somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইয়েন্স ফিকশন: কোয়ান্টাম চিপ

১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। চারিদিকে উৎসব উৎসব ভাব। মজার ব্যাপার হল দর্শকরা সব এক দলের সমর্থক। অন্যদলের খুব বেশি সমর্থক নাই।আসলে সমর্থন করার ব্যাপারটা নিয়েও অনেকে দিদ্বানিত্ব। নীল আর লাল দল। লাল দলের জার্সিতে স্টেডিয়াম পুরো লাল চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে। লালের মাঝে মাঝে ছোট ছোট দ্বীপের মত নীল কিছু জার্সি। আসে পাশের লালদলের দর্শকরা তাদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করতে ব্যস্ত।

ইশ্বর আর সৃষ্টির মধ্যে যুদ্ধ। শক্তিশালী পক্ষের সমর্থকরা বেপেরোয়া হবে এটা স্বাভাবিক। মাঠের দুই প্রান্ত থেকে বের হয়ে আসতে থাকে খেলোয়ারা। বেশীর ভাগ দর্শক লালা দলের সমর্থক হলেও তাদরে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু নীল দল। জায়ান্ট স্ক্রিনে নীল দলের খেলোয়াররা ভেসে উঠার সাথে সাথে পুরো স্টেডিয়াম কেঁপে উঠে।

লাল জার্সির দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং তারা মানুষ!
নীল জার্সির দল ফুটবল বিশ্বের এই পর্যন্ত সেরা খেলোয়ারদের রেপ্লিকা এবং তারা উন্নত আর্কিটেকচারের হ্যউম্যনয়েড রোবট!

জায়ান্ট স্ক্রিনে ফিফা চ্যেয়ারম্যানের মুখ ভেসে উঠল, হয়তবা ছোটখাট বক্তব্য দিবেন

"..........আজ মানব ইতিহাসের বিশেষ একটা দিন। আমি জানি না এর শেষ কোথায়। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আজকে রোবট দল মাঠে। এর আগেও এইরকম ম্যাচ হলেও এই হিম্যানয়েড রোবট গুলো সম্পূর্ন ভিন্ন। এইসব রোবটের বাইরের স্ট্রাকচার এতই নিখুন যে একজন মানুষের পক্ষে অসম্ভব এদের রোবট হিসাবে চেনা।বলা হয়ে থাকে এই সিরিজের রোবটের ভিতের আর্কিটেকচার বাইরের চেয়েও নিখুত। এটা সম্ভব হয়েছে অতি সম্প্রতিক আবিস্কার হওয়া আর্টিফেশিলয়াল টিস্যুর এবং মৃত মানুষের চামড়ার জন্য। এরা মাঠে পরিকল্পনা করতে সক্ষম,দলবদ্ধ হয়ে আক্রমন করতে পারে। সব চেয়ে বড় কথা এরা মাঠে রোবটিক্সের তিন সূত্র থেকে মুক্ত...আমি এই প্রদর্শীনি ম্যাচের সাফল্য কামনা করি...."






মাঠে রেফরির বাঁশী বেজে উঠল...

দর্শকরা লাফিয়ে উঠে ঐতিহাসিক মূহূর্তটি দেখার জন্য। বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রোবট দলের মিড ফিল্ডার। ডি বক্সে কোন রকমে এই হঠাৎ আক্রম সামাল দেয় ডিফেন্ডার বিবন। খেলা যত এগুতে থাকে মানুষ দল তত অসহায় হয়ে পরে...খেলার ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি দেয় রোবট দল। ১৫ মিনিটের মাথায় ২য়টি।দর্শকরা নিরব দৃষ্টিতে দেখতে থাকে, মানুষের অসহায়ত্ব...

খেলার প্রথমার্ধ শেষ হতে ৪ মিনিট বাকি, বল নিয়ে ছুটে যাচ্ছে রোবট দলের ম্যারাডোনার রিপ্লেকা, ডি বক্সের বাইরে নিখুত উইন্ড শর্টে আবারো গোল...
বেজে উঠে রেফরীর বাঁশি...প্রথমার্ধ শেষে রোবট ৩ মানুষ ০

ফিফা চ্যেয়ারম্যানের কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে থাকে। এই ইভেন্টের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে হলে অবশ্যই মানুষকে জিতাতে হবে।মিলিয়ন মিলিয়ন ইউনিটের ব্যবসা। মানুষ নিজেদের হার দেখার জন্য খেলা দেখতে আসবে না। কিন্তু আন অফিসিয়াল কিছু ম্যাচে রোবট দল তেমন ভালো করে নি। এটা কি তাদের পরিকল্পনার অংশ?
রিওন এই ধরনের এলগরিদম এর কথা বলেছিল,যে গুলো শুধু মাত্র রোবটিক্সের তিন সূত্রের বাইরে কাজ করবে। না! এই সব রোবট বিজ্ঞানী গুলো ব্যবসার শেষ ডেকে আনবে,মনে মনে বিরক্ত হল চ্যেয়ারম্যান।

চ্যেয়ারম্যান কন্ট্রোল ইউনিটের যোগাযোগ করে..
( নিচু গলায় )
-ম্যাক শুনতে পাচ্ছ,চ্যেয়ারম্যান বলছি।
-জি... বসস।
-রোবট দলের ম্যানুয়েল কন্ট্রোল এক্টিভেট কর।
এলগরিদম সেট কর ইজি।
আর দেখ ২য় হাল্ফে যাতে কোন গোল না দেয়।
-কেন? এই ধনরনের তো কোন পরিকল্পনা আগে ছিল না।
-আরে যা বলছি তা করো।
-ওকে বসস,ম্যাচ পাতাবো এই তো?
-হুম,খুব সাবধানে।
-ওক্কে বসস।

দ্বিতীয়ার্ধ এর রেফরির বাশিঁ বেজে উঠল, বল নিয়ে মানব দলের স্ট্রাইকার এগিয়ে যাচ্ছে। আর্চয্য রোবট দলের ডিফেন্ডারা এলোমেলো ভাবে দৌড়াচ্ছে! এক মিনিটের মাথায় মানুষের প্রথম গোল। টানা ৪ গোল দিয়ে ক্ষান্ত হল মানব দল। হয়ত আরো বেশী দিলে সন্দেহজনক হয়ে যেতে পারত ব্যাপারটা।
রেফরীর শেষ বাশীঁ বেজে উঠল।
ফলাফল মানুষ ৪ রোবট ৩
সবাই মোটামুটি এটাই আশাকরেছিল।
লাল দলের সমর্থকরা আবার নীল দলের সমর্থকদের ক্ষেপাতে শুরু করল!


রোবট দলের সমর্থনে কিছু সাংবাদিক ছিল, তারা ম্যাচ পাতানোর ব্যাপারটা তুললেও সেটা নিয়ে কেউ গুরুত্ব দেয় নি। এরপর অনেক প্রদর্শনী ম্যাচ ই হয়েছে এবং যথারীতি রোবট দল তাতে গো হারা হেরেছে, যদিও তাদের ক্ষোভের অনুভুতি নাই। এই মানবীয় গুনটা প্রকাশ পেত রোবট বিজ্ঞানীদের লেখায়। কিন্তু কে গুরুত্ব দেবে এইসবের।





ড.ক্লে আপনি কি মনে করে? আমাকে বললেও পারতেন, আমি আপনার ওখানে গিয়ে দেখা করে আসতাম।
ঠিক,আছে রবিনসন।
আসলে আমি একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি,একটু অন্যধরনের কাজ।

রবিনসন,ভ্রু কুচকালো। প্রস্তাব ব্যাপারটা বুঝলাম না,আপনার কাজতো তো একটু অন্যধরনের হবেই। লোকজন তেমন সাধারন কাজে আমার কাছে আসে না। থিউরিটিক্যাল কোন ফলাফল যাচাই বাছাই করতে আসে, বিশেষ করে আমার কোয়ান্টাম লেভেলের পার্টিক্যাল এক্সিলেটরটার জন্য। কিন্তু তার জন্য তো আমার কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসার তেমন প্রয়োজন নাই। কাজটা ল্যাব সুপারভাইজর পাশ করে দিলে বাকিটুকু আমি দেখি।
রবিনসন আমি ভালোভাবে জানি সেটা।
তাহলে অন্য কোন কারন?
এত অস্হির হচ্ছ কেন?বলছি সব।
তোমার অনুমান অনেকটা ঠিক, পার্টিক্যাল এক্সিলেটর টা দরকার আমার।
কিন্তু কাজটা কমিশনের কিছু নয়,আমার ব্যক্তিগত।
সেই জন্য তোমার একটু সাহায্য দরকার।
অবশ্যই সাহায্য করব মি.ক্লে।আপনি এত বড় একজন বিজ্ঞানী, আমার কাছে সাহায্যের জন্য এসেছেন সেটাই তো আমার সৌভাগ্য।
অনেক ধন্যবাদ রবিনসন, তুমি কি জনসন রোডের পার্কটাতে আসতে পারবে?
ধরো আগামীকাল বিকেলের দিকে?
অবশ্যই মি.ক্লে, আমি ৪.০০ দিকে থাকব ঐ দিকে।
ধন্যবাদ রবিনসন,কাল দেখা হচ্ছে তাহলে আবার।
রবিনসন, এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকল ড.ক্লে চলে যাবার দিকে। লোকটা কি ঝামেলা বাধঁয় আবার কে জানে, মনে মনে ভাবল সে।




