শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মদিনে অভিনন্দন।
গণাদালত গঠন ছিল প্রতিকি একটি বিচার, একটি বৈরি পরিস্থিতির ভেতর একটি যুদ্ধাপরধিদের বিরুদ্ধে বিপুল গণজাগরন।
আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৮৭তম জন্মদিন।
আজ ৩ মে। আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৮৭ তম জন্মদিন।
১৯২৯ সালের ৩ মে এই জননী পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় জন্মগ্রহন করেন। ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স, ১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। এরপর ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। সেটা ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পথে ১৯৪৫ সাল। এরপর ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড শেষ করেন। ১৯৬৪ সালে একটি বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দেশে ফিরে ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করেন।
তাঁর উদ্দিপ্ত কর্মজীবন কেটেছে প্রথমে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়, এরপর ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এবং সর্বশেষে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষকতা।
তার বহুল আলোচিত বই "একাত্তরের দিনগুলি" ব্যাপক জনপ্রীয়তা পেয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে 'একাত্তরের দিনগুলি' ছিলো একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মায়ের দৃঢ়তা আর শহিদ পুত্র শাফী ইমাম রুমীর আত্মত্যাগের অনন্য উদাহরন।
যুদ্ধাপরাধ বিচারে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন সবচেয়ে সোচ্চার সংগঠক। গঠিত হল নির্মুল কমিটি।
..... .... তার এলিফ্যান্ট রোডের বাসাটি এখন অনেকটা মুক্তিযুদ্ধ ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি যাদুঘর।
সেই আমলের সম্ভ্রান্ত পরিবারে, রক্ষনশীল মুসলিম সমাজে উনি ছিলেন একজন মুক্তমনা, শিক্ষিত উদারমনা ধর্মপ্রান আধুনিক মনের মানুষ।
গনআদালতের বিচার অনুষ্ঠানে বিচার শেষে শেখ হাসিনার সাথে
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ২০১৩ শাহাবাগ গণজাগরনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন আমাদের অনুপ্ররনা।
আজ এই মহিয়ষীর জন্মদিনে আমাদের সুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