ফেসবুকে উপরের পোস্টটি দেখে আনন্দে লাফাইয়া উঠলাম। সুনিতা উইলিয়াম চাঁদের দেশ হইতে মর্তে ফিরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করছে। হেতা নাকি চান্দের দেশে আযানের মহান সুর শুনতে পাইছে। শুধু কি তাই? সুনিতা আফা টেলিস্কপে আন্ধার পৃরথিবীতে মক্কা ও মদিনা হইতে আলোর ঝলকানি চমকাইতে দেখছে। মাশাআল্লা মাশাআল্লা। মুসলমানের পোলা, তাই আনন্দে একটু লাফ ঝাপ করা দোষের কিছু না। ফেসবুকে মাইনষে সমানে পোস্টটি শেয়ার মারতাছে। পোস্টে আবার লেইখ্যা দিছে “আপনি মুসলিম হলে ইসলামের স্বার্থে ছবিটি শেয়ার ট্যাগ করুন”। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য হাত দুইটা নিশপিশ করতাছে। মুসলমানের পোলা বইল্লা কথা। তাছাড়া ঈমানি দায়িত্ব আছে না। কিন্তু ভেতরে কি যেন আবার খচখচাইতাছে। হালায় ইবলিশ সয়তানটা নিশ্চয় ভাল কামে বাধা দিতে কেচকি মাইরা ধরছে। একটু পরে বুঝলাম ইবলিশ না, আমার অবচেতন মনই আমারে আটকাইয়া ধরছে। স্মৃতির ভান্ডার হাতড়াইয়া দেখলাম, সুনিতা চাঁদে গেছে মনে করতে পারতাছি না। দাড়ান একটু গুগুল মামারে জিগাই। আরে মামা কয় কি! ৭২ সালের পর কোন আদম সন্তানই নাকি চাঁন্দে পাড়া মারে নাই। মামা আরো কইল সুনিতা মহাকাশে ঘুরতে গেছিল কিন্তু চান্দের দেশে যাই নাই। কি মুসিবত! চান্দের দেশে না গেলে চান্দে আযান শুনল কেমনে? দাড়ান WikiIslam রে একটু জিগাই। আরে এরা তো আর এক কাঠি সরেস। হেতা সাফ জানাইয়া দিল, সুনিতার মুসলমান হওয়ার গল্প পুরাপুরি ভোগাস।(দেখুন- View this link )
পাঠক আপনারাই বলেন এভাবে কি জেতা যায়? মিথ্যা কাহিনী বলে ইসলামের মাহাত্ব বাড়ানো, এটা কি ইসলামের শিক্ষা? আগেও দেখেছি চিলির ভূমিকম্পে ধংশ হওয়া একটি সিনেমা হলের ছবি ফেস বুকে অনেকেই শেয়ার করছে যার ক্যাপশনে লেখা ছিল শেষ নবীকে কটুক্ত করে নির্মিত ছবি প্রদর্শন করায় হলটিতে আল্লার লানত নেমে আসে। বলতে পারেন এসব মিথ্যা প্রচারনা করে কারা? আমার ধারনা হয় কোন আহম্মক মুসলিম অথবা ইসলাম বিরোধী কোন ননমুসলিম। আর না বুঝে আমরাও ফেসবুকে এগুলোতে লাইক শেয়ারের বন্যায় ভাসিয়ে দেই।
এসব অপকর্ম যারাই করুক, যে উদ্দেশ্যেই করুক এতে যে ইসলামকে হাসি ঠাট্রার পাত্রে পরিনত করা হচ্ছে তাদে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৫