খোশ আমদেদ মাহে রমজান। আজ প্রথম রোজায় সকল রোজাদার ভাইকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যারা ৩০ টা রোজা রাখবেন, প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন, তারাই শুধু ঈদের দিন আনন্দ ভোগ করার দাবিদার।
ব্যবসায়ী ভাইদের বলছি রমজানে ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্যমূল্য বাড়াবেন না। এতে রোজাদারদের কষ্ট হবে। বিনিময়ে আপনারা জাহান্নাম ক্রয় করবেন। তাই পন্যের মূল্য আগে যেমন ছিল তেমনই রাখার চেষ্টা করেন।
আজ সকালে বাজারে গিয়ে উল্টো চিত্র দেখতে পেলাম। একজন মুরব্বী বলছেন কালকের চেয়ে আজকের বাজারে মাছ-তরকারির দাম বেশি। আমি নিজেও অনেকটা তাই দেখলাম। কিন্তু কেন? আমরা যারা মুসলমান তারা কি ভেবে দেখি না? রমজান উপলক্ষ্যে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে বেশি লাভ করার মধ্যে কোনো প্রশান্তি নেই। দেখবেন কোনো না কোনো ভাবে আপনার সেই অতিরিক্ত লাভের টাকা খরচ হয়ে যাবে।
তাই এখনই সাবধান হয়ে যান। রোজায় দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত লাভের আশা ছেড়ে দিন।
যারা ইচ্ছা করে রোজা রাখছেন না, অথচ সুস্থ আছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদেরকে বলছি, একটি রোজা ইচ্ছাকৃতভাবে না রাখলে এক নাগারে ৬০টি রোজা রাখতে হয়। একেই বলে রোজার কাফফারা। আর আল্লাহ যেসব ওজরে রোজা ভেঙে পরে রাখতে বলেছেন, সেসব ক্ষেত্রে এক রোজার বদলে একটি রাখলেই চলবে।
আল্লাহ যেসব ওজরের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অসুস্থতা ও সফরের কথা বলা হয়েছে। যারা অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারেন না, এবং এমন দূরত্বে সফর করেন যাতে রোজা রাখতে কষ্ট হয় তাদের জন্য এই রোজা পরে রাখলে চলবে।
যাই হোক আমি কোনো মুফতি নয়। ফতোয়া দেয়ার কোনো ক্ষমতা আমার নেই। কোরআন হাদিস থেকে সামান্য যে টুকু জ্ঞা্ন অর্জন করেছি তা থেকে কিছুটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। দয়া করে কেহ মনে কষ্ট নিবেন না। আমার ভুল হতে পারে। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সবাই ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