রবিসন অধীর আগ্রহে অপেক্ষ করতে থাকে জনসন পার্কে, প্রায় একঘন্টা হয়ে গেছে। ৪.৫৫ বাজে,অথচ ক্লের কোন দেখা নাই। বিখ্যাত মানুষ গুলো এমনই হয়,সব সময় নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে। অন্যের সময়ের মুল্য দেয়না, মনে মনে বিরক্ত হয়ে উঠে রবিনসন।

তবে বসার জায়গা হিসাবে জনসন পার্ক অনন্য। অপেক্ষা করার জন্য ভালো জায়গা। আজকের বিকালটাও অন্যরকম, বসে থাকতে তেমন খারপ লাগছে না,পাশে সিমি থাকলে আরো ভালো লাগত।বুড়োর সাথে জটিল বিষয় নিয়ে কথা বলার চেয়ে,অলস ভাবে সময় কাটানোর ব্যাপারটা খারপ না। এসব ভাবতে ভাবতে বুড়ো এসে হাজির।
আরে রবিসন,তুমি চলে এসেছ?
রবিসন তেমন কিছু বলল না।
আমি দুঃখীত একটু দেরী হয়ে গেছে।তাছাড়া পার্কে তোমাকে খুজেঁ পেতেও সময় লেগেছে কিছুটা।

ব্যাপার না মি.ক্লে। আমার আসলে ভালোই লাগছিল এখানে বসে থাকতে।যাইহোক,আসল কথায় আসা যাক। আপনার সেই অন্য ধরনের প্রস্তাব শুনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষ করছি।

বলছি রবিনসন, তোমাকে তো সব কিছুই জানাতে হবে। তবে কিভাবে শুরু করব সেটাই ভাবছি।

আচ্ছা ধরো, তোমাকে যদি বলি প্রান কি?
তুমি হয়ত একগাধা রাসায়নিক বস্তুর ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ার কথা বলবে।

হুম... হবে হয়ত। এইদিকে আমার জানাশুনা কম। বায়োলোজি জিনিসটাকে আমি দুচোখে দেখতে পারি না। বলল রবিনসন।

আমার অবস্থাও তেমন, কিন্তু এটা বায়োলোজির কোন ব্যাপার না।
মানে?
আমি আসলে প্রানের জৈবিক সংজ্ঞা খুজঁতে উৎসাহী নই। তারচয়ে প্রানের ডিজিটাল মডেলিং করার দিকে জোকঁ বেশ। এক সময় খেয়াল হল ,আরে প্রানের কাজটাই বা কি?
একটা জীবিত আর মৃত দেহের মধ্যে পার্থক্যটাই কি?
এর উত্তর খুঁজতে খুঁজতে কেন জানি মনে হল,সংখ্যা সম্পর্কীয় কিছু একটা জড়িত আছে এর মধ্যে। এটা পুরোপুরি অনুমান ছিল। একটা অনুসিদ্ধান্ত ঠিক করলাম...
প্রান হল র‌্যান্ডম নাম্বার জেনারেশনের একটা প্রক্রিয়া। আরো ভালো ভাবে বললে পরিমিত এলোমেলো সংখ্যা।

তারপর?

এখন তোমাকে যদি বলি একটা সংখ্যা বলো, কি বলবে?
এখনো হয়ত ঠিক করোনি....এখন করেছ ?
হুম।
ধরলাম তোমার সংখ্যাটি ৫।
এটা কি ভাবে আসল তোমার মনে? খেয়াল করেছ?
এইটা তোমার প্রানের কাজ।আমাদের শরীর বৃত্তীয় কাজে এই রকম অগনিত পরিমিত র‌্যান্ডম সংখ্যা প্রয়োজন পড়ে,যেটা আমাদের অগোছরেরই থেকে যায়।

এইরকম নাম্বার তৈরির জন্য নিশ্চই কোন না কোন সূত্র আছে,হয়ত জড়িত কোন রাসায়নিক প্রক্রিয়া যেটা আড়াল করে রেখেছে সেই সূত্রকে। সূত্রটা পরিবেশ ভেদে পাল্টাতে থাকে, যুক্ত হয় আরো ডাল পালা। আমার সার্চ সেই সূত্রকে ঘিরে। আমার কাজের উদ্দেশ্য তো বললাম: প্রানের মডেলিং।
বুঝলাম মি.ক্লে। কিন্তু আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?এর সাথে আমার সম্পর্ক টা কি?
সেটাই তো মূল ব্যাপর রবিনসন। আমি প্রাণের যে সূত্রটা মডেলিং করেছি,সেটা একেবারে কোয়ান্টাম লেভেলে। আমার সূত্র অনুসারে কোন্টামলেভেলে এক্সিলারেশন দিলে, সৃষ্টি হবে কৃতিম প্রান।
আপনি এত নিশ্চিত হলেন কিভাবে?
কারন ইতিমধ্যেই এই রকম প্রান সৃষ্টি করেছি!
রবিনসন উঠে দাড়াঁল, আপনি নিশ্চই মজা করছেন না?
বসো ইয়াংম্যান, এর মধ্যে আরো প্রচুর কাহীনি আছে।মাঝে মাঝে আমি নিজেও অবাক হই। একটা জিনিসের অর্থ এখনো খুজেঁ পাই নি।আজ থেকে ৩৫ আগে, আমার টেবিলে একটা ফাইল খুঁজে পাই।ওটাতে প্রানের ভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। আমি ছিলাম তরুন গবেষক,নতুন আইডিয়া মাথায় গিজ গিজ করছিল তখন।আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম সেই ফাইলটা,পড়তে পড়তে এক সময় চলে আসে কৃতিম প্রান সৃষ্টি করার আইডিয়াটা।এর পর একটি একটি করে ৩৫টি বছর এই দিকে আমি। অজানা কোন কারনে আমি পুরো বিষয়টি গোপন রাখি। আমার মনে হয়েছে এটা ঠিক প্রকাশ করার মত বিষয় না। সব সময় মনে হয় আমাকে নিয়ে কেউ খেলছে। সে যাই হোক,লাইফ প্রজেক্ট নিয়ে আমার কাজ অনেকদিনের সেটা তো বুঝতেই পারছ। আমি একাই চালিয়ে নিচ্ছি এই কাজ।

তবে যে প্রানটি প্রথমে তৈরি করি সেটা নিম্ন মানের প্রাণ,ব্যাকটেরিয়াল টাইপের। আমার এক্সিলেটর দিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু তৈরী করা সম্ভব নয়। এটা আজ থেকে ৩০ বছর আগের কথা।আমি সরল মডেলটা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি অনেকদিন। একটা জিনিস বিস্ময়ে খেয়াল করেছি। এই প্রান ও নিজেদের প্রতিলিপি করতে চায়,চায় বিবর্তিত হতে। আমি যে বেসিক সূত্র দিয়ে শুরু করে ছিলাম,সেটা আর সেই জায়গাতে নাই। মাঝে মাঝে আমি নিজেও দিধান্বিত হয়ে যাই!
মানুষের মত জীবনের মডেলিং করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয় এটা অনেক আগেই আমি বুঝতে পারি।আমি এই ব্যাকটেরিয়াল লাইফ ফর্ম নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলাম।
তবে একটি সকাল পাল্টে দিল সব।হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গল সকালে। মধ্য রাত্রির কিছু একটা মনে পরে যায় আমার। মনে হল কিছু একটা দেখেছি স্বপ্নে।হঠাৎ মনে পড়তে শুরু করে সব।ছোট ছোট পোকার মত কিছু জিনিস মানুষের আকৃতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।পোকা গুলো যেন কিলবিল করছে চরিদিকে। কিন্তু খুব সুশৃঙ্খল ভাবে মানুষের আকৃতিতে রূপান্তর ঘটছে। ব্যস এই টুকুই মনে ছিল।এই অর্থহীন স্বপ্ন কেন দেখলাম তার জন্য নিজেকে পাগল ভাবতে শুরু করি। মনে হতে লাগল এই গুলো অতিরিক্ত চাপ নেয়ার ফল।বিছানা থেকে উঠছি এমন সময় মনে হল,আসলে স্বপ্নটি মোটেও অর্থহীন কিছু নয়। আমি আসলে মানুষের প্রান মডেলিং এর থিউরিটি পেয়ে গেছি!!!মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই।আমার অবচেতন মন কোন না কোন ভাবে সব সময় সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত।এই রকম অনেকবারই হয়েছে।

