নামাজ শেষে সম্মিলিত মুনাজাত করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘১০ই মরহমে হাসান-হোসেন (রঃ) শাহদাতের শোকে মাতুম করা ও ধূমধাম করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘নবী ﷺ কে শেষ নবী ও রাসুল মানি।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘নবী ﷺ নাম শুনে দুই হাত ঠোঁটে স্পর্শ করে দুই চোখে স্পর্শ করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘নবী ﷺ কে হাজির নাজির মনে করে দাড়িয়ে যাই না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘মিলাদ ক্বিয়াম করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করি না।’
এখন আমি তাকেই খুজি।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
তাদের কারনে আজ আমি ‘শবে বরাতে হালুয়া রুটি তৈরী করা এবং ইহাকে ছওয়াবের কাজ মনে করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘শবে বরাতে বাড়িঘর আলোকিত করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘অর্থের বিনিময়ে কুরআন পাঠ করাই না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘খতমে বোখারী, খতমে মুসলিম পৃভৃতি বিদাতী খতমের আয়োজন করি না।’
এখন আমি তাকেই খুজি।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
তাদের কারনে আজ আমি ‘জন্মদিন, মৃত্যুদিন, চারদিন, চল্লিশা পৃভৃতি দিন পালন করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘বিধর্মীদের ন্যায় হ্যাপি নিউ ইয়ার, শুভ পহেলা বৈশাখ প্রভৃতি পালন করি না।।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘পীর পুজা, কবর পুজা, মাঝার পুজা করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘ওরস উত্যযান করি না।’
এখন আমি তাকেই খুজি।
তাকে আমি খুজবো না কেন বলেন?
তাদের কারনে আজ আমি ‘হিন্দুদের ন্যায় গুরুজনদের ‘কদমবুসি’ করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘বিয়ে/এনগেজমেন্ট-এর আংটি পড়ি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘পায়ের টাখনুরে নীচে প্যান্ট/পোষাক পড়ি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘ঘরের মহিলাদের পর্দার বাহিরে চলতে দেই না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘টেলিভিশনের অশ্লীল কোন চ্যানেল আনব্লকড রাখি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘সেই কবে থেকেই দাড়ি আর শেভ করি না।’
তাদের কারনে আজ আমি ‘ইমামদের অন্ধ তাকলীদ করি না।’
আরও কতো যে ‘বিদাতী আমল করি না’ এবং ‘বিদাতমুক্ত যে সব আমল করি’ তার লিস্ট লিখতে থাকলে পুরো পোষ্ট পড়ার মতো ধৈর্য্য পাঠকদের থাকবে না। তাই আর লিখলাম না।
অনেকে বলে আমরা দালাল এবং আমরা পেইড এজেন্ট।
হা হা হা। যদি পেইড এজেন্ট হয়েও থাকি। আমি বলছি আজি থেকে সমস্ত চুক্তি বাতিল। বাতিল, বাতিল, বাতিল।
আজ থেকে আমিই ইহুদী-খৃষ্টানদেরকে টাকা দিবো।
ওদের টাকা আমি দিবো না কেন?
যাদের দালালী করতে গিয়ে সত্য ও ন্যায় জেনেছি।
যাদের দালালী করতে গিয়ে তাওহীদ জেনেছি। আল্লাহকে পরিপূর্নরূপে জেনেছি। জেনেছি শিরক কাকে বলে।
বিদাত কি জিনিস, ইত্তিবায়ে সুন্নাত কি তাতো ভালকরে জানতামই না এই দালালী না করলে।
পরিশেষে আপনার যারা আমাদেরকে ইহুদীদের দালাল দালাল বলছেন তাদেরকে কোরআনের এই আয়াত অনুধাবন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
-সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মিথ্যার তো বিলুপ্ত হবারই কথা।[বনী ইসরাইল :৮১]