আজকে বেশ কিছু পত্রিকাও সোশ্যাল মিডিয়াতে যে খবরটি তোলপাড় তুলল তা হল আন্দোলনরত অবস্থায় জাফর ইকবাল সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা। জাফর ইকবালরা হয়তো সেইদিনের কথা ভুলে গেছেন, হুমায়ুন আহম্মেদ তার “দেয়াল” বইয়ের ৯৪ পৃষ্ঠায় নিম্নোক্ত কথাগুলো বলেছিলেন।
“আমরা তখন থাকি বাবর রোডের একটা পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একতলায়। সরকার শহীদ পরিবার হিসেবে আমার মাকে সেখানে বাস করার অনিমতি দিয়েছিলেন।
এই নিয়েও লঙ্কাকান্ড। এক রাতে রক্ষীবাহিনী এসে বাড়ি ঘেরাও করল। তাদের দাবি- এই বাড়ি তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তা এখানে থাকবেন। মা শহীদ পরিবার হিসেবে বাড়ি বরাদ্দ পাওয়ার চিঠি দেখালেন। সেই চিঠি তারা মায়ের মুখের ওপর ছুড়ে ফেলল। এরপর শুরু হল তান্ডব। লেপ-তোষক, বইপত্র, রান্নার হাঁড়িকুড়ি তারা রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে শুরু করল। রক্ষীবাহিনীর একজন এসে মায়ের মাথার ওপর রাইফেল তাক করে বলল, এই মুহূর্তে বাড়ি ছেড়ে বের হন, নয়তো গুলি করব। মা বললেন, গুলি করতে চাইলে গুলি করুন, আমি বাড়ি ছাড়ব না। এত রাতে আমি ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব?
আমার ছোট ভাই জাফর ইকবাল তখন মায়ের হাত ধরে তাঁকে রাস্তায় নিয়ে এল। কী আশ্চর্য দৃশ্য! রাস্তায় নর্দমার পাশে অভুক্ত একটি পরিবার বসে আছে। সেই রাতে রক্ষীবাহিনীর একজন সুবেদার মেজর ওই বাড়ির একতলায় দাখিল হলেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে উঠে পড়লেন।”
জাফর ইকবাল এইটাও ভুলে গেছেন, যে ছাত্রলীগকে তিনি আস্কারা দিয়ে মাথায় তুলেছেন, সেই সোনার ছেলেরাই আজকের রক্ষীবাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৫