মোবাইলে দেখি সকাল ৭ টা বাজে, আমরা নাকি মালদা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার এগোতে পেরেছি। একেই বলে শিরে সংক্রান্তি। রাস্তা বন্ধ, মাল পত্তর নিয়ে হাঁটতে লাগলাম, দূরে বাইপাস দিয়ে দেখি বাস যাচ্ছে, কিছুটা হেঁটে যেতেই বাইপাস কানেক্টর, দেখি অনেকেই গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে। কিন্তু শিলিগুড়ি যেতে কেউ রাজি নয়। হটাত দেখি আর একটা রকেট বাস ঝড়ের গতিতে আসছে, এটা রাত ৮ টায় কোলকাতা থেকে ছাড়ে। বাসে উঠে আবার টিকিট করতে হল, বাস কিছুদুর যেতেই জ্যামের আসল কারন বুঝতে পারলাম,সেই ব্রিজ ভাঙ্গার কারনে রাস্তা বন্ধ আছে, রাস্তার ধারে পরপর মালবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে।অনেক ট্রাক থেকেই পচা গন্ধ বেরচ্ছে। উল্টো দিক দিয়ে কোন গাড়ি ও আসছে না, সেই সুযোগ নিয়েই আমাদের বাস প্রায় উড়ে চলেছে। মাঝে হাই রোড ছেড়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে বাস চলতে শুরু করল, অনেক টা ঘুরে হাই রোডে উঠে শিলিগুড়ি পৌঁছতে বেলা ২ টা বাজল, এটাই নাকি কোলকাতা থেকে আসা প্রথম বাস। টেনজিন নরগে বাসস্ট্যান্ডে, চান খাওয়া সেরে লাভা যাবার গাড়ির খোঁজ করতে গেলাম, সেখানেও খারাপ খবর। দার্জিলিং এ হরতাল চলছে ।খালি সিকিমগামী রাস্তা বন্ধের আওতা থেকে বাদ আছে।দার্জিলিং এর কোন গাড়ি পাহাড়ে উঠবে না গেলে ও অনেক ভাড়া লাগবে আবার রিস্ক ও আছে । তাতেও রাজি ছিলাম কিন্তু সে আশাও জলে যাচ্ছে বুঝতে পারছি। এদিকে বিকাল হয়ে আসছে। হুট করে ঠিক করলাম গ্যাংটক যাব, ৪ টার সময় বাস ছাড়বে যেতে ঘণ্টা পাঁচেক সময় লাগবে। ছোট মিনি বাস অগ্রিম টিকিট কেটে জানলার ধারে সিট পাওয়া গেল। সত্যি বলতে কি আমাদের সেই সময়ে সিকিম সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। খালি এই টুকুই জানি সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক।মনে একরাশ উত্তেজনা, কি করব কি দেখব ভাবতে ভাবতে দেখি বাস ছেড়ে দিয়েছে...... আগের পর্ব - সিকিমের উত্তর
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