বৃষ্টিবন্ধু----সময় টা ছিল ১৫ফেব্রুয়ারি ২০১৪।তোমার প্রথম ফোনকল।সেদিন সেই বছরে প্রথম বৃষ্টি নেমেছিল। তাই বলা যায়,কোনো এক বছরের প্রথম বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে তুমি আমার জীবনে।ভিজিয়ে দিয়ে গেছো আমার মনের ধূধূ প্রান্তর।তুমি আমায় চেনো কিন্তু আমি তোমায় চিনিনা।এমন অর্ধ পরিচয়ে কারো সাথে কথা বলিনি কখনো।কিন্তু তোমার মাঝে কি যেনো ছিলো,যার টানে ৩দিন দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছিলাম। মন্ত্রমুগ্ধের মত তোমার কথা শুনতাম।৩দিনের বন্ধুত্বে এতটা আপন হয়ে গিয়েছিলে তুমি ভাবতেও পারবেনা।তোমার পরিচয় যেটুকু দিয়েছো সেটুকুই বিশ্বাস করেছিলাম, আজো করি।কখনো তুমি শহিদুল্লাহ হলের ছাদে বসে কথা বলতে,কখনো বা ক্যান্টিনে।আবার কখনো কখনো বৃষ্টি ভেজা ঝরা পাতা মাড়িয়ে অনেক রাত পর্যন্ত ফজলুল হক হলের পুকুর পাড় পেড়িয়ে কার্জন হলের অলিগলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে।তুমি আমার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে অস্পষ্ট ছায়ার মত।তারপর ফোন করে বলতে আমাকে।আজো তুমি অস্পষ্ট ছায়া হয়েই রইলে।আমার সাথে তোমার দেখা করার কথা ছিলো। তা আর হয়ে ওঠেনি।আমি বলেছিলাম,যদি এমন কোনো দিন আসে যেদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হবে,নীল শাড়ি পড়ে আমি বৃষ্টিতে ভিজবো T.s.cতে,সেদিন তুমি একগুচ্ছ কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ো। তুমি বলেছিলে সেটা খুব টাফ।কিন্তু আজ দেখছি সেটা শুধু টাফ নয়,অসম্ভব ও বটে।কিন্তু ২৯মে আমি সত্যি অঝোর বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম T.s.cতে,সেদিন তুমি আসোনি।সেইদিন বৃষ্টিশেষে শহিদুল্লাহ হলেও গিয়েছিলাম। মনেমনে তোমায় খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।বৃষ্টির জলের সাথে তোমার স্মৃতির মিশ্রণে ফজলুল হক হলের পুকুরপাড় এ বসে চা খাওয়ার সময় ভেবেছিলাম,এ পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে কত কথা বলেছিলে তুমি।আজ কোথায় তুমি।৩দিন কথা বলার পর দীর্ঘ ছুটিতে আমি বাড়ি চলে গেলাম,ফিরে এসে আর তোমাকে পেলামনা। সেই যে নাম্বার বন্ধ করে দিয়েছিলে,আজো তাই।তারপর কয়েকবার তোমার হলে যেতে হয়েছে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে।নীরব দৃষ্টিতে তোমায় খুঁজেছি চারপাশে।কিন্তু দৃষ্টি আশাহত হয়ে ফিরে এসেছে বারবার। তোমায় যতটা চিনেছি,তুমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু তাই বলে এভাবে আত্মগোপন কেনো।তুমি তো জানতে আমি বৃষ্টি ভালবাসি।তবু কেনো বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে আমার জীবনে।যাতে কোনোদিনো তোমায় ভুলতে না পারি তাইতো।৩দিনের বন্ধুত্বে এভাবে যে তোমায় মনে রেখেছি,তুমি ভাবতে পারবেনা।ভাবতে পারলে আমার সামনে এসে ঠিক দাঁড়াতে।জানো বছর ঘুরে এই ১৫ফেব্রুয়ারি রাতেও অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমেছে। শুধু আসেনি তোমার ফোনকল। কিভাবে আসবে বলো।আমি তো নাম্বার বদলে ফেলেছি।ভালোই হয়েছে আর আমায় খুঁজে পাবেনা,হয়তো খুঁজবেওনা।তোমায় নিয়ে অনেক কথামালা সাজিয়েছিলাম।বৃষ্টির সাথেসাথে তা ধুয়ে কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে কাল রাতে।এভাবে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি নামবে।শহরের রাজপথ আর অলিগলি সিক্ত হবে।মাঝরাতে জানালার পাশে বসে সোডিয়াম আলোয় বৃষ্টি দেখবো।ব্যালকনি তে ভিজে যাবে নীল তোয়ালে।আমি তখনো একলা বসে তোমার অপেক্ষায়। আবারো বৃষ্টি নামবে,হয়তো নীল শাড়ি পড়ে T.s.cতে ভিজবো আমি।কিন্তু সেদিন একগুচ্ছ বৃষ্টিভেজা কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়াবে কি।বলবে কি,আমিই তোমার সেই বৃষ্টিবন্ধু।আমি জানিনা কে তুমি।তুমি যেই হওনা কেনো,সারা জীবনে অন্তত একবার আমার সামনে এসে দাঁড়িও।আর কিছু চাইনা তোমার কাছে।বৃষ্টিবন্ধু----সময় টা ছিল ১৫ফেব্রুয়ারি ২০১৪।