জীবনের চলার পথে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ আমার হাত ছেড়ে দিয়েছ, আমি পাগলের মত আমার অবলম্বনকে খুঁজছিলাম। সেই সময় তুমি নতুন প্রেমে মত্ত। আমার অনুভুতি গুলো অনুভব করার মত তোমার অবস্থা বা সময় ছিল না। জানি তোমার মত বন্ধু আমি কখনোই পাব না, তাইতো প্রতিটা মুহূর্ত কি ভাবে যেন আগলে রাখতাম। তোমার হাসি, তোমার ব্যক্তিত্ব্য এতই চমৎকার যে সবাই তোমার কাছে ভিড় করতো। আমার বিশ্বাস ছিল শত প্রলোভন আমার কাছ থেকে তোমাকে সরিয়ে নিয়ে যাবে না। আমরা আমরন এক জন অন্যজনকে লতা গাছের মত জড়িয়ে রাখব বলে কথা দিয়ে ছিলাম।
একটা সময় যেন কি হলো। হঠাৎ পাশ ফিরে দেখি তুমি আমার সাথে নেই। পিছন ফিরে দেখি কারো বাহু ডোরে তুমি আবদ্ধ। আমার আর কিছুই করার ছিল না, না আমি আর তোমাকে বিরক্ত ও করিনাই। দু-চোখ তোমাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে থাকলেও আমি তাদের শাসন করেছি। বলেছি ওতো এখন অনেক সুখে আছে। হত দরিদ্রের মত কেন তার সামনে গিয়ে দাড়াবে? আমি তার করুনা চাই না।
এখন আমারও নতুন বান্ধবী হয়েছে, মায়া কাড়া চোখ, সুন্দর রিনিঝিনি গলার স্বর। আমাকে দুই হাত দিয়ে বুকে টেনে নেয়, ঠোটে সিক্ত চুম্বন দিয়ে ভরিয়ে দেয়। আমি সুদর্শন না হলেও সে অনেক সুন্দর। আমাকে সে যখন বুকের সাথে চেপে ধরে, বুকের ক্ষত গুলো যেন নতুন করে প্রান পায়। হায়! নীল পরী, সেই কষ্ট যে সহ্য করতে পারিনা। চোখে দুকোন বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে, আমার নতুন বান্ধবী ভাবে তার ভালবাসায় মগ্ন হয়ে আমার এই অশ্রু ঝড়ছে। সে আমাকে আরও জোরে ধরে রাখে, কিন্তু আমার মন জানে এই অশ্রু শুধু মাত্র তোমার জন্য।
যথা সাধ্য চেষ্টা করছি সেই সোনালী দিন গুলো ভুলে যেতে, তাতে হয়তো আমরা দুই জনেই ভাল থাকবো। আমার শুদ্ধ আবেগ গুলো শুধু তোমার জন্য ছিল, মায়াবী চোখের বান্ধবীকে দেওয়ার মত আমার কাছে আর কিছুই নাই। তারপরও তাকে ভালবসেছি প্রতিজ্ঞা করেছি তোমার মত করে জীবনের মাঝ রাস্তায় তার হাত ছেড়ে যাব না।
আজ আমার খুব জ্বর তাই হয়তো এলোমেলো অনেক কথা লিখলাম। তুমি এখন কাছে থাকলে আমার কপালে হাত রাখতে, তাতেই আমি সুস্থ্ হয়ে যেতাম...................।
(পুরোটাই কাল্পনীক। জীবতি বা মৃত ব্যক্তি বা বাস্তবতার সাথে কোন সর্ম্পক নাই)