চলছে বৈশাখ, বাঙ্গালীর প্রানের উতসব!!! আমার কাছে বরাবরই এই বৈশাখ উদযাপনকে ন্যকামী বলে মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে ও তাই বিবেচিত হবে। বছর জুড়ে খবর নেই, পান্তা ইলিশ খেয়ে, এসো হে বৈশাখ বলে চিৎকার করে, রাতভর কন্সার্টে মেলায় যাইরে গান শুনে-একদিনেই পুরা বাঙ্গালী!! গর্বিত বাঙ্গালী!!! ন্যাকামীর আর জায়গা নেই।
গর্বিত বাঙ্গালীর কথা বলায় মীঠুন চক্রবর্তী অভিনীত আমি সুভাষ বলছি ছবির কথা মনে পড়ে গেল। ছবিতে একটি পর্যায়ে দেখা যায়, মীঠুন চক্রবর্তী বার বার বুক চেপে নিজেকে গর্বীত বাঙ্গালী বলে পরিচ দিচ্ছে। আর গর্বিত বাঙ্গালীর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করা বারখার সেইরকম ড্রেস আপ(টাইট ফি্টিং টি শার্ট আর জিন্স) আমাকে সেই ন্যাকামীর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
কোত্থেকে এল এই বৈশাখ, কোন ধর্মের সংস্কৃতি এই বৈশাখ,এঈটা জানার জন্য এখন আর পি। এইচ। ডি করা লাগে না। নিজের সচেতন মনকে একবার প্রশ্ন করুন- কি করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কোন সংস্কৃতিকে আলিঙ্গন করছেন, উত্তর পেয়ে যাবেন।
হিন্দুরা প্রথমত হিন্দু তারপরে বাঙ্গালী। হিন্দুদের ধর্মের সাথে, সংস্কৃতির সাথে বৈশাখী উতসবের বেশ মিল আছে, তারা নিজেদের ধর্মের সাথে উতসবটাকে সেইভাবে মানান সই করে নিয়েছে এবং সেইভাবে তা উদযাপ করছে। এতে দোষের কিছু নেই।বরং স্বাধীন এই দেশে তারা তা করছে বলে আমার কাছে আনন্দই লাগে। আপনি মুসলমান হয়ে কেন সেই রীতিতে গা ভাসাবেন।আপনি প্রথমত মুসলিম, তারপরে বাঙ্গালী। তাই আপনার উতসব পালনেও সেই ছোঁয়া থাকতে হবে।
ইদানীং আবার রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রচার করা হয় ধর্ম যার যার উতসব সবার। ফেসবুকে সেদিন একটা মজার ক্যাপশান দেখলাম এইরকরম-“ ধর্ম যার যার উতসব সবার, হিন্দু বন্ধুদের সাথে হলি খেললেন খুবই ভাল কথা, দেখি সামনের ঈদের নামাজে কোন হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে আসতে পারেন কিনা।”
এই লেখা পড়ার পর কেউ কেউ আমাকে ধর্মান্ধ-গোড়া বলে গালি দিতে শুরু করেছেন, দিতেই পারেন স্বাধীন দেশের বাক-স্বাধীনওয়ালা নাগরিক বলে কথা।
হায় হায় আমি এসব কি বলছি, কি লিখছি, আমার বিরদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার মামলা হয়ে যেতে পারে, হে আল্লাহ আমাকে রক্ষা কর, ও স্যরি ভগবান আমাকে রক্ষা কর।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