মি. ক্লে আপনি তো স্বপ্নের ব্যাখ্যা টা দিলেন না।

পৃথিবীর প্রানের আর্কিটকচার খেয়াল করেছ?সব জটিল প্রানী কিন্তু মিলিয়ন মিলিয়ন কোষের সমষ্টি। প্রান কোন একক জিনিস নয়। এই প্রান ছড়িয়ে আছে আমাদের মিলিয়ন মিলিয়ন কোষের মধ্যে। একটা বিশাল আকার বস্তুর যেমন সেন্টার অব গ্রেভেটি থাকে। তেমনি এই কোষ তৈরি করে সেন্টার অব লাইফ...
সেই যাই হোক। আমি মানুষের কোষের মডেলিং করতে থাকি। এটা অনেকটা সহজ ছিল যেহেতু ব্যাকটেরিয়াল লাইফ ফর্ম নিয়ে কাজ করেছি। দীর্ঘ আরাঠারো বছরের কাজ। অবশেষে সেন্টার লাইফের একটা সূ্ত্র পেয়ে যাই সব কোষ গুলোকে সিমুলেশনে দেয়ার পর। আমি নিজেই এই সূত্রের কোন অর্থই পাই নি। তবে জানি এটা বিশেষ একটা কিছু।
মানুষের প্রানের সূত্র!
কিন্তু আমার পর্টিকেল এক্সিলেটর এই সূ্ত্রকে এক্সিলারেট করার মত শক্তিশালী না।
এই জন্যইমূলত তোমার কাছে আসা। ব্যপারটা মনে হয় বুঝাতে পেরেছি।

হুম...বুঝেছি মোটমুটি। তাহলে মি.ক্লে, কবে থেকে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন?
যত দ্রুত সম্ভব...





রবিনসন, এক্সিলারেটের ডিজাইনে একটু পরিবর্তন আনতে হবে।
তুমি এইটা দেখ।
আপনি আনসার্টেইনটি প্রিন্সিপালের কন্ট্রাডিকশন কাটানো উপায় বের করে ফেলেছেন?
এটা জন্য কত বিজ্ঞানী হন্য হয়ে ছুটাছুটি করছে...আর আপনি কিনা গোপন রেখেছেন! আর পর্টিকেল এক্সিলেটরে চিপ ফরমিং ব্যাপারটাও অপ্রচলিত।
ঠিক, সেই রকম না রবিনসন। এটার একটা ডিজাইন দিয়ে গেছেন ড. মর্ফ। কিন্তু ডিজাইনটা অর্থহীন ছিল কারন কোয়ান্টাম লেভেলের পার্টিকেল ঠিক মত ট্রাকে আনতে হলে মোমেন্টাম আর পজিশন দুইটাই প্রয়োজন এই ডিজাইনের জন্য। এক হিসাবে সেটা অম্ভব। তাই ডিজাইনটা নিয়ে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু ড.মর্ফের আইডিয়াটা যুগান্তকারী। আমি দেখেই বুঝতে পারি সমস্যাটা কোথায়। আমার ব্যাপারটা কাছে অদ্ভুত লেগেছে যে উনি এত সুন্দর আইডিয়া নিয়ে আসলেন অথচ সেটার ছোট খাট একটা ভুল বের করতে পারলেন না।
মি. ক্লে, উল্টাটাও তো হতে পারে।
কি রকম?
আপনি কি জানেন, আপনার চিন্তা ভাবনা অতিমানবীয় পর্যায়ে এখন?
সেটা কেন হবে রবিনসন?
কেন হবে না?
আমি যত টুকু দেখছি,প্রত্যেকটা থিউরীর সীমাবদ্ধতা গুলো দূর করেছেন একটার পর একটা।
এগুলো প্রকাশ হলে কি পরিমান রেভিলিউশন হবে আপনি ঠিক বুঝতে পারছেন?
আমার তো মনে হয় আইনষ্টাইনও পিছিয়ে পরবে।

তোমার কথা শুনে না হেসে পারলাম না। আমার জীবনের বেশির ভাগই কেটেছে এইদিকে। তুমি সময়ের হিসাবটা করছ না বলে অদ্ভুত মনে হচ্ছে।

তবে হ্যাঁ এই কোয়ান্টাম চিপ মানব সভ্যতাকে হাজার গুন গতি দিবে। সেন্ট্রাল কোয়ান্টাম প্রসেসর তৈরী করতে পারলে, প্রয়োজন হবেনা ছোটখাট রিমোর্ট প্রসেসরের। এই সিকোপি এর ক্ষমতা হবে ঐশ্বরিক পর্যায়ের। পুরো পৃথিবীর ইকোস্টিম স্ট্যাভেলাইজ করার ক্ষমতা থাকবে এর।

সেই যাই হোক, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে পার্টিকেল গুলো ঠিক মত স্পিন দেয়ার দিকে।
এই স্পিনই নাম্বার গুলো জেনারেট করবে।
.................




ড.ক্লে চিপ টার বার্নিং ১০০%
গুড জব রবিনসন।
শেষ পর্যন্ত তাহলে প্রথম কোয়ান্টাম প্রানটার জম্ম নিল।
রবিনসন, ক্লে এর চোখে বিজয়ের হাসি!





বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সাথে রোবটের খেলার ব্যাপারটা এখন এক ধরনের ফান হিসাবে ধরা হয়।
ফিফার তত্ববধানে এইটা নবম ম্যাচ। খেলার ফলাফল নিয়ে কেউ তেমন চিন্তিত নয়। সবার উদ্দেশ্য থাকে প্রিয় তারকাদের দেখা। তাছাড়া রোবট রিপ্লেকা নিয়ে সব সময় একটা চমকের ব্যাপার থাকে। কাদের কাদের রোবট রিপ্লেকা বানানো হবে সেটাই নিয়েই বিশাল বিতর্ক দেখা যায় চারিদিকে। সব মিলিয়ে দারুন এক বিনোদন এই রোবোদের সাথে ফুটবল খেলা!

খেলা শুরু হয়েছে কিছুক্ষন আগেই, ভালোই লড়াই দিচ্ছে রোবো দল। প্রথমার্ধে মানব দল মাত্র তিন গোল দিতে পেরেছে!
গোপন কন্ট্রোল রুমের প্ল্যান ছিল, আরো কমপক্ষে দুটা গোল বেশি দেয়ার। কিন্তু কিছু আনসার্টেনটি ব্যাপার থাকায় প্ল্যান মত সব কিছু হয় না, ২ থেকে ৩% ভুল থেকে যায়। কিন্তু রোবটের কন্ট্রোল করতে একটু সমস্যা হচ্ছিল রেকের।

এরই মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ২০মিনিট কোন ধরনের গোল ছড়াই কেটে যায়। এর পর শুরু হয় আসল বিস্ময়। বাকী ২৫ মিনিটে গোনে গোনে রোবট দল৪টি গোল দেয় মানব দল কে। প্রথম বারের মত বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হার!

কিন্তু এই রকম তো হবার কথা নয়!!!

ফিফ চ্যেয়ারম্যান খেলার মাঠে উপস্থিত না থাকলেও যোগাযোগ করে গেম প্ল্যানার রেকের কাছে...
কি হচ্ছে রেক এসব? উত্তেজিত গলায় বলল চ্যেয়ারম্যান।
চ্যেয়ারম্যান বুঝতে চেষ্টা করুন, এত দ্রুত ব্যাপার হল চিন্তাই করা যায় না। রোবো প্লেয়ার দের ঠিক কন্ট্রোল করা যাচ্ছিল না।
...........................

এর পর আরো অদ্ভুত যে ব্যাপারটা হয় সেটা,রোবট দলের পালিয়ে যাওয়া।
স্টেডিয়ামের দর্শকরা বুঝতেও পারেনি আসলে কি হচ্ছে...

জায়ান্ট স্ক্রিনে অদ্ভুত একটা ভেসে উঠে

"রোবট বিদ্রোহ"

রোবট বিদ্রোহের শুরু হওয়ার পর বিশ্বপরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। কেউ ঠিক কুলকিনারা করতে পারেনি আসলে কিভাবে সম্ভব হতে পারে এটা। রোবটের নেতা চি হুয়াং এর সাম্প্রিক বক্তব্য আরো বিস্ময়কর। চি হুয়াং এর বক্তব্যকে কেউ কেউ মার্কিন লুথার কিং এর সাথে তুলনা করতে শুরু করেছে। পৃথিবীর উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়ে প্রায়। দিনে দিনে আরো সংঙ্গবদ্ধ হচ্ছে তারা। রোবটের এই বদলে যাওয়া কারন কেউ বুঝতে না পারলেও,ড.ক্লের তেমন বুঝতে কষ্ট হয় নি।

রবিনসন কোয়ান্টাম চিপ ছড়িয়ে দিয়েছে রোবটদের মধ্য!






