রিক্সাঃ
মনে আছে যৌবনের সোনাফলা যুগে-জোষ্ঠ্যের তপ্ত দুপুরে আমাকে সাক্ষী রেখে ২২বছরের পুঞ্জিভূত পিপাসা মেটাতে অষ্টদর্শী কুমারীর ঠোঁটে বজ্রপাতের মত হানা দিয়েছিলে?
বৃদ্ধঃ
স্মৃতির পাতাগুলির উপর জমে থাকা বস্তা বস্তা বালু নিমিষেই নাই হয়ে যায়।
সেদিনের সদ্য আঠারোয় পা দেয়া অপলা মুচকি হাসে হঠাত সামনে এসে।
চুম্বনের পর চুম্বনে সেদিন ঢাকার ধোঁয়াটে যানের কালো বাতাসও পরিশুদ্ধ হয়েছিল চুম্বনসৌরভে।
তারপর রিক্সা আর একটিও প্রশ্ন করেনি ষাটোর্ধ বৃদ্ধকে।
একই রিক্সায় বৃদ্ধ-অপলার ছেলেমেয়েরাও কত চুমোচুমি করেছে!
সাক্ষী রিক্সার পুরাতন হুড পাল্টিয়ে কত নতুন হুড এসে চলেগেছে।
শুধু অভিজ্ঞতার ভারে নুইয়ে পড়া লৌহ কাঠামোটাই রয়ে গেছে প্রজন্ম পরম্পরায় নাগরিক প্রেমের নীরব সাক্ষী হয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১১