ট্রেজারি ডাকাতি, ইতিহাসের বৃহত্তম ফর্জ ট্রানজেকশান!
আপাতত কোন কনক্লুসানে আসার মত তথ্য-প্রমান বাইরে আসেনি .. সময়ই সব বলবে ...
১৯৯০ দশকে এদেশের বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলো বৃহৎ লেজার খাতা অপসারন করে ব্যঙ্কিং সফটওয়ার ব্যবহার সুরু করে।
৮০র দশকে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বেসরকারি ব্যাঙ্ক আরব বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৫এর দিকে অনলাইনে আসা সুরু করে, ১৯৯৩তে প্রথম বেক্সি ৩০০, বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমে কাজ সুরু আরপিজি-১ আরপিজি-২ ও আরপিজি-৪০০ এডভান্সড লেবেল ল্যাংগুয়েজে। তখন বেসরকারি ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি তৎকালিন আন্তর্জাতিক মানের ছিল। সেখানে বাইরে থেকে সিস্টেম হ্যাক করা সম্ভব হয়নি। কোন বিপর্যয় হয় নি, সুধু ১৯৯৯এর শেষদিকে Y2k আতঙ্ক ছাড়া। ২০০০ এর সুরুতে চেরনোবিল ভাইরাসে লক্ষ লক্ষ হার্ডডিস্ক মুছে গেলেও কোন ব্যাঙ্ক আক্রান্ত হয়নি।
এখানে আমেরিকান কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ ইচ্ছাকৃত ভাবে সদ্যতৈরি ভুয়া ব্যাক্তি একাউন্টে অর্থছাড় করেছে।
ফেড ব্যাক্তিগত একাউন্টে এভাবে টাকা ছাড় নজিরবিহীন।
শ্রীলঙ্কান স্টেটব্যাঙ্ক বিশাল এমাউন্ট দেখে ভুইফোড় সিঙহলি এনজিওটির সদ্য তৈরি একাউন্টে কোন দ্বিধা ছাড়াই “স্টপ পেমেন্ট" করে দিয়েছে
ফিলিপিনো স্টেট ব্যাঙ্কও টাকা প্রদানে হ্যাসিটেট ছিল, পরে টুরিজম ভিত্তিক উদার মুদ্রানীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শর্তযুক্ত আংশিক ছাড় টাকা ছাড় করলেও ভুয়া একাউন্ট খোলায় রিজাল ব্যঙ্কের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, ব্যাঙ্ক ব্যাবস্থাপকক/ভাইস্প্রেসিডেন্টকে বিমান থেকে নামিয়ে পলায়ন বন্ধ করেছে।শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোষ দেগুইতোই অপরাধী নন বলে মনে হয়, মাফিয়াচক্র উইলিয়াম ওং খুনের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলিয়েছে । অনেকের সাথে এ কথাই বলেছেন সিনেটর সার্জি ওসমেনা।
রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার রোড শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোস দিগুইতