যখনি কাউকে দেখবেন কোন বিষয়ে চটকদার হেডিংয়ে পোষ্ট দেয় যেকোন বিষয়ে তখন যে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখবেন।
১: এ বিষয়টি কোন লোকটি লিখলো। (ঐ লোকটার চরিত্র, ব্যবহার, তার আগেরকার ইতিহাস)
২: নিকটার পিছনের লোকটা কে? ( লোকটা কোন পার্টি করে, তার পোষ্ট কারা পড়ে, তার উদ্দেশ্য কি, তার এজেন্ডা কি,তার গোলটা কি)
৩: শুধু ঐ ঘটনা চুজ করা হলো কেন? (উধাহারন এইটপিক, এই রকম শত শত এসেসাইনেশান করে অনেক সাহাবিকে হত্যা করা হয়েছে, রাসূলের উপরেও এরকম অনেক আক্রমন চালানো হয়েছে।)
উপরের এই তিনটা পয়েন্ট দিয়ে পরিক্ষা করলেই বাকিটা বুঝতে পারবেন।
শুরুতেই আসি ডাঃ হুমায়ন আজাদের কথায়। সব ধরনের চরমপন্হীদের মধ্যে একটা মিল আছে, সব ধরনের বিদ্বষী লোকদের মধ্যে মিল থাকে খুব। এরাইতো প্রতিরাতে জল খায় এক ঘাটে। যেমন ধরুন, উসামা বিন লাদেন গ্রুপ হলো মুসলিমদের মধ্যে ১% এর ও কম। এরা কোরানের বিভিন্ন আয়াত দেখিয়ে বলবে এরাই সঠিক। এরাই সঠিক ইসলামের অনুসারি, বাকিরা নয়। বিন লাদেন গ্রুপ যখন নিরিহ নারীও শিশুদের হত্যা করে সে বলে শরিয়া অনুযায়ী করছে। কিন্তু ৯৯% এর ও বেশী মুসলিম বিশ্বজুড়ে বলবে ওরা যা করছে তা শরিয়ত সমর্থিত নয়, এরা ইসলাম বিরুধী কাজ করছে।
এখন দেখুন ইসালম ও মুসলিম বিদ্বেষীদের। ওরাও মূলত বিন লাদেন সুরে সুর মিলিয়ে বলবে বলবে বিন লাদেনই ঠিক। বিন লাদেনই সঠিক ইসলাম পালন করছে, সব দোষ ইসলামের। এই ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষীরা ৯৯% এর ও বেশী মুসলিমদের চিৎকার শুনেনা, এরা বিন লাদেনের মতই বলে সেই লাদেনই ঠিক। এইতো দেখলেন ওদের মাঝে কি চরম মিল।
ধরে নেই ডাঃ আজাদের হামলা করেছে জেএমবি+জামাতে ইসলামি, কিন্তু এই দেশে এদের সংখ্যা কতো? ৩% এর ও কম। এরা যদি সঠিক ইসলামের অনুসারি হয় তাহলে বাদবাকি মুসলিমরা কিতা? এখন জেম্বি+জামাত বলবে যে তারাই ইসলামের একনিষ্ঠ অনুসারি, আমাদের দেশের ইসলাম বিদ্বষী গ্রুপও বলবে এরাই সঠিক ইসলামের অনুসারী। আবারো মিল্লা গেলো এই দুই চরমপন্হীদের মাঝে।
ইসলামের বিরুদ্বে যতগুলো অপপ্রচার আছে তার সবি প্রতিউত্তর পাওয়া যায় আরবী ভাষায়, কিন্তু আরবী হতে ইংরেজীতে অনুবাদ হয়েছে খুব কমই, তবে ভালো যে এখন মোটামুটি ইংরেজীতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আল্হামদুলিল্লাহ যে এখন ইহুদী ও খ্রীষ্টান মিশনারীদের অপপ্রচারের জবাবে ইংরেজীতেই পাওয়া যায়।
শুরু করা যাক। মুসলিমদের ছোট্ট গ্রুপটাকে কতো এসেসাইনেশান, কতো নির্যাতন, নিপীড়ন করা হতো মক্কাতে। ইসলামের প্রথম শহীদ কালো দাস সুমাইয়া(রা) এড় যৌনাঙ্গে বর্শা ঢুকিয়ে হত্যা করে আবু জেহেল। কতো জন পালিয়ে গিয়ে আবিসিনিয়ায়, মদিনায় উঠেছে। সয়ং রাসূল কে হত্যার জন্যে পুরস্কার ঘোষনা করা হয়েছে। সর্বশেষ তাকে হত্যার অপারেশান চালানো হয়, তিনি আবুবকর (রা) কে নিয়ে মদিনায় পালিয়ে গিয়েছেন। এবার এরা এই ছোট্ট গ্রুপটাকে ধ্বংসের জন্যে মদিনায় গিয়ে যুদ্ব করে, বাধাঁয় বদর, ওহুদ, খন্দক। মুসলিমদের সাথে সকল ইহুদী গোত্রের সাথে চুক্তি ছিলো, কেউ মদিনায় আক্রমন করলে সবাই একসাথে মদিনাকে ডিফেন্ড করবে। সবাই শত্রুদের একসাথে মোকাবেলা করবে। কেউই শত্রুদের সাহায্যতো দূরের কথা, হাত গুটিয়েও থাকবেনা।
কাব ইবনে আশরাফ ছিলো এক ইহুদী গোত্রের নেতা। বদর যুদ্বে পরই সে বদরে নিহত মক্কার কুরাইশদের জন্যে বিলাপ করে কবিতা লিখে।
বদর যুদ্বে নাকি জেহেল, লাহাব, উতবা, শাইবা দের মত ভালো লোকদের হত্যা করা হয়েছে।
Badr’s mill ground out the blood of its people
At events like Badr you should weep and cry
The best of the people were slain round their cisterns
Don’t think it strange that the princes were left lying.
