আমাদের "আত্মমর্যাদা" বোধ বেশ জেগে উঠেছে হঠাৎ করে। এর অস্তিত্য আছে তাহলে এখনও! শান্তি পেলাম। আমিতো নিজেকেই উগ্র দেশপ্রেমী ভাবছিলাম। সেল ফোনে হিন্দী গানের রিং টোন, রগরগে আর সস্তা হিন্দী ছবির চুলচেরা বিশ্লেষন, এমনকি সকালে ঘুম থেকে উঠেও গুনগুন করে হিন্দী গানের সুর আওড়ানো। শিক্ষিত আর অশিক্ষিতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সবই গা সাওয়া হয়ে আসছিল তাই।
কিন্তু হঠাৎ করেই যেন একটু ছন্দপতন। একটা ঘটনা ঘটেছে আমাদের সিমান্তে। একজন গরু ব্যবসায়ীকে বি এস এফ প্রকাশ্য দিবালোকে নাঙ্গা করে একদম বেধড়ক পিটিয়েছে। আর তাতেই সবাই বেশ জেগে উঠেছে। আমাদের মর্যাদা বোধ এতটাই তলানিতে এসে ঠেকেছে যে খুব বড় ধরনের অপমানিত না হলে সেটা ঠিক কাজ করে না। তাই এর জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। ভালই হয়েছে। শেষমেস আমরা জেগে উঠেছি। নাকি এখনও আচ্ছন্ন অবস্থায় আছি? হতেও পারে। আসলে এটা অনেকটা, মাঝরাতে গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে থাকা কাউকে প্রচন্ড একটা চড় কষিয়ে জাগিয়ে দেওয়ার মত ব্যপার। হতভম্ব ভাব টা কেটে গেলেই যে আবারো সব ভুলে ঘুমিয়ে পড়বে। আমদেরও হয়ত তাই হবে। আবার এমনও হতে পারে পুরো ব্যপারটাই আসলে হুজুগ। আমরা নতুন করে নতুন একটা হুজুগে মেতে উঠেছি সবাই মিলে। দুদিন পরেই আবার ভুলে যাব সব। কারন আমাদের যে গোল্ডফিস ম্যামোরি সেট তো বহুল প্রমানিত। অতীতের হাজারো অপমান আমরা ভুলে গিয়েছি সহজেই। তাই এটাও ভুলে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়।
কিন্তু নিরাশাবাদীদের মত করে আর ভাবতে চাই না আর। ভাবতে চাই আমরা সত্যিকার অর্থেই জেগে উঠেছি। বুঝতে শিখেছি কোনটা আমাদের জন্য সম্মানজনক পথ। আমরা নিজেদের আলোকিত করবো আমাদের আপন আলোতে। অন্য কোন রঙ্গীন আলোয় আমরা নিজেদের রাঙাতে চাইনা আর। এই উপোলদ্ধি যদি আমাদের হয়ে থাকে তাহলে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। যেটা আমাদের ভবিষ্যতে মাথা উচু করে সম্মানের সাথে বাঁচতে পথ দেখাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০১