প্রেক্ষাগৃহ-মুখী পান্থপথে অবধারিতভাবে দেখা মিললো জীর্ণ বস্ত্রের শীর্ণ দেহের এক বৃদ্ধার সাথে। যন্ত্রণায় কাতর, প্রসারিত হাত, অর্ধমুদিত চোখ। বিভিন্ন মূল্যের কাগুজে ও ধাতব মুদ্রা ছড়িয়ে আছে চারপাশে।
পথচারি উৎসাহিত হতেই পারেন তুচ্ছ বিবেচনা করে আরও কয়েকটি মুদ্রা ফেলে দিতে। খুবই মামুলি বিষয়, অনেকেই তো তাই করে। হয়তো বৃদ্ধাও তাই চাইতো। কিন্তু এবারই একটু ব্যতিক্রম করলো: পথচারির সাথে দৃষ্টির সাক্ষাতে দুর্বল হাতে বারণ করে দেয় বৃদ্ধা।
বিনোদন-পিয়াসী পথচারির অত সময় কোথায়! ঘাড়ের ঝাঁকুনিতে দ্বিধা কাটিয়ে অতঃপর প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ। আলো-আঁধারি বিনোদনকক্ষটিতে আবার এসে হানা দেয় সেই বৃদ্ধা। কেন সে সাহায্য নিতে চায় নি? এত বড় নিশ্চয়তা কোথায় পেল সে? কিন্তু তীব্র আলোর আচমকা উপস্থিতিতে মন ফিরে আসে বিনোদনচিত্রে।
বিনোদন শেষ। আরেকটি মর্মন্তুদ নাটক অপেক্ষা করেছিলো সেদিন পান্থপথে: বৃদ্ধা এবার নিথর দেহে শায়িত। হাত দু’টি প্রসারিত হলেও মুঠোবদ্ধ হয়ে আছে। বিদায়ের বার্তা কি আগেই জেনেছিল সে? কমলা রঙের আলোতে মানুষগুলোর ছুটে চলায় ফুটে ওঠে প্রহসন নাটকের দৃশ্য।