ছোট মুখে বড় কথা বলছি বলে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। রাজনীতি নিয়ে কখনো কিছু লিখতে চাইনি। কিন্তু জীবন্ত পোড়া মানুষের ছবি টিভিতে দেখে লিখতে বাধ্য হলাম।
সামান্য চুলা জালাতে গিয়ে ম্যচের কাঠির আগুনে আঙ্গুল পোড়ানোর যন্ত্রনায় সারাদিন অস্থির হয়েছিলাম। একটু হলেও টের পেয়েছি আগুনে পোড়ার কষ্ট কেমন হয়। জিহাদ কে উদ্ধারে যখন চেষ্টা চলছিল তখন আমার চোখে ভাসছিল তার বাঁচার আকুতি, ছোট হাতে লোহার গায়ে আঁচড়ানোর চেষ্টা, কষ্ট হচ্ছিল ভেবে। নিশ্চই সারা দেশের মানুষের মনেও একই অনুভুতি হচ্ছিল। যে কেউ যে উদ্দেশ্যেই হোক ইদানিং অহরহ মানুষ পোড়ানোর ঘটনা ঘটাচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলের ফাঁকে কিছু মানুষ শীতের ঠান্ডায় দগ্ধ শরীরে কেমন যন্ত্রনা ভোগ করছে তা এ দেশের মানুষ অনুভব করছেনা। কারণ আমরা কোন না কোন পক্ষ নিয়ে আছি। ধিক্কার আমাদের। অভিশাপ আমাদের।
বিনা অপরাধে একটা মানুষ পোড়ানোর চেয়ে আমি বরং গণতন্ত্রের জন্য হাজার বছর অপেক্ষা করতে রাজী আছি।
নীচে ধর্ম গ্রন্থ এবং হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিলাম। কেউ যদি এতে বিশ্বাস রাখি তবে এই কর্মকান্ড অবশ্যই ঘৃনা করব।
পবিত্র কোরআন বলছে
“এ কারণেই আমি বনী ইসরাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি, যে কেউ কোন হত্যার বিনিময় অথবা পৃথিবীতে গোলযোগ সৃষ্টি করার অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা করলো সে যেন সমগ্র মানবকুলকে হত্যা করলো, আর যে কারো জীবন বাঁচালো যেন সমগ্র মানবকুলের জীবন বাঁচালো।” (সুরা মায়েদা-৩২)
পবিত্র হাদিস বলছে
“বিচার দিন সবার আগে মানুষ হত্যার বিচার করা হবে।” (বোখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও ইবনে মাযা)
“যখন দু’জন মুসলমান তরবারি (মরণাস্ত্র) নিয়ে পরস্পরের উপর আক্রমন করে, তখন হত্যাকারী ও নিহত দু’জনই দোযখী হবে। আরয করা হলোঃ হত্যাকারীর পরিণতি তো বুঝলাম। কিন্তু নিহত ব্যাক্তির এ পনিণতি হবে কেন? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ কেননা সেও তার বিরোধী পক্ষকে হত্যা করতে চেয়েছিলো।” (আহমদ, বোখারী ও মুসলিম)
“যে কোন অমুসলিম নাগরিক কে খুন করবে, সে বেহেশতের ঘ্রাণও পাবে না, যদিও জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের পথের দূর থেকে পাওয়া যাবে।” (বোখারী)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৪