এদেশে কোন মেয়ের পক্ষে একা টিকে থাকা সম্ভব না।
এ দেশের 'সভ্য' সমাজ কোন মেয়েকে একা থাকতে স্বীকৃতি দেয় না, নিরাপত্তাও দেয় না। রাষ্ট্রও দেয় না। এরা মনে করে একটি একা মেয়ে বাড়ীওয়ালা ও প্রতিবেশী ও সমাজের জন্য হুমকি।
ব্রোকেন ফ্যামেলীতে না না কারনেই মেয়েরা একক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। এরা বিচ্ছিন্ন হবেই।
এরপরও এরা টিকে থাকতে চায়। জব খুজে সৎ ভাবেই বেচে থাকতে চায়, বাসস্থান পেতে একটা অবলম্বন খুজে। ব্রেকআপ হলে এরা সম্পুর্ন আশ্রয়হীন হয়ে যায়। অত্যাচারি অপছন্দের কাছে ফিরে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যুকে শ্রেয় মনে করে।
এরপরও এদেশের সমাজ ও বেশিরভাগ 'মানুষ' মেয়েটাকেই দোষ দিবে।
মুল ঘটনা।
আলোচিত মেয়েটি অভিভাবহীন আশ্রয়হীন দরিদ্র এবং স্বল্পশিক্ষিত। দারিদ্র ও অভিভাবহীনতার কারনে মানসিক শক্তি অর্জন করতে পারেন নি। তবে শেষদিন পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে।
মেয়েটি রাজধানীর শেখেরটেকের বাড়িতে তিনি মায়ের সঙ্গে থাকত। তার বাবা ছিল দুবাই প্রবাসী।
কয়েকবছর পর তার বাবা মনির হোসাইন পরিবারের ভরণ-পোষণের টাকা বন্ধ করে দিয়ে পরে অন্যত্র থাকত।
এক সময় মাও তাকে ত্যাগ করেছিল। পাঁচ-ছয় মাস আগে এ নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রওনকের সঙ্গে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রূপনগরের ১২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাসা ভাড়া নেন। এই দুর্ভাগাদের ভাল কেউ জোটেও না।
এরপর জোড়া আত্নহনন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