বাংলা নামঃ হিজল
অন্যান্য স্থানীয় নামঃ নদীক্রান্ত, জলন্ত, কার্ম্মক এবং দীর্ঘপত্রক, Barrigntonia, Freshwater Mangrove plant, Samundarphal
বৈজ্ঞানিক নামঃ Barringtonia acutangula
পরিবারঃ Lecythidaceae
বৈজ্ঞানিক বিভাজন এই ভাবে
Kingdom: Plantae
Division: Magnoliophyta
Class: Magnoliopsida
Order: Ericales
Family: Lecythidaceae
Genus: Barringtonia
Species: B. acutangula
হিজল মাঝারি আকারের চিরহরিৎগাছ। বাকল ঘনছাই রঙের ও পুরু। ডালপালার বিস্তার চারদিকে। উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ মিটার। জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এবং বাঁচে দীর্ঘদিন। বাংলাদেশের জলাবদ্ধ এলাকা খাল, বিল, নদী-নালা, হাওর, বাঁওড় ও ডোবার ধারে সর্বত্র হিজল গাছ চোখে পড়বে। হিজলের নাম শোনেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
সংস্কৃত ভাষায় হিজলকে বলে নিচুল, হিজল ফুল ফোটে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। গোলাপি রঙের হিজল লম্বা পুষ্পদণ্ডের মধ্যে অসংখ্য ফুল ঝুলন্ত অবস্থায় ফোটে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুল ফোটা শুরু হয়। সকালের আলোয় ঝরে যায়। হিজলতলায় সকালে গেলে মনে হবে গোলাপি বিছানা পাতা। গ্রামে-গঞ্জে পানির ওপর পড়া হিজল ফুলের আস্তরণ চেনা রূপ। রাতে বা ভোরে হিজল তলার সামনে দিয়ে গেলে বা দূর থেকেও এর মাদকতাপূর্ণ মিষ্টি ঘ্রাণে মাতাল হতে হয়! হিজল ফুলের গন্ধে মাতাল কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাই লিখেছেন,
’পিছল পথে কুড়িয়ে পেলাম হিজল ফুলের মালা।
কি করি এ মালা নিয়ে বল চিকন কালা···’।
হিজল ফুল শেষ হলে গাছে ফল আসে। ফল তিতা, দেখতে অনেকটা হরীতকীর মতো।
নেট থেকে - রিমিক্স