আমার প্রেমিকা তার অন্য প্রেমিকের দ্বারা প্রেগন্যান্ট হয়।
কিন্তু বাচ্চাটি আমার।
তার নাম মিরুজিন নদী।
হাজার বছর আগে
জীবনানন্দের কাছ থেকে এই নাম ধার করি ।
যেহেতু তারা কাজি অফিসে যায় নি-
আমার প্রেমিকা
শহরের মেটার্নিটিতে যায়।
নার্স মিরুজিনকে চেনে না।
সে মিরুজিনকে তার অভয়াশ্রম থেকে টেনে বের করে আনে।
ভেতর- বাহিরে সুর্যের মত লাল,
জ্বলজ্বলে মিরুজিন, কাদতে পারে না!
নার্স মিরুজিনকে চেনে না।
সে মিরুজিনকে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।
যেহেতু আমি ওর জৈবিক জন্মের সাথে জড়িত নই,
এবং যেহেতু এটা খুবই ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার;
আমার প্রেমিকা আমাকে এসব কিছুই জানাতে পারে না।
চীনের নপুংষক দৈত্যরা
তাদের যৌনশক্তি বাড়ানোর জন্য মানবভ্রুণ খাওয়া শুরু করে।
তারা আমাকে একটি ছবি পাঠায়-
গরম কড়াই থেকে খুন্তি দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে
যেভাবে ভাজা জিলাপি তোলা হয়, সেভাবে
একটি অপূর্ণ মানবশিশুকে কড়াই থেকে তুলে আনার ছবি।
আমার মতিভ্রম হয়!
মিরুজিন আমাকে ডাস্টবিনে টেনে নিয়ে যায়।
আমি ডাস্টবিনে নেমে যাই।
মিরুজিন ডাস্টবিনে নেই।
সে চীনের কড়াইতে ভাজা হয়ে যাচ্ছে!
আমার মাথার মগজগুলো বমি হয়ে যায়।
আমার প্রেমিকা খুবই শোকাহত হয়।
সে শোকের কবিতা বানায়।
শোকে বিহবল হয়ে, যাতে আর মেটার্নিটিতে যেতে না হয়-
আরেকজন প্রেমিককে নিয়ে কাজি অফিসে যায়।
আর,
ফেসবুকে শোকাহত বিয়ের পিকচার আপলোড দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