উত্তর গোলার্ধের মানুষ যখন ডিসেম্বর জানুয়ারির শীতে ঘরের ভেতরে কুঁকড়ে ঝিম মেরে আছে, তখন দক্ষিন গোলার্ধের লোকেরা গরমে হাঁপিয়ে ছুটে হয়ত বাইরে হাওয়া খেতে বেরিয়েছে। নর্দার্ন ও সাউদার্ন হেমিস্ফিয়ারের ঋতু বৈচিত্রের এই তারতম্য পৃথিবী ও সূর্যের ঘূর্ণন প্রক্রিয়ার খাম খেয়ালি ছাড়া আর কিছুই না। উত্তরে গোলার্ধে যখন শীতের ঝরা পাতাদের... বাকিটুকু পড়ুন

ছোটবেলায় বাসার পাশে শিক্ষা অফিস। সেই অফিসে এক অফিসার থাকতেন। হোমড়াচোমড়া বিশালদেহী লোকটি খুব ভালোবাসতেন আমাকে। লোকটির বাড়ি অন্য জেলায়, অফিসেই বাস গেঁড়েছেন। আমি বাড়ির উঠোনে খেলতাম। ভদ্রলোক জানালা দিয়ে খেলা দেখতেন, এটা ওটা খাবার জন্য অনুরোধ করতেন। আমি জানালার শিকের কাছে গিয়ে ইতস্তত করে ফিরে আসতাম। একদিন মা-ই বলল,... বাকিটুকু পড়ুন

সেদিনের দুপুরটা ছিল ভীষণ হলদে। মে মাসের দুপুর, নিষ্ঠুর ভাবে পুড়ছিল সব। বিকেলের দিকে একটু বাতাস ছাড়ল তবে সেও কি গরম! যেন এক হাড়ি গরম ভাতের ভাপ। সেই ভাপের দিনে একটা জলের ফোঁটার মত টলছিলাম আমি, কচু পাতায় জল যেমন টলে। কোন এক অভিমানে চোখের কোটর দুটো ভরে জলের ডোবা... বাকিটুকু পড়ুন

আজকের সকালটা কেমন ছিল বলি। গোসলের পর মেয়েদের চুল ভাল করে মুছে নিলে যেরকম হয় সেরকম। স্নিগ্ধ মায়াময় পরিছন্ন আদ্র তবে ঠিক ভেজা নয়। গত কদিনের সকাল ছিল ভীষণ বাজে। বৃষ্টি নেই, তবে সারাদিন পানির ফোঁটা আর স্যাঁতস্যাঁতে একটা গুমোট ভাব।

সকালে বাস ধরলাম। সিট পেলাম বাসে। তবে সে ভার্টিক্যাল বরাবর।... বাকিটুকু পড়ুন

আইবুড়ো মেয়ে অনেকটা বাসি খাবারের মত। খাবার বাসি হলে লোকে যেমন ভীষণ ভাবে, এত খাবার শুধু শুধু নষ্ট হবে, একটা বিহিত যদি করা যেত। বাসি ভাত আছে, আচ্ছা তেল মরিচ দিয়ে ভেজে ফেল, তরকারী আছে গরম দিয়ে ফেল। ভাজা হলে, খাওয়া গেলে লোকের স্বস্তি আর তা না হলে যতক্ষণ না... বাকিটুকু পড়ুন

কারো কারো লেখা পড়ছি। কোরবানির বীভৎসতা দেখে তাদের হৃদয় কাঁদছে। তবে আমার একটুও কাঁদছে না। কারন এই ঈদেই আমি প্রচুর লোককে হাসতে দেখেছি। মাংস আসার আগেই গেটের সামনে ভিড় হত লোকদের। সন্ধ্যে পর্যন্ত সে চলত। আমাদেরও তো আস্ত গরু কুরবানি নয়, ভাগের মাংস, দিয়ে কুলানো যেত না। শেষে তো মা... বাকিটুকু পড়ুন