রবিনসন আমি এটা আশা করিনি..
তুমি কি ভাবে পারলে ?
তুমি কিভাবে আমার গবেষনা কে ব্যবহার করলে?
মি. ক্লে, আপনি ভুল করছেন। আপনার গবেষনার সমান অংশীদার আমিও।
আপনি কি পারতেন আমাকে ছাড়া এত দূর এগোতে?আর কেন আমার কাছে আসলেন?

সেটা কি আমার ভুল রবিনসন?

আপনি কি এলিয়েন এ বিশ্বাস করেন? মিস্টার. ক্লে?

এলিয়েন? এখানে এলিয়েন আসল কিভাবে? উত্তেজনায় কাঁপতে লাগল ক্লে।

শান্ত হোন মি.ক্লে। এখনো অনেক কাহিনী শুনা বাকী। আপনার কি মনে পরে? আপনি প্রানের বিকাশ নিয়ে একটা ফাইল পেয়েছিলেন?এরপর নেমে পরেন প্রান মডেলিং এ?

সেটা কি তোমার কাজ? আমি বিশ্বাস করি না।

সত্যিকার অর্থে আমাদের কাজ। আর আমি রবিসন নই, ধীরে ধীরে পরিস্কার হবে সব।
সত্যি কথা কি জানেন? এই মহাবিশ্বে মানুষরাই সব চেয়ে শক্তিশালী।
আপনাদের মাথার উপর যে জিনিসটা আছে ওটার মূল্য কত হয়ত ঠিক জানেন না। এত নিখুত অভিযোজন মহাবিশ্বের আর কোথাও হয় নি। অন্তত আমাদের জানা মতে।


আপনাদের অস্তিত্ব, আমরা জানতে পারি অনেক দেরীতে। আপনারাই জানলেন...
কি অদ্ভুত, বন্ধুত্ব করতে চান আপনারা...আসলেই কি মন থেকে চান?
আমরা প্রথমেই আপনাদের গ্রহটাকে পর্যবেক্ষন করি। ভাববেন না যে আমরা সব জান্তা।
আগেই বলেছি,আপনারাই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আনপ্রেডিকটেবল। আপনাদের সাথে বন্ধুত্বতার হাত বাড়াতে গিয়ে কেন বিপদ ডেকে আনব বলুন?
তারচেয়ে অন্য পথে হাঁটা শুরু করি আমরা। কারন আপনাদের ক্রিয়েটিভিটির শক্তিটা দরকার আমাদের। আপনাদের যখন খুঁজে পাই!বিশ্বাস করবেন না কি এক সম্পদের সন্ধান আমরা পেলাম...

রোবটকে প্রান দেয়ার ব্যাপারটা দুটা কারনে গুরুত্বপুর্ন বলে মনে হয়েছে। সাদা মানুষ আর কালো মানুষের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বৈরিতা আকৃষ্ট করল আমাদের। মজার ব্যাপার হল রোবট মানুষের মধ্যে যে একদিন লড়াই হবে তা আপনাদের অতীতের মানুষরা খুউব ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বিভিন্ন কল্পকথায়...
আপনারা যুদ্ধ খুব ভালোবাসেন, হয়ত বা আপনাদের অভিযোজন হওয়ার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ন এটা। তো আপনারা যদি আরেকটা যুদ্ধে লেগে যান ব্যাপারটা খারাপ হয় না।
আপনারাও ব্যস্তথাকলেন, আমরাও সুযোগ পাবো আপনাদের নিয়ে আরেকটু ঘাটাঘাটি করার।

আর ২য় কারন হচ্ছে, বাই প্রোডাক্ট হিসাবে পেলাম প্রানী রোবট!
যারা মানুষের মত! মানুষের ক্রিয়েটিভিটির একটা স্যাম্পল....
আমরা এদের ব্যবহার করব, নিজেদের সুরক্ষায়।

আমরা যে জিনিসটা ভালো পারি সেটা হল মাইন্ড কন্টোল, এই বিদ্যাটাই অবশ্য এত দূর নিয়ে এসেছে আমাদের। মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা একটু বাড়িয়েদিলে কিনা করতে পারে। এই যেমন ধরুন প্রান সম্পর্কে আপনার ধারনাটা,আমরা আপনাকে উজ্জীবত করেছি মাথার কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলেছি। আর তাতেই, এত অসাধারন ফল। এটা করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। আর আপনাদের জীবন উপলব্ধি আমাদের চেয়ে বহুগুন বেশী। মাইন্ড কন্ট্রোল করা খুব জটিল ব্যাপার নয় কারন আপনাদের মাইন্ডা এত খোলা চিন্তাই করা যায় না। এখনো আপনাদের অভিযোজন চলছে। ভবিষ্যতে হয়ত এমনটি থাকবে না। উন্নত প্রজাতি আপনারা। হ্যাটস অফ!

