প্রথমেই একটি সংবাদ দিয়ে শুরু করি :
“ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় ই-তথ্যকোষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনি এটি উদ্বোধন করেন। বাংলা ভাষার এই ই-তথ্যকোষ হচ্ছে মানুষের জীবন যাপন-সম্পর্কিত তথ্য ও জ্ঞানভান্ডার। খবর বাসস ও ইউএনবি
ই-তথ্যকোষের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) এর আগের কাজ বিশেষত জেলা ভিত্তিক পোর্টালের সাথে পরিচয় ছিল View this link
সে কাজটি মান সম্মত ছিল সে আশায় গেলাম ই তথ্যকোষ এ । কিন্তু এর যা অবস্থা তা সবার সংগে শেয়ার না করে থাকতে পারছি না ।
জাতীয় ই-তথ্যকোষ ওয়েব ঠিকানা
Click This Link জাতীয় ই-তথ্যকোষ এর ঠিকানা । নামটা মনে হয় ekosh রাখা যেত যদি e thotho kosh অনেক কঠিন মনে হয় কিংবা শুধু info ই থাকত । এখন নামটাই বাংলা ইংরেজী জগা খিচুঢ়ি ।
প্রথম পাতাতেই আবার দেখি
””জাতীয় ই-তথ্যকোষ”- এ সন্নিবেশিত তথ্যাবলি সাময়িক (provisional), এবং চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের তথ্য হিসাবে বিবেচিত হবে না।”
এই প্রথম জাতীয় কিছু পাওয়া গেল যা সরকারের নয় । আবার চুড়ান্ত হলেই কি আমি যে তথ্য টি দিলাম সেটি সরকারের হয়ে যাবে ? বুঝলাম না
এবার আসি এটি প্রনয়নে কারা
প্রথম পাতাতেই আছে প্রণয়নে :একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম । লিংকে ক্লিক কাজ করে না খালি পেজ দেখায় কারন লিংকের ঠিকানা দেয়া আছে http://a2i.pmo.gov.bd/ এবার http://www.a2i.pmo.gov.bd/ দিয়ে চেষ্টা করুন লিংকটি খুলবে ।
এই লিংক টি ই যদি internet explorer (আমি ভার্সন ৮ ব্যবহার করেছি) দিয়ে খোলেন পেজের কোড সহ দেখতে পাবেন সত্যিকার অর্থেই একসেস টু ইনফরমেশনের উদাহরন
যোগাযোগ:
যোগাযোগ বিষয়টি আছে দু জায়গায়
মতামত পাতায় এবং যোগাযোগ পাতায় :
মো: নজরুল ইসলাম খান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব – ১একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,পুরাতন সংসদ ভবন তেজগাঁওঢাকাবাংলাদেশ
ফ্যাক্স নং : ৮৮০-২-৮১৫৯৮৯৫
এইটি একটি ই-তথ্যকোষ এবং প্রকল্পের নাম একসেস টু ইনফরমেশন কিন্তু কোন ই কমিইনিকেশন ( ই মেইল ) নাই । আবার ওনারা নাকী একসেস টু ইনফরমেশন বাড়াবেন ?
বানান :
”তথ্য সরাসরি কোষে সংকলন করতে এই সদস্যপদ অনুমোতি পত্র হিসেবে বিবেচিত হবে” এই অনুমোতি মার্কা বানান পাওয়া যাবে একাধিক পাতায়
ই-তথ্যকোষ এর কনটেন্ট :
এবার আসি কনটেন্ট এর দিকে
(সংবাদ অনুযায়ি : দুই শতাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও এটুআই যৌথভাবে এই ই-তথ্যকোষ তৈরি করেছে।)
সদস্য প্রতিষ্ঠান পাতায় পাওয়া যাবে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার তালিকা এবং ওয়েব ।ক্লিক করুন নিচের গুলোর মতো আরো লিংকে হাতে নাতে ফলাফল পাবেন যেখানে একাধিক লিংক কাজ করে না যেমন
• অপরাজেয়-বাংলাদেশ(Click This Link)
• ডেন/ঘাট (http://www.denbd.com/)
কিংবা
সিটিশপবিডি.কম এর মতো ঢাকা ভিত্তিক বানিজ্যিক প্রতিষ্টানের নাম ( এ তথ্য কোষের উদ্দেশ্যে বলা আছে "এসব কেন্দ্রসমূহ হতে মূলত সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। কাজেই, এ-সকল তথ্যকেন্দ্রে একটি সমন্বিত তথ্যভান্ডার থাকা প্রয়োজন।" )
কর্মসংস্থান :
কর্মসংস্থান বাটনে ক্লিক করলে পাওয়া ডকুমেন্টের ৩ নং টি হচ্ছে
[ডকুমেন্টস] জীবিকা ডট কম
(http://www.jeebika.com.bd/) যে সাইটটি কিনা ৮ ডিসেম্বর ২০৩১ সালেরআবেদনের শেষ তারিখ মেয়াদ ওয়ালা চাকরীর খবর দেয় । সত্যিই ডিজিটাল জাতীয় ই তথ্যকোষ বটে !
সার্চ : বাংলাদেশ
আবার বাংলাদেশ লিখে সার্চ দিলে আসা কন্টেনটের প্রথম ৫ টির মধ্যেই রয়েছে
[ডকুমেন্টস] Essay on Season of Bangladesh (Class-VI), বাংলাদেশের ষড়ঋতু- রচনা (ষষ্ঠ শ্রেণী)
”এই কন্টেন্টি পাওয়ার পয়েন্টে তৈরি। একজন শিক্ষক এটি তৈরি করেছেন। এটি দিয়ে শিক্ষকরা রচনা লেখার উপর একটি আনন্দদায়ক ও যথার্থ ক্লাশ নিতে সক্ষম হবেন ”
যা প্রশিক্ষনরত শিক্ষকরা স্বল্প সময়ে পরীক্ষা মূলক ভাবে বানিযেছেন ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য
এই যদি জাতীয় জাতীয় ই-তথ্যকোষ এর অবস্থা হয় তাহলে বলতেই হবে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হচ্ছে দ্রুত গতিতে
(লেখাটি টেকটিউনসে প্রকাশিত এবং কিছুটা সংশোধিত )