somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টিবন্ধু

১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বৃষ্টিবন্ধু----সময় টা ছিল ১৫ফেব্রুয়ারি ২০১৪।তোমার প্রথম ফোনকল।সেদিন সেই বছরে প্রথম বৃষ্টি নেমেছিল। তাই বলা যায়,কোনো এক বছরের প্রথম বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে তুমি আমার জীবনে।ভিজিয়ে দিয়ে গেছো আমার মনের ধূধূ প্রান্তর।তুমি আমায় চেনো কিন্তু আমি তোমায় চিনিনা।এমন অর্ধ পরিচয়ে কারো সাথে কথা বলিনি কখনো।কিন্তু তোমার মাঝে কি যেনো ছিলো,যার টানে ৩দিন দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছিলাম। মন্ত্রমুগ্ধের মত তোমার কথা শুনতাম।৩দিনের বন্ধুত্বে এতটা আপন হয়ে গিয়েছিলে তুমি ভাবতেও পারবেনা।তোমার পরিচয় যেটুকু দিয়েছো সেটুকুই বিশ্বাস করেছিলাম, আজো করি।কখনো তুমি শহিদুল্লাহ হলের ছাদে বসে কথা বলতে,কখনো বা ক্যান্টিনে।আবার কখনো কখনো বৃষ্টি ভেজা ঝরা পাতা মাড়িয়ে অনেক রাত পর্যন্ত ফজলুল হক হলের পুকুর পাড় পেড়িয়ে কার্জন হলের অলিগলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে।তুমি আমার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে অস্পষ্ট ছায়ার মত।তারপর ফোন করে বলতে আমাকে।আজো তুমি অস্পষ্ট ছায়া হয়েই রইলে।আমার সাথে তোমার দেখা করার কথা ছিলো। তা আর হয়ে ওঠেনি।আমি বলেছিলাম,যদি এমন কোনো দিন আসে যেদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হবে,নীল শাড়ি পড়ে আমি বৃষ্টিতে ভিজবো T.s.cতে,সেদিন তুমি একগুচ্ছ কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ো। তুমি বলেছিলে সেটা খুব টাফ।কিন্তু আজ দেখছি সেটা শুধু টাফ নয়,অসম্ভব ও বটে।কিন্তু ২৯মে আমি সত্যি অঝোর বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম T.s.cতে,সেদিন তুমি আসোনি।সেইদিন বৃষ্টিশেষে শহিদুল্লাহ হলেও গিয়েছিলাম। মনেমনে তোমায় খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।বৃষ্টির জলের সাথে তোমার স্মৃতির মিশ্রণে ফজলুল হক হলের পুকুরপাড় এ বসে চা খাওয়ার সময় ভেবেছিলাম,এ পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে কত কথা বলেছিলে তুমি।আজ কোথায় তুমি।৩দিন কথা বলার পর দীর্ঘ ছুটিতে আমি বাড়ি চলে গেলাম,ফিরে এসে আর তোমাকে পেলামনা। সেই যে নাম্বার বন্ধ করে দিয়েছিলে,আজো তাই।তারপর কয়েকবার তোমার হলে যেতে হয়েছে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে।নীরব দৃষ্টিতে তোমায় খুঁজেছি চারপাশে।কিন্তু দৃষ্টি আশাহত হয়ে ফিরে এসেছে বারবার। তোমায় যতটা চিনেছি,তুমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু তাই বলে এভাবে আত্মগোপন কেনো।তুমি তো জানতে আমি বৃষ্টি ভালবাসি।তবু কেনো বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে আমার জীবনে।যাতে কোনোদিনো তোমায় ভুলতে না পারি তাইতো।৩দিনের বন্ধুত্বে এভাবে যে তোমায় মনে রেখেছি,তুমি ভাবতে পারবেনা।ভাবতে পারলে আমার সামনে এসে ঠিক দাঁড়াতে।জানো বছর ঘুরে এই ১৫ফেব্রুয়ারি রাতেও অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমেছে। শুধু আসেনি তোমার ফোনকল। কিভাবে আসবে বলো।আমি তো নাম্বার বদলে ফেলেছি।ভালোই হয়েছে আর আমায় খুঁজে পাবেনা,হয়তো খুঁজবেওনা।তোমায় নিয়ে অনেক কথামালা সাজিয়েছিলাম।বৃষ্টির সাথেসাথে তা ধুয়ে কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে কাল রাতে।এভাবে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি নামবে।শহরের রাজপথ আর অলিগলি সিক্ত হবে।মাঝরাতে জানালার পাশে বসে সোডিয়াম আলোয় বৃষ্টি দেখবো।ব্যালকনি তে ভিজে যাবে নীল তোয়ালে।আমি তখনো একলা বসে তোমার অপেক্ষায়। আবারো বৃষ্টি নামবে,হয়তো নীল শাড়ি পড়ে T.s.cতে ভিজবো আমি।কিন্তু সেদিন একগুচ্ছ বৃষ্টিভেজা কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়াবে কি।বলবে কি,আমিই তোমার সেই বৃষ্টিবন্ধু।আমি জানিনা কে তুমি।তুমি যেই হওনা কেনো,সারা জীবনে অন্তত একবার আমার সামনে এসে দাঁড়িও।