সেতুমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর বিদেশে গিয়েছেন সৌজন্য সফরে। সে দেশের এক সিনেটর তাকে নিজ বাসায় নৈশভোজের নিমন্ত্রন জানালেন। সিনেটরের প্রাসাদসম বাসার বিশালত্ব, চাকচিক্য, ব্যয়বহুল আসবাব দেখে চমৎকৃত হলেন মন্ত্রীবর।
“একজন সিনেটরের সামান্য বেতন দিয়ে আপনি কিভাবে এই বাড়ি তৈরী করতে পারলেন?” জিজ্ঞাসা করলেন তিনি।
জবাবে মৃদুহাস্য করলেন সিনেটর, মন্ত্রীকে জানালার দিকে নিয়ে গিয়ে বললেন, “জানালা দিয়ে তাকান, নদী দেখতে পাচ্ছেন?”
“হ্যা, দেখতে পাচ্ছি”
“নদীর ওপর সেতু দেখতে পাচ্ছেন?”
“অবশ্যই দেখতে পাচ্ছি”
“১০ পার্সেন্ট” ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গিতে বললেন সিনেটর।
কিছুকাল পর সিনেটরের সুযোগ হলো প্রতিসফরে আসার। মন্ত্রীবর তার বিদেশ সফরের আতিথেয়তার প্রতিদান দিতে নিজবাড়িতে আমন্ত্রণ জানালেন সিনেটরকে। মন্ত্রীর বিশাল প্রাসাদ দেখে সিনেটর স্তম্ভিত। ব্যয়বহুল আসবাবের সাথে অমূল্য চিত্রকর্ম, শত কর্মচারী দেখে তিনি আর কৌতুহল নিবৃত্ত করতে পারলেন না।
“এরকম একটি দরিদ্র দেশের মন্ত্রী হিসেবে সামান্য কয়েক টাকা বেতন দিয়ে কিভাবে এই বাড়ি আপনি বানালেন?” জিজ্ঞাসা করলেন সিনেটর।
সিনেটরকে জানালার দিকে নিয়ে গেলেন মন্ত্রী, “জানালা দিয়ে ঐ যে নদীটা দেখতে পাচ্ছেন?”
“হ্যা, দেখতে পাচ্ছি”
“নদীর ওপর সেতু দেখতে পাচ্ছেন?”
“কোথায় সেতু?”, চোখ কচলিয়ে নিলেন বিভ্রান্ত সিনেটর, “আমিতো কোন সেতুই দেখছি না।”
“১০০ পার্সেন্ট!” বললেন মন্ত্রীবর।
ফলোআপঃ সেতুমন্ত্রীর দূর্নীতি নিয়ে দেশের মিডিয়ায় হৈচৈ শুরু হলে মন্ত্রীবর অম্লান বদনে ব্যাখ্যা দিলেন- কোনো সেতুই যেখানে তৈরী হয়নি সেখানে সেতু নিয়ে দূর্নীতির প্রশ্ন আসে কোত্থেকে?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪৯