somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিয়ানমারকে মুসলমানশূন্য করতে চায় সেনাবাহিনী

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গ্রামের প্রবেশমুখেই একটা সাইনবোর্ড লাগানো। এতে লেখা, ‘এই গ্রাম মুসলমানশূন্য এলাকা’। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাইরের একটি গ্রাম এটি। মূলত রোহিঙ্গা মুসলমানদের দূরে রাখতেই এই সাইনবোর্ডটি লাগানো, যাদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিগৃহীত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

কারণটা কঠিন কিছু নয়। সেই ১৯৯২ সাল থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে মিয়ানমার সরকার। নিজের দেশের ভেতরেই এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে তাদের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হয়। অতিক্রম করতে হয় অভিবাসন চেক পয়েন্ট। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকারগুলোর বিষয়েও বৈষম্যের শিকার রোহিঙ্গারা।

নে সান লুইন নামের একজন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট বলেন, ‘তারা (মিয়ানমার সরকার) গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের উন্মুক্ত কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। ১৯৭৮ সাল থেকে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী, তারা দেশে হানা দিতে এসেছে—এসব বলে তারা সাধারণ মানুষের মগজধোলাই দিচ্ছে।’

নে সান লুইন বলেন, ‘আমরা রাখাইনের ভূমিতে এসেছি সপ্তম শতকে। একাদশ শতকে রাখাইন বৌদ্ধরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় দক্ষিণাঞ্চলে যারা বাস করছিল, তাদের উত্তরাঞ্চলের দিকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়। (তারপর তারা বলতে শুরু করল) উত্তর দিক থেকে দেশে হামলা হচ্ছে। এটা আসলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ইতিহাসের মতো, যেমনটা আমরা জানি, ফিলিস্তিনের লোকজন এখন অভিবাসীতে পরিণত হয়েছে।’ তাঁর মতে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীই আসলে চায় না রোহিঙ্গারা সেখানে টিকে থাকুক।
অং সান সু চির দল ক্ষমতায় আসার পর বহু রোহিঙ্গাই আশাবাদী হয়েছিল। কিন্তু তাঁর গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ও রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চলছে। গত ২৫ আগস্ট শুরু হয় সাম্প্রতিকতম অভিযানটি। এবারের অভিযানেই দেশছাড়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা।
ইউরোপ-প্রবাসী ব্লগার নে সান লুইন বলেন, ‘তিনি আমার নায়ক ছিলেন। আমরা তাঁকে সমর্থন করেছিলাম। সব রোহিঙ্গাই তাঁকে সমর্থন করেছিল। তিনি ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গাদের ভাগ্য বদলাবে বলে মনে করেছিলাম আমরা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিপরীতটাই ঘটেছে।’ তাঁর মতে, চীনের সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে রাখাইন রাজ্য খালি করছে মিয়ানমার। এই এলাকায় কিয়াউক পিউ স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে সরকারের। তবে এ প্রকল্পই যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণের একমাত্র কারণ, তা নয়। রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি বা ভাষাও কোনো সমস্যা নয় এখানে। নে সান লুইনের মতে, রোহিঙ্গাদের ধর্মই মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে সব মুসলিম মুছে ফেলতে (সেনাবাহিনীর) পরিকল্পনা রয়েছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। ২০ বছরের মধ্যে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গামুক্ত করার পর তারা অন্য কোনো সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের পেছনে লাগবে।’
গ্রামের প্রবেশমুখেই একটা সাইনবোর্ড লাগানো। এতে লেখা, ‘এই গ্রাম মুসলমানশূন্য এলাকা’। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাইরের একটি গ্রাম এটি। মূলত রোহিঙ্গা মুসলমানদের দূরে রাখতেই এই সাইনবোর্ডটি লাগানো, যাদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিগৃহীত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

কারণটা কঠিন কিছু নয়। সেই ১৯৯২ সাল থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে মিয়ানমার সরকার। নিজের দেশের ভেতরেই এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে তাদের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হয়। অতিক্রম করতে হয় অভিবাসন চেক পয়েন্ট। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকারগুলোর বিষয়েও বৈষম্যের শিকার রোহিঙ্গারা।

নে সান লুইন নামের একজন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট বলেন, ‘তারা (মিয়ানমার সরকার) গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের উন্মুক্ত কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। ১৯৭৮ সাল থেকে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী, তারা দেশে হানা দিতে এসেছে—এসব বলে তারা সাধারণ মানুষের মগজধোলাই দিচ্ছে।’

নে সান লুইন বলেন, ‘আমরা রাখাইনের ভূমিতে এসেছি সপ্তম শতকে। একাদশ শতকে রাখাইন বৌদ্ধরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় দক্ষিণাঞ্চলে যারা বাস করছিল, তাদের উত্তরাঞ্চলের দিকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়। (তারপর তারা বলতে শুরু করল) উত্তর দিক থেকে দেশে হামলা হচ্ছে। এটা আসলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ইতিহাসের মতো, যেমনটা আমরা জানি, ফিলিস্তিনের লোকজন এখন অভিবাসীতে পরিণত হয়েছে।’ তাঁর মতে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীই আসলে চায় না রোহিঙ্গারা সেখানে টিকে থাকুক।
অং সান সু চির দল ক্ষমতায় আসার পর বহু রোহিঙ্গাই আশাবাদী হয়েছিল। কিন্তু তাঁর গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ও রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চলছে। গত ২৫ আগস্ট শুরু হয় সাম্প্রতিকতম অভিযানটি। এবারের অভিযানেই দেশছাড়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা।
ইউরোপ-প্রবাসী ব্লগার নে সান লুইন বলেন, ‘তিনি আমার নায়ক ছিলেন। আমরা তাঁকে সমর্থন করেছিলাম। সব রোহিঙ্গাই তাঁকে সমর্থন করেছিল। তিনি ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গাদের ভাগ্য বদলাবে বলে মনে করেছিলাম আমরা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিপরীতটাই ঘটেছে।’ তাঁর মতে, চীনের সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে রাখাইন রাজ্য খালি করছে মিয়ানমার। এই এলাকায় কিয়াউক পিউ স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে সরকারের। তবে এ প্রকল্পই যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণের একমাত্র কারণ, তা নয়। রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি বা ভাষাও কোনো সমস্যা নয় এখানে। নে সান লুইনের মতে, রোহিঙ্গাদের ধর্মই মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে সব মুসলিম মুছে ফেলতে (সেনাবাহিনীর) পরিকল্পনা রয়েছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। ২০ বছরের মধ্যে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গামুক্ত করার পর তারা অন্য কোনো সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের পেছনে লাগবে।’
প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×