আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আ-কথা কু-কথার জন্য প্রায়ই সমালোচিত হয়ে থাকেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও প্রধানমন্ত্রীকে রং হেডেড বলে আখ্যা দিয়েছে। ইদানিং প্রধানমন্ত্রীর কথার লাগাম একেবারেই খুলে গেছে। ঝগড়াটে মহিলা নিয়ে একটি ছোট গল্প লিখলাম। গল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উৎসর্গ করলাম।
এক ছিল মারাত্নক ঝগড়াটে মহিলা। তার সাথে ঝগড়ায় পারে এমন কেউ নাই। ঝগড়ায় জিতে জিতে তার দিন ভালই কাটছিল। তবে বিপদ হল যখন ঐ এলাকায় তার মতই আর একজন ঝগড়াটে মহিলা আসল। এই নতুন ঝগড়াটে মহিলা খুবই বুদ্ধিমতি। সে কয়েকদিন পুরোনো ঝগড়াটেকে পর্যবেক্ষণ করল। তারপর একদিন দু'জনে ঝগড়া শুরু করল। নতুনজন কৌশলে শুধু ঝগড়া চালিয়ে রাখতে লাগল, পুরোনোজন একাধারে আকথা-কুকথা বলে যেতে লাগল। বকাঝকা করতে করতে পুরোনো ঝগড়াটের অবস্থা কাহিল, মাথা খারাপের অবস্থা। এ রকম সময়ে নতুন ঝগড়াটে বলল, তোমার কেমন মুরোদ (ক্ষমতা) তা জানি। তোমার জামাইতো আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করে। তোমার মুরোদ থাকলে তোমার জামাই অন্যের বাড়ির কাছ দিয়ে ঘুরঘুর করতো না। নিজের জামাইকে সামলে রাখতে পারো না আবার বড়াই করো। তার কথা শেষ হতে পারল না। পুরোনো ঝগড়াটে বলল, ওরে মাগী, আমি আমার জামাইকে সামলে রাখতে পারি না, আর তুই তোর জামাইরে খুব ঠেকায়ে রাখতে পারিস না? তোর জামাইতো কালকেও আমার সাথে ............. করে গেল। তোর যদি খুব ক্ষমতা থাকতো তাইলে তোর জামাই আমার সাথে এসব করতে আসে নাকি! মহিলা কী বলতেছে তার নিজেরই ঠিক নাই। যেসব মহিলা পাশে থেকে ঝগড়া শুনছিল তাদের একজন দৌঁড়ে গিয়ে পুরোনো ঝগড়াটে মহিলাকে আঁকড়ে ধরল এবং বলল, বু এসব কী কইতেছেন, চুপ করেন। অন্য মহিলাদের কেউ কেউ মুখ টিপে হাসছিল, কেউ কেউ দু:খ করছিল। আর নতুন ঝগড়াটে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। যাহোক, পুরোনো ঝগড়াটে মহিলা এক সময় শান্ত হল এবং বুঝতে পারল সে কী বলে ফেলেছে। সে আশ্চর্য্য রকমের চুপ হয়ে গেল। অন্য অনেকে যারা পুরোনো ঝগড়াটে মহিলাকে অপছন্দ করতো, তারাও চুপ হয়ে গেল। শুধু নতুন ঝগড়াটে মহিলা পুরোনো ঝগড়াটে মহিলার কাছে গিয়ে হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলল। তারপর দু'জনে এক সাথে কিছুক্ষণ কাঁন্না করল। এরপর থেকে তাদেরকে আর কেউ ঝগড়া করতে শোনেনি।