How many noble handsome men,
The refugee of the homeless were slain,
Liberal when the stars gave no rain,
Who bore others’ burdens, ruling and taking their due fourth,
Some people whose anger pleases me say
“Ka’ab b. al-Ashraf is utterly dejected”.
They are right. O that the earth when they were killed
Had split asunder and engulfed its people,
That he who spread the report had been thrust through
Or lived cowering blind and deaf.
I was told that all the Banu’l-Mughira were humiliated
And brought low by the death of Abu’l-Hakim
And the two sons of Rabi’a with him,
And Munabbih and the others did not attain (such honour) as those who were slain
সে তার কবিতায় ইহুদী অনান্য গোত্রের লোকদের উস্কানি দিতো মুসলিমদের বিরুদ্বে যুদ্ব করার জন্যে। সে মুসলিম নারী ফাদিল বিনতে হারিসের নামে কুৎসা রটনা করতো, মুসলিম নারীদের অবমাননা করতো। ইহুদীদের সাথে মুসলিমদের চুক্তির বেশীরভাগই সে খেলাপ করেছে। তাকে তার কবিত্বের জন্যে হত্যা করা হয়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে ঘাতক দালালির জন্যে। এই লিংকে কাব ইবনে হত্যার কাহিনীর প্রত্যেকটা লাইন বাই লাইন জবাব দেওয়া হয়েছে।
মঘাচীফ তার পোষ্টে সুগাটিং এ এক্সপার্ট। অবশ্য হওয়াও ঠিক ছিলো। কারন সে তো খ্রীষ্টান মিশনারীদের সাইট হতে কপি মারে।
মিশনারীদের সাইট এনসারিং ইসলামে ইহুদী নারী আসমা বিনতে মারওয়ান ও আবু আফাক কে হত্যার আর্টিক্যালের (যেখান হতে মঘা কপি মারছে) কাউন্টারে মুসলিম রিস্পন্সে সম্পূর্ন জবাব দেওয়া হয়েছে।
আসমা ও আফাককে হত্যা কাহিনীটা ইবনে সাদের আল-তাবাকাত আল কবিরেরই মধ্যে পাওয়া যায় শুধু। আলেমরা এটাকে ভুয়া ঘটনা হিসেবেই দেখছেন কেননা এটা শুধু ইবনে ইসহাকে বর্ননা আছে। এবং এই ঘটনার বর্নণা কারী মুহাম্মাদ ইবনে হাজ্জাল, ভুয়া হাদীস তৈরীতে সে সিদ্বহস্ত। তাছাড়া এতো বড়ো একটা ঘটনা হলো অথচ কোন হাদীস শরীফে কোন হাদীস নাই।
ইবনে আদি তার বই আল কামালের ৬ নাম্বার ভলিয়মের ১৪৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, মুহাম্মাদ ইবনে হাজ্জালকে অন্যান্য বর্ননাকারীরা জালীয়াতির অভিযোগ অভিযুক্ত করতেন।
রাসূলের সুন্নত মতে যুদ্বের মধ্যে কোন নারীকে হত্যা করা হারাম ঘোষনা করেন।
ইবনে উমর বর্ননা করেন, একবার এক অভিযানে এক নারীর লাশ পাওয়া যায় মানে তাকে হত্যা করা হয়। তখন রাসুলুল্লাহ (সঃ) নারী ও শিশু হত্যাকে নিষেধ করেন। Bukhari, Vol. 4, Bk. 52, No. 257 & 258
এজন্যে ইমাম আবু হানিফা ও নারীদের হত্যাকে নিষেধ করেন তার সারাহ আল দুর আল মোখতার ফতোয়া গ্রন্হের ভলিয়ম ১ পৃষ্ঠা ৪৮৩ তে।
আমাদের এই ধান্ধাবাজদের রুখতে হবে, যারা ইহুদী ও খ্রীষ্টান মিশনারীদের সাইট হতে কপি মেরে আত্বপ্রসাদে ভুগে। যারা মুসলিমদের ধর্মগাধা, মহা উন্মাদের উম্মত, মাথায় ধর্ম গু বলে মুসলিমদের সহনশীলতা দেখছে। এরা নিত্যদিন মুসলিমদের গালাগালি করে মুসলিমদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এরা মুসলিমদের প্রতিনিয়ত উস্কানি দিয়ে সুস্হ পরিবেশ বিনস্ট করছে। এদের থেকে সবাই সজাগ থাকুন।
রিলেটেড পোষ্টঃ দ্যা মঘা চীফ ইলুশানঃ ইসরাইল - ফিলিস্তিন সংঘাত দেখবেন যেভাবে। জেনে নিন ইহুদী মুসলিম সম্পর্কের অজানা ইতিহাস।
এবং
মঘাচীপের দিনে দুপুরে ভেল্কিবাজি,
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৪৪