সবাই তো বলে মেয়ে হলে নাকি ব্লগে হিট, বই প্রকাশে হিট। শুধু হিট আর হিট। আমার ব্লগার নামটা পুরুষের মত। ইচ্ছে করে রাখিনি, এর একটা কাহিনী আছে, আজ বলতে ইচ্ছা করছেনা। আজ আমি খুব ক্লান্ত। ব্লগে আমাকে তো আগে সবাই লিখত ধন্যবাদ অতন্দ্র ভাই। অনেকেই লিখেছে এতদিন আমাকে তারা... বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের বাড়িতে বাবার অসুখ করত, জ্বর হত, পেটে ব্যাথা হত, মাথা ধরত, শিরায় টান পড়ত, গরম লেগে যেত। মায়ের এসব কিছুই হত না। সারাদিন উনুনের পাশে থাকলেও না। মার শরীরটি ছিল বড় নীরোগ। আমাদের দেশের সব মায়েরাই খুব নীরোগ হয়। বাবারা হয় না। বাবারা মুরগীর রানটা খায়, মাছের মাথাটা খায়,... বাকিটুকু পড়ুন

http://www.priyo.com/2014/07/23/88422.html

আমার কাছে কিন্তু ব্যাপারটা একদমই সুড়সুড়ির মনে হয়নি। সুড়সুড়ির বই দরকার হলে এই সহজলভ্যতার যুগে ছেলেমেয়েরা এমনিতেই যোগাড় করে নিতে পারে। যখন সহজলভ্যতা ছিল না তখনও কিন্তু অসুবিধে হয়নি। অনেকের সংগ্রহেই এসব বই ছিল। বরং এমনও কিছু বই পাওয়া যেত; এবং সেগুলো এত অল্পবয়সীদের সংগ্রহে ছিল শুনে কিছুটা অবাকই হতে... বাকিটুকু পড়ুন

ভালবাসা বলতে যা শিখেছি,
স্বামীর কাছে শিখেছি,
যখন তখন চুমু আর সংগম।

বাবা-মায়ের কাছে শিখেছি,
অনেক বড় হতে হবে।
কেউ ছোঁয়ার আগে তাল গাছটা আমাকেই ছুঁতে হবে।

শ্বশুরবাড়ির কাছে শিখেছি,
ঘরের বউ লক্ষ্মী, সংসারী, উচ্চ শিক্ষিতা, কর্পোরেট হতে হবে।
তবে ঘরের যে কোন ব্যাপারে, সিদ্ধান্তে মুক ও বধির থাকতে হবে।

বড় বোনের কাছে শিখেছি ,
বিদেশ... বাকিটুকু পড়ুন

কবিতা ১-

আমি কিছুতো চাইনি তোমার কাছে,
আলতা ফিতে প্রসাধনী চুড়ি,
সে যে আমি নিজেই কিনতে পারি।
অথবা বাজারের ঝলমলে শাড়ি
সে আমার না হলেও চলে,
অথবা মাসের খরচা,
আমার নিজেরই তো কিছুটা জমেছে

তবুও তো কিছু চেয়েছিলাম আমি, দিনের সবকটি ঘণ্টায় তুমি যেন পাশে থাকো।
একদম গায়ে গায়ে থাকবার দরকার নেই।
তোমার কাজ নির্বিঘ্নেই... বাকিটুকু পড়ুন

শরীর আবার খারাপ করেছে, গতকাল থেকেই খারাপ করেছে। কথা বললেই, মাথা নাড়লেই অসুবিধে। তবুও গত দুইদিন অনেক কথা বলেছি। নতুন কিছু ছেলে এসেছে, তাদের দেখলেই হেসেছি, কথা বলেছি। আর বলেছি প্লিজ বাসায় এসো। নতুন ছেলেগুলো খুব ভালো।
শরীর খারাপ নিয়ে কোন কিছু লিখতে মা নিষেধ করেছে। তাতে, শ্বশুর বাড়ির লোকেরা... বাকিটুকু পড়ুন

আমার এক জুনিয়র ভাই আছে। সে রোজ মসজিদে যায়, নামাজ পড়ে।
আমি যেহেতু তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি, ফেসবুকে তার কর্মকাণ্ড দেখি, সেহেতু আমি জানি ঈশ্বর যে আছে এ কথা সে নিশ্চয়ই মানে না। একদিন তাকে ধরলুম, আচ্ছা তুই কার কাছে যেয়ে কপাল ঠুকিস বলত? তুই যদি জানিস... বাকিটুকু পড়ুন

[ এই সিরিজের ঘটনাগুলো জীবন্ত আর ভীষণ সত্যি, কল্পনার মিশেল সেখানে নেই। তবুও গল্পগুলো কখনও প্রচণ্ড সুন্দর- রঙিন, আবার কখনও রঙহীন-বিবর্ণ আর ভীষণ দুর্গন্ধময়। ধারাবাহিকের চরিত্র কখনও আমি নিজে, কখনও আমার পরিচিত কেউ, কাছের কেউ। তবে সব ছদ্ম নামে লেখা। কাউকে বিব্রত করতে আমি চাইনে, নিজেকেও নয়। কারণ... বাকিটুকু পড়ুন