তোমার প্রথম ফোনকল।সেদিন সেই বছরে প্রথম বৃষ্টি নেমেছিল। তাই বলা যায়,কোনো এক বছরের প্রথম বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে তুমি আমার জীবনে।ভিজিয়ে দিয়ে গেছো আমার মনের ধূধূ প্রান্তর।তুমি আমায় চেনো কিন্তু আমি তোমায় চিনিনা।এমন অর্ধ পরিচয়ে কারো সাথে কথা বলিনি কখনো।কিন্তু তোমার মাঝে কি যেনো ছিলো,যার টানে ৩দিন দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছিলাম। মন্ত্রমুগ্ধের মত তোমার কথা শুনতাম।৩দিনের বন্ধুত্বে এতটা আপন হয়ে গিয়েছিলে তুমি ভাবতেও পারবেনা।তোমার পরিচয় যেটুকু দিয়েছো সেটুকুই বিশ্বাস করেছিলাম, আজো করি।কখনো তুমি শহিদুল্লাহ হলের ছাদে বসে কথা বলতে,কখনো বা ক্যান্টিনে।আবার কখনো কখনো বৃষ্টি ভেজা ঝরা পাতা মাড়িয়ে অনেক রাত পর্যন্ত ফজলুল হক হলের পুকুর পাড় পেড়িয়ে কার্জন হলের অলিগলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে।তুমি আমার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে অস্পষ্ট ছায়ার মত।তারপর ফোন করে বলতে আমাকে।আজো তুমি অস্পষ্ট ছায়া হয়েই রইলে।আমার সাথে তোমার দেখা করার কথা ছিলো। তা আর হয়ে ওঠেনি।আমি বলেছিলাম,যদি এমন কোনো দিন আসে যেদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হবে,নীল শাড়ি পড়ে আমি বৃষ্টিতে ভিজবো T.s.cতে,সেদিন তুমি একগুচ্ছ কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ো। তুমি বলেছিলে সেটা খুব টাফ।কিন্তু আজ দেখছি সেটা শুধু টাফ নয়,অসম্ভব ও বটে।কিন্তু ২৯মে আমি সত্যি অঝোর বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম T.s.cতে,সেদিন তুমি আসোনি।সেইদিন বৃষ্টিশেষে শহিদুল্লাহ হলেও গিয়েছিলাম। মনেমনে তোমায় খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।বৃষ্টির জলের সাথে তোমার স্মৃতির মিশ্রণে ফজলুল হক হলের পুকুরপাড় এ বসে চা খাওয়ার সময় ভেবেছিলাম,এ পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে কত কথা বলেছিলে তুমি।আজ কোথায় তুমি।৩দিন কথা বলার পর দীর্ঘ ছুটিতে আমি বাড়ি চলে গেলাম,ফিরে এসে আর তোমাকে পেলামনা। সেই যে নাম্বার বন্ধ করে দিয়েছিলে,আজো তাই।তারপর কয়েকবার তোমার হলে যেতে হয়েছে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে।নীরব দৃষ্টিতে তোমায় খুঁজেছি চারপাশে।কিন্তু দৃষ্টি আশাহত হয়ে ফিরে এসেছে বারবার। তোমায় যতটা চিনেছি,তুমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু তাই বলে এভাবে আত্মগোপন কেনো।তুমি তো জানতে আমি বৃষ্টি ভালবাসি।তবু কেনো বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে আমার জীবনে।যাতে কোনোদিনো তোমায় ভুলতে না পারি তাইতো।৩দিনের বন্ধুত্বে এভাবে যে তোমায় মনে রেখেছি,তুমি ভাবতে পারবেনা।ভাবতে পারলে আমার সামনে এসে ঠিক দাঁড়াতে।জানো বছর ঘুরে এই ১৫ফেব্রুয়ারি রাতেও অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমেছে। শুধু আসেনি তোমার ফোনকল। কিভাবে আসবে বলো।আমি তো নাম্বার বদলে ফেলেছি।ভালোই হয়েছে আর আমায় খুঁজে পাবেনা,হয়তো খুঁজবেওনা।তোমায় নিয়ে অনেক কথামালা সাজিয়েছিলাম।বৃষ্টির সাথেসাথে তা ধুয়ে কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে কাল রাতে।এভাবে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি নামবে।শহরের রাজপথ আর অলিগলি সিক্ত হবে।মাঝরাতে জানালার পাশে বসে সোডিয়াম আলোয় বৃষ্টি দেখবো।ব্যালকনি তে ভিজে যাবে নীল তোয়ালে।আমি তখনো একলা বসে তোমার অপেক্ষায়। আবারো বৃষ্টি নামবে,হয়তো নীল শাড়ি পড়ে T.s.cতে ভিজবো আমি।কিন্তু সেদিন একগুচ্ছ বৃষ্টিভেজা কদমফুল নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়াবে কি।বলবে কি,আমিই তোমার সেই বৃষ্টিবন্ধু।আমি জানিনা কে তুমি।তুমি যেই হওনা কেনো,সারা জীবনে অন্তত একবার আমার সামনে এসে দাঁড়িও।আর কিছু চাইনা তোমার কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৭