* শিম্পাঞ্জিঃ
মানুষের সাথে ৯৮.৬ % ডিএনএ ম্যাচিং। নারী শিম্পাঞ্জির গর্ভধারণ সময় ৮ মাস, ঠিক মানুষের মত। শিম্পাঞ্জিরা খুবই বুদ্ধিমান। এরা মানুষ এবং স্বজাতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করতে পারে। স্বভাবেও এরা মানুষের মতোই সামাজিক। মানুষের মতোই এরা ভাবাবেগ প্রকাশ করতে পারে, নিজের স্বজাতির অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, প্রয়োজনমাফিক ছোটখাটো হাতিয়ার বানাতে পারে। শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মানুষের আরেকটি বড় মিল হলো উভয়েরই লেজ নেই। শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে যৌন সহনশীলতা কম। আলফা পুরুষ কঠোরভাবে তার হেরেম পাহারা দিয়ে থাকে। ফলে এদের সমাজে সদস্যদের মধ্যে আক্রমানাত্মক প্রবৃত্তি প্রবল। আলফা পুরুষকে লুকিয়ে বহুগামিতার চর্চা থাকলেও সমাজে সবসময় একটা টানাপোড়ন চলতে থাকে।
* বনবোঃ
৯৯.৬% ডিএনএ ম্যাচিং , আমাদের যেমন হাসি, আনন্দ, রাগ, দুঃখ, ঘৃণা ,ভালোবাসা আছে, বনবোদের তারচাইতেও বেশি ইমোশন আছে। এজন্যই এদের বলা হয় - the most emotional of all apes। বনবো সমাজে বিন্দুমাত্র যৌন অসহনশীলতা নেই। এদের সমাজে যৌন মিলন যে শুধুমাত্র বংশ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নয়, এটা পরিস্কারভাবে বুঝা যায়। এদের সমাজে অবাধ বহু বিচিত্রগামী যৌন মিলন চলতে থাকে। যে কোন বিরোধের সূত্রপাত যৌন মিলনের দ্বারা প্রশমিত হয়ে থাকে। ফলে তাদের সমাজ সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ সমাজ। বনবোদের সমাজের সদস্য সংখ্যাও বেশী।
উল্লেখ্য, মানুষের চরিত্রে বনবো ও শিম্পাঞ্জী এই দুই প্রাইমেটেরই বৈশিষ্ট রয়েছে। মানুষ একই চরিত্রে সামাজিক ও ভীষণ আত্মকেন্দ্রিক। কোমল আবার ভীষণ হিংস্র।
* গরিলা :
মানুষের সাথে ৯৮% ডিএনএ ম্যাচিং, প্রাইমেটদের মধ্যে আকৃতিতে বৃহত্তম। এরা প্রাইমেট পরিবারের এক ধরণের তৃণভোজী, মাটিতে বসবাসরত প্রাণী। এদের বাস আফ্রিকা মহাদেশের জঙ্গলে। গরিলাদেরকে দুইটি প্রজাতিতে ভাগ করা হয়। নিরক্ষীয় বা উপনিরক্ষীয় বনাঞ্চলে বাস করে। পাহাড়ী গরিলা আফ্রিকার আলবার্টাইন রিফ পর্বতে বাস করে, সমূদ্রসমতল হতে যে এলাকার উচ্চতা প্রায় ২২২৫ হতে ৪২৬৭ মিটার। সমতলের গরিলারা ঘন জঙ্গলে বাস করে।
* ওরাংওটাং
৯৭% ডিএনএ ম্যাচিং। মালয় শব্দ ওরাং (ব্যক্তি) এবং ইন্দোনেশিয়ান শব্দ ওটাং (অরণ্য)। উভয় মিলে ওরাংওটাং-এর অর্থ দাঁড়ায় অরণ্যের মানুষ। এদের হাতে নারী পর্যটকেরা শ্লীলতাহানির শিকার হয়। অর্থাৎ ইভটিজিং এর রেকর্ড আছে।
* গিবন :
এরা ২৬ ধরণের গান গাইতে পারে, এই গান গাওয়ার সক্ষমতা মানুষ এর পুর্বপুরুষ ১৮ লক্ষ বছর আগেই অর্জন করেছে।
* বাদর :
মানুষের মধ্যে যেমন চাইনিজ ইউরোপিয়ান আফ্রিকান মানুষের চেহারায় পার্থক্য, তেমনি বানরের ২৬০ এর উপরে প্রজাতির রকমফের আছে। বর্তমানে দুই দলের বানর রয়েছে। যারা হল নব বিশ্বের বানর আর পুরাতন বিশ্বের বানর। নব বিশ্বের বানরেরা দক্ষিণ আমেরিকায় বাস করে। পুরাতন বিশ্বের বানরেরা আফ্রিকা এবং এশিয়ায় বাস করে। নব বিশ্বের বানরেরা পুরাতন বিশ্বের বানরদের থেকে ছোট। বানরদের প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রজাতি হল পাইগিমিই মারমোসেট। লেজ বাদে এদের দৈঘ্য ১৪ থেকে সেন্টিমিটার। এদের ওজন প্রায় ১২০গ্রাম। এরা ব্রাজিল,কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে বাস করে।
বাঘ সিংহ জাতীয় বিপদ আসলে বানরেরা চিৎকার করে বলে - কার্ক
ঈগল শকুন জাতীয় বিপদ দেখলে বানরেরা চিৎকার করে বলে - হক
এভাবে ওরা নিজেদের সম্প্রদায়কে সাবধান করে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৮