গরুর রচনা সবাই আশা করি জানেন। উস্তাদে ছাত্রটাকে যত বিষয়ের উপরেই লিখতে বলুক না কেন সে ঘুরায়া ফিরায়া গরুর রচনাটাই লিখে। আমাদের ব্লগের নাস্তিকদের অবস্হা ও তাই। কি (মুসলিম) নাস্তিক কি (হিন্দু) নাস্তিক , কি এই বাংলার না ঐ (পচ্চিম)বাংলার। ওরা ঘুরায়া ফিরায়া দুনিয়ার প্রত্যেকটা আকামের পিছে ধর্মের ভূত দেখে। নাস্তিক আবার যেই হোক, ওদের কাছে সব দোষ ইসলামের। এইগুলা ইসলামিক সিনড্রোম রোগে ভুগতাছে। বিভিন্ন ভাবে বলে যাবে নাস্তিকেরা সবাই মানবিক দোষত্রুটির উর্ধে। উনারা অমানবিক কিছুই করতে পারেনা। যত আকাম সব আস্তিকেরাই করে। বলশেভিক কম্যুনিস্টগুলা যখন জারদের ক্ষমতা উল্টানোর আগে সবাইকে বলতো ধর্মই সব আকাম করে। ধর্মের কারনে হয় হিংস্রতা,গনহত্যা আরো কতো কি। সাধারন মানুষেরা দেখতো আসলেই তো। জার শাসকরা ধর্মীয় যাজকদের সাথে মিলে সাধারন মানুষদের শোষন করতো। সাধারন মানুষেরা জার এবং যাজকদের শোষন হতে মুক্তি পেতে বলশেভিকদের সমর্থন দিলো, ওরা ক্ষমতা দখল করলো। বলশেভিকরা অনেকগুলো মুভি তৈরী করে যাজকদের কুমারী মেয়েদের সাথে করা আকাম দেখাতো। অতপরঃ যেই লাউ সেই কদু। আইলো লেলিন তারপর স্টালিন। হত্যা, গুম,বন্দী,ধর্ষন, টর্চার করে দেশটারে বানাইলো জেলখানা। তার সাথে আছে গনহত্যা।
কম্যুনিস্টরা দেখবেন সাম্রাজ্যবাদী বিরুধী বক্তব্য দিয়া লোল পালায়া দেয় বিভিন্ন যায়গায়। কার্ল মাক্স ও ছিলেন সম্রাজ্যবাদ বিরুধী লেখক। সেই মার্কসবাদীরাই সোভিয়েত রাশিয়ার ক্ষমতায় যাওয়ার পর নিজেরাই সম্রাজ্যবাদী হয়ে পড়ে। পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড হতে আফগানিস্তান পর্যন্ত ওদের সম্রাজ্যবাদী লাল থাবা এসে পড়ে। লক্ষ লক্ষ শিশু, বুড়ো, নারী ওদের লাল হিংস্র নখরে রক্তাক্ত।
এই কম্যুনিস্ট নাস্তিকেরা দেখবেন নারীর অধিকার প্রতিস্ঠার কথা বলে, নারীরা ধর্মে নির্যাতিত বইলা কান্নাকাটি করে। কিন্তু আফগানিস্তানের নারীবাদী নেত্রী, rawa এর প্রতিস্ঠাতা, মৌলবাদ বিরুধী এবং নারী অধিকার প্রতিস্ঠার রেভ্যুলুশনারী কর্মী মীনাকে ১৯৮৭ সালে কেজিবির আফগান শাখা খাদ তাকে হত্যা করে।
ধর্ম দুনিয়ার সব আকাম কর্ছে এই জিগির তুইলা ক্ষমতায় গিয়া ওরা নিজেরাই আকাম করতে থাকে।
মজার কথা হলো গিয়ে এই কম্যুনিস্ট গুলাই এখন খুব মানবতার বেক ধরছে, ফ্রীডম অফ এক্সপ্রেশন বইলা কান্নাকাটি করে।
এইবার আসেন জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশান অফ হিউম্যান রাইটসের ব্যাপারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের পর নাৎসীদের ইহুদী নিধনে এবং যুদ্বে পূর্ব ইউরোপের বেশীরভাগ লোক ডিসপ্লেস হয়ে শরনার্থী শিবিরে যায়।
এই লোকগুলার ভাগ্য কি হবে? এই শরনার্থী লোকগুলা বেশীরভাগই ভীত ছিলো, যদি ওরা ওদের দেশে ফিরে যায় যার বেশীরভাগই কম্যুনিস্ট বা প্রো কম্যুনিস্টদের দখলে তাহলে ওদের এন্টি -কম্যুনিজম মানসিকতার জন্যে হত্যা করা হবে। জাতিসংঘে এটা নিয়ে ডিবেট হয়, এই লোকগুলার ভাগ্য কি হবে। সোভিয়েত প্রতিনিধি এবং স্টালিনের চামুচা এনড্রে ভিসিনস্কি বললেন যারা ওদের নিজ দেশে ফিরত যেতে চায় না ওরা গাদ্দার। বিরোধিতা করলেন ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটসের। আম্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন ফ্রাংলিন রুজবেল্টের বিধবা স্ত্রী এলিনর রুজবেল্ট। এলিনরের সাথে বিতর্কে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশান অফ হিউম্যান রাইটসে জাতিসংঘে সোভিয়েত প্রতিনিধিটা হাইরা যায়। জয় হয় এলিনর রুজবেল্টের তথা ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশান অফ হিউম্যান রাইটসের।
মোদ্দা কথা এই কম্যুনিস্ট নাস্তিকগুলা হিংস্র চেহারা লুকায়া আম্রা ভালো লুক নিয়া আইতেছে। ঘুরায়া ফিরায়া তাদের ঐ গরুর রচনা, গরু একটা নিরিহ প্রানী। অতএব পরিক্ষায় মার্ক্স কম এবং ফেল মারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৫