ইতিহাসের অত্যন্ত নিম্নমানের একটি নির্বাচনী নাটক অনুষ্ঠানের সাফল্য লইয়া আওয়ামী ব্লগারগণের কিয়দংশের মধ্যে যাহার পর নাই আত্মশ্লাঘা অনুভব পরিলক্ষিত হইতেছে। উহাতে অবশ্য অধমের কোন অসুবিধা নাই। কেননা কথায় রহিয়াছে- পাগলের সুখ মনে মনে। উহাতে অন্য কেহ বাঁধা দিবে কিরূপে? তবে অধিক উচ্ছাসসৃষ্ট হ্রস্যদৃষ্টির কারণে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত কতিপয় বিপদসংকেত তাহারা আমলে আনিতেছে না। নিতান্ত শুভানুধ্যায়ী বলিয়াই আওয়ামী ব্লগারগণের দৃষ্টি অধম এইদিকে আকর্ষণ করিতেছে।
ইহা সর্ব্জনবিদিত যে, আওয়ামীগণ বিরচিত এই নির্বাচনী নাটকে অতিথিশিল্পি রুপে আবির্ভূত হইয়াছিল ভোটারদের কিঞ্চিত পরিচিতমুখ জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কাস পার্টি ও জাসদ। কিন্তু একি? নাটকের যবনিকাপাতের পূর্বেই অতিথি কুশীলবদের মধ্যে এইসকল কি দেখিতেছি!
হোমো এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আরেক দফা ভাঙ্গিল। মহাজটীয় নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ ও নির্বাচনের নাটকে অংশগ্রহণ লইয়া মতবিরোধের জেরে বহিষ্কার এবং পাল্টা বহিষ্কার ঘটিয়াছে জাতীয় পার্টিতে। কাজী জাফরীয় নয়া জাতীয় পার্টির উদ্ভব হইয়াছে।
একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও দলের সভাপতি রাখা মেননের মহাজটীয় নির্বাচনী সরকারে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিবার প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি হইতে পদত্যাগ করিয়াছেন দলটির দুই নেতা।
একতরফা নির্বাচনে অংশ লওয়াকে কেন্দ্র করিয়া হাহ ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা-কর্মীদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ। তাহাদের মতে, জাসদ উহার নীতি-আদর্শ ভুলিয়া আওয়ামীগণের সহযোগী সংগঠনের মত আচরণ করিতেছে।
চক্ষুষ্মানেরা দেখিয়াছে আওয়ামীগণ বিরচিত নির্বাচনী নাটকে বিরোধীশিবিরের কিছু কুশীলবকে ভাঙ্গানি দিয়া আনিবার প্রয়াসে বশংবদ নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে বিএনএফ নামীয় দল গঠন ও নিবন্ধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছিল। পরিতাপ! তাহা তো হইলই না, গনধিকৃত নাটকে অভিনয়ের কারণে উল্টা এখন নিজদিগের অস্তিত্ব লইয়া টানাটানি পড়িয়াছে। পরিদৃষ্ট হইতেছে মেলা ভাঙ্গিবার আর অধিক বিলম্ব নাই। একে একে নিভিছে দেউটি!