অনেক অনেক দিন লিখি না। ঠিক করে বললে নয় বছরের পুরনো এই ব্লগ পাতায় আজ লিখছি পাচঁ বছর পর।। মাথার মধ্যে চিন্তার ঘুরপাক যে খায় না তা না, লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আলসেমির জয় হয়। মনের উপর জোর খঁটিয়ে কিছু করার মানে হয় না।
এটা যে খুব বড় পোস্ট দিয়ে প্রত্যাবর্তন সেই রকম কিছু না। জ্ঞান বিতরন কিংবা আহরনের জন্যও না। অনেকটা নিজের সাথে, এবং সবার সাথে কথা বলা।
অনেকদিন হল এই পৃথিবীতে বেচেঁ আছি। হাজারো ঘটনা আবিস্কার ঘটে চলেছে চারদিকে। বলা যায় মানব সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে।
একটি মন খারাপ করা অ্যানালজি (সদৃশ ঘটনা) ইদানিং মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়। চিন্তা করলে উত্তর খুঁজে পাই না। কে বা কারা এই সদৃশ ঘটনাটি প্রথম বলেছেন আমার ঠিক জানা নাই। যাই হোক, আমরা সবাই তো কর্কট রোগ (ক্যান্সার) এর কথা জানি। স হজ ভাষায় এটা হল, অনিয়মিত কোষ বিভাজন। আমাদের দেহ প্রতিনিয়ত কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্ষয়পূরন করে শরীরের।এই বিভাজন কোথায় কিভাবে হবে তার সঠিক দিক নির্দশনা কোষের মধ্যে বিরাজমান জিনের মধ্যে লিখে দেয়া আছে এবং সেই ভাবে হিসাব অনুসারে কোষ বিভাজিত হলে সেটা নিয়মিত। আর যদি সেই বিভাজন নিয়ম নীতি বিবর্জন করে যদি নিজে নিজে বাড়তে থাকে তা হলে সেটা রোগ, ক্যান্সার!
পৃথিবীকে যদি একটা প্রানী হিসাবে বিবেচনা করা যায় তাহলে সব ধরনের প্রানী গোষ্ঠির পরিমান কেমন থাকবে সেটা প্রকৃতিই ঠিক করে দেয়। খাদ্য চক্রের মধ্যে অন্তর্নিহিত হয়ে যায় সকল হিসাব নিকাশ। কিন্তু আমরা মানুষরা, সেই শৃঙ্কল ভেঙ্গে হয়ে উঠেছি ক্যান্সার সেল!
সহজ ভাষায়, আমি নিজে কোন না কোন ভাবে পৃথিবীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছি।
তাপগতিবিদ্যার সূত্র মতে একদিন সবকিছুরই মৃত্যু হবে। আসলে মৃতু কথাটা আমাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, মহবিশ্ব তো থাকবে, অন্য কোন কাঠামোতে। পৃথিবী কত আগে বা পরে মরে গেল তা দিয়ে কিছু আসে যায় না এই মহাবিশ্বের। সঠিক করে বললে, আগে পরে কথাটিও খাটে না মহাবিশ্বের জন্য। কেউ যদি একটি শক্তিশালী অভিকর্ষন ক্ষেত্রের মধ্য বছর দুই কাঠিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তাহলে লক্ষ বছরের পরের পৃথিবীকে দেখতে পাবে। এই মহাবিশ্বের আমাদের অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সবই আবদ্ধ। আমরা খাচাঁয় বন্ধী স্ব-অনূভুতি পূর্ন কিছু অনু পরমানুর সমষ্টি মাত্র।
চিন্তা গুলো বিষন্নতার। কিন্তু চমৎকার ব্যাপারটি হল, আমরা সবাই যেমন জানি একদিন মৃত্যু হবে আমাদের সবারই(এখন পর্যন্ত এটাই সত্য) কিন্তু সেটা ভুলে ঠিকই আমরা জীবনটাকে চালিয়ে নিয়ে যাই। চালিয়ে নিয়ে যাই, এবং সেটা ভালো ভাবেই হোক খারাপ ভাবেই হোক।
বৃহৎ অর্থে মানুষ সভ্যতার আশাবাদী রূপটি না দেখলে আসলে বিষন্নতার এই চিন্তাগুলোকে পাশ কাঠানো কোন ব্যাপারই না। শেক্সপিয়ারের যেমন বলেছেন, পৃথিবীকে রঙ্গ মঞ্চ। এর মধ্যে গল্প তৈরী হয়। হাজার বছরের গল্প...
তার কোন একটি হয়ত আজকে শুরু হল। আপনাকে দিয়ে...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৩