আর কিছু চাইনা তোমার কাছে।বৃষ্টিবন্ধু----সময় টা ছিল ১৫ফেব্রুয়ারি ২০১৪।তোমার প্রথম ফোনকল।সেদিন সেই বছরে প্রথম বৃষ্টি নেমেছিল। তাই বলা যায়,কোনো এক বছরের প্রথম বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে তুমি আমার জীবনে।ভিজিয়ে দিয়ে গেছো আমার মনের ধূধূ প্রান্তর।তুমি আমায় চেনো কিন্তু আমি তোমায় চিনিনা।এমন অর্ধ পরিচয়ে কারো সাথে কথা বলিনি কখনো।কিন্তু তোমার মাঝে কি যেনো ছিলো,যার টানে ৩দিন দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছিলাম। মন্ত্রমুগ্ধের মত তোমার কথা শুনতাম।৩দিনের বন্ধুত্বে এতটা আপন হয়ে গিয়েছিলে তুমি ভাবতেও পারবেনা।তোমার পরিচয় যেটুকু দিয়েছো সেটুকুই বিশ্বাস করেছিলাম, আজো করি।কখনো তুমি শহিদুল্লাহ হলের ছাদে বসে কথা বলতে,কখনো বা ক্যান্টিনে।আবার কখনো কখনো বৃষ্টি ভেজা ঝরা পাতা মাড়িয়ে অনেক রাত পর্যন্ত ফজলুল হক হলের পুকুর পাড় পেড়িয়ে কার্জন হলের অলিগলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে।তুমি আমার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে অস্পষ্ট ছায়ার মত।তারপর ফোন করে বলতে আমাকে।আজো তুমি অস্পষ্ট ছায়া হয়েই রইলে।আমার সাথে তোমার দেখা করার কথা ছিলো। তা আর হয়ে ওঠেনি।আমি বলেছিলাম,যদি এমন কোনো দিন আসে যেদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হবে,নীল শাড়ি পড়ে আমি বৃষ্টিতে ভিজবো T.s.cতে,সেদিন তুমি একগুচ্ছ কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ো। তুমি বলেছিলে সেটা খুব টাফ।কিন্তু আজ দেখছি সেটা শুধু টাফ নয়,অসম্ভব ও বটে।কিন্তু ২৯মে আমি সত্যি অঝোর বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম T.s.cতে,সেদিন তুমি আসোনি।সেইদিন বৃষ্টিশেষে শহিদুল্লাহ হলেও গিয়েছিলাম। মনেমনে তোমায় খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।বৃষ্টির জলের সাথে তোমার স্মৃতির মিশ্রণে ফজলুল হক হলের পুকুরপাড় এ বসে চা খাওয়ার সময় ভেবেছিলাম,এ পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে কত কথা বলেছিলে তুমি।আজ কোথায় তুমি।৩দিন কথা বলার পর দীর্ঘ ছুটিতে আমি বাড়ি চলে গেলাম,ফিরে এসে আর তোমাকে পেলামনা। সেই যে নাম্বার বন্ধ করে দিয়েছিলে,আজো তাই।তারপর কয়েকবার তোমার হলে যেতে হয়েছে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে।নীরব দৃষ্টিতে তোমায় খুঁজেছি চারপাশে।কিন্তু দৃষ্টি আশাহত হয়ে ফিরে এসেছে বারবার। তোমায় যতটা চিনেছি,তুমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু তাই বলে এভাবে আত্মগোপন কেনো।তুমি তো জানতে আমি বৃষ্টি ভালবাসি।তবু কেনো বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে আমার জীবনে।যাতে কোনোদিনো তোমায় ভুলতে না পারি তাইতো।৩দিনের বন্ধুত্বে এভাবে যে তোমায় মনে রেখেছি,তুমি ভাবতে পারবেনা।ভাবতে পারলে আমার সামনে এসে ঠিক দাঁড়াতে।জানো বছর ঘুরে এই ১৫ফেব্রুয়ারি রাতেও অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমেছে। শুধু আসেনি তোমার ফোনকল। কিভাবে আসবে বলো।আমি তো নাম্বার বদলে ফেলেছি।ভালোই হয়েছে আর আমায় খুঁজে পাবেনা,হয়তো খুঁজবেওনা।তোমায় নিয়ে অনেক কথামালা সাজিয়েছিলাম।বৃষ্টির সাথেসাথে তা ধুয়ে কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে কাল রাতে।এভাবে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি নামবে।শহরের রাজপথ আর অলিগলি সিক্ত হবে।মাঝরাতে জানালার পাশে বসে সোডিয়াম আলোয় বৃষ্টি দেখবো।ব্যালকনি তে ভিজে যাবে নীল তোয়ালে।আমি তখনো একলা বসে তোমার অপেক্ষায়। আবারো বৃষ্টি নামবে,হয়তো নীল শাড়ি পড়ে T.s.cতে ভিজবো আমি।কিন্তু সেদিন একগুচ্ছ বৃষ্টিভেজা কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়াবে কি।বলবে কি,আমিই তোমার সেই বৃষ্টিবন্ধু।আমি জানিনা কে তুমি।তুমি যেই হওনা কেনো,সারা জীবনে অন্তত একবার আমার সামনে এসে দাঁড়িও।আর কিছু চাইনা তোমার কাছে।

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×