রবিনসন, তাহলে তুমি আমাদের সবারই মাইন্ড কন্ট্রোল করতে পারো, এট কষ্ট করে রোবট প্রানের দরকার টা কি?

মি. ক্লে সব কিছুর ই একটা কারন থাকে।

আপনাদের সভ্যতা দেখে আমাদের এটা মনে হয়েছে, আরো বিশাল কোন টেরিস্ট্রেরিয়াল লুকিয়ে আছে সব কিছুর মধ্যে। এই মহা বিশ্ব শুধু বিশাল নয়,অস্থির।বুদ্ধিমান সত্তা সেখানে অসহায়।
তবুও আপনাদের মস্তিকে এমন কিছু আছে,শক্তিশালী টেরিস্ট্রেরিয়ালরা যা বুনে দিয়ে গেছে। এক হিসাবে আপনারা তাদের অংশ।
একটু খেয়াল করে দেখুন আপনারা দূর আত্নীয়ের আশায় রেডিও সিগন্যাল পাঠাচ্ছেন। নিজের একাকিত্বের কথা জনান দিচ্ছেন অন্য দিকে নিজেরা যুদ্ধে লেগে আছেন। সবই মহাজাগতিক পরম্পরায় অর্থপূর্ন।
অতিরিক্ত মাইন্ড কন্ট্রোল করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনতে পারি না।

এত সব আমাকে জানানোর মানে কি ?

কারন আপনি জানতে চেয়েছেন! যদিও আপনি এই সব বাইরে বলে বেড়ান তাহলে সেটা কেউ বিশ্বাস করবে না। কারন আপনি আপনার পুরো গবেষনাটা গোপন রেখেছিলেন। আর মানুষ যদি জানতে পারে,রোবট বিদ্রোহ আপনার গবেষনার ফল। বাকীটুকু না বললেও হয়।
তবে আপনাদের জন্য সামান্য উপকার করব আমরা, এই যেমন ধরুন রবিনসন আর আপনি বুঝতেই পারবেন না প্রান নিয়ে কোন এক সময় কাজ করে ছিলেন।
মানুষের ইতিহাস লেখা হবে এই ভাবে

"......২২০০ সালে রোবট চিন্তা করার সক্ষমতা অর্জন করে। রোবটের নেতা চি হুয়াং একত্রিত করে তাদের। এটা রহস্যজনক যে রোবটরা চিন্তা করতে শিখল মানুষের মত। হয়ত প্রকৃতির নিয়মে তা অনিবার্য ছিল। সায়েন্স ফিকশন ইতিহাসে জায়গা করে নিবে এটা ভাবতে পারে নি কেউ।ফুটবল ম্যাচটি দিয়ে কেবল এর শুরু ছিল। এর পর শুরু হয় রোবট অধিকার আদায় আন্দোলন। ইতিহাস বিশ্লেষক জে ডি. ফস্টার এর মতে, এটা একটা বৃত্ত। প্রথমদিকে মানুষ মনে নিতে না পারলেও পরে নমনীয় হয় এই ব্যাপারে। রোবটরা চাচ্ছিল তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু...."


বাকিটুকু অজানা থেকে যাবে আপনাদের। এত সব কিছু আপনাদের আনপ্রেডিক্টেবল স্বভাবের জন্য করা। আপনাদেরই তো কোন এক মহান বিজ্ঞানী বলেছেন "সারভাইবল অব দ্যা ফিটেসট"।

যেই দিন দেখবেন আপনাদের এই যুদ্ধ সমস্যা মিটবে, নতুন ভাবে ভাবতে পারবে আপনাদের প্রজাতি।মহাবিশ্বের বিশালতায় আমরা অসহায়, অসহায় কারো ধ্বংস প্রবনতা থাকতে পারে না। শুধু থাকবে টিকে থাকার আকুতি, এটাই প্রানের ধর্ম...

কোন একসময় হয়ত আপনারা খুঁজে পাবেন আমাদের। আমরা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে কার্পন্য করব না তখন, সেই দিনের অপেক্ষায়...সিডিয়ান জাতি।


©আজম
অন্যান্য সাই ফাই
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×