বাংলায় নামঃ তিসি
বৈজ্ঞানিক নামঃ linum usitatissimum
তিসি তেল ও আঁশ উৎপাদনকারী গুল্ম। মিশরে লিনেন জাতীয় বস্ত্র তৈরীতে এর ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে তেল বীজ ও আঁশ হিসাবে ব্যবহার হয়।
এটি ৩০ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ উঁচু হয়। ফুল নীল, সাদা বা হালকা গোলাপী হয়। প্রতিটা ফুলে পাঁচটি করে পাপড়ি থাকে। ভোর বেলা ফুল ফোটে এবং বিকালে ঝড়ে যায়। কান্ডের বাকল বা ছাল থেকে আঁশ তৈরী হয়।
আশ সংগ্রহের জন্য উদ্ভিদের কান্ড পানির নীচে ৭-২১ দিন রেখে আঁশ সংগ্রহ করা হয়। জাগ দেওয়া ও আঁশ সংগ্রহ পাট হতে আঁশ সংগ্রহের মতো।
সেই লেখাটা কপি করলাম
সাম্প্রতিক ইন্টিগ্রিটিভ অঙ্কোলজি সোসাইটি’র জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রতিসপ্তাহে অন্তত ১৪ বার হট ফçাশ হয় এমন মহিলারা যদি দিনে ৪০ গ্রাম করে তিসি ৬ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত খান তাহলে তাদের হট ফçাশের সংখ্যা এবং তীব্রতা অর্ধেক-এ নেমে আসে। গবেষক সন্ধ্যা প্রুথী এবং তার সহযোগীরা মাসে প্রতিসপ্তাহে আন্তত ১৪ বার খুব অস্বস্তিকর হট ফçাশ হয় এবং অন্যান প্রাক মেনোপোজাল লক্ষন যেমন বমি বমি ভাব, অতিরিক্ত ঘাম, মাংস পেশী এবং অস্থি সন্ধির ব্যথা, মাথা-ব্যথা, নার্ভাসনেস এবং নেগেটিভ মুড সুইং হয় এবং যারা কোনো হরমোন থেরাপী নিচ্ছে না এমন ৩০ জন মহিলার উপর গবেষনা করে এ মতামত প্রকাশ করেন। তারা এ সব মহিলাদের দিনে ৪০ গ্রাম (৪ টেবিল চামচ) তিসি (প্রতি চামচ অন্তত ১৫০ মিলি লিটার বা অর্ধেক কাপ) পানির সাথে ৬ সপ্তাহ ধরে খেতে দেন এবং তাদের হট ফçাশের সংখ্যা, তীব্রতা এবং আন্যান মেনুপজ সংক্রান্ত শারীরিক লক্ষন গুলো রেকর্ড করেন। তারা ৬ সপ্তাহ পরে দেখেন যে হট ফçাশের স্কোর (ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা) পুর্বের চেয়ে ৫৭% কমেছে এবং গড় সংখ্যাও প্রতিদিন ৭.৩ থেকে কমে ৩.৬ এ এসেছে। অন্যান লক্ষন যেমন রাগ, ক্লান্িত, নেগেটিভ মুড সুইং , শীত বোধ, ঘাম, মাংশপেশী ও অস্থি সন্ধির ব্যথা ও কম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবী করা হয়। প্রায় একই রকম গবেষনা লব্ধ ফলাফল কানাডার কুইবেক প্রদেশের লাভাল বিশ্ববিদ্যাল্যের গবেষক লেমায় এবং তার সহযোগীরা প্রকাশ করেন। তারা ২৫ জন মহিলাকে দুই মাস প্রতিদিন ৪০ গ্রাম করে তিল খেতে দেন এবং দেখেন যে অল্পমাত্রার প্রাক মেনুপজাল লক্ষন কমানোর জন্য তিসি বিশেষ ভাবে ভুমিকা রাখতে পারে। তারা আরও বলেন যে অল্প মাত্রার মেনোপোজাল লক্ষনের খেত্রে তিসি প্রতিদিন ০.৬২৫ মিলিগ্রাম ইস্ট্রোজেন এর মত কাজ করে। যে সব মহিলারা অল্পমাত্রার লক্ষনের জন্য এস্ট্রোজেন হরমোন খেতে চান না তাদের জন্য তিসি একটা বেশ ভাল বিকল্প হতে পারে।
(ডায়েটিসিয়ান নিউজ, কানাডিয়ান ফç্যাক্স কাউনসিল থেকে সংকলিত)
সময় থাকলে পড়া হউক
http://amarblog.com/nasreen-sultana/5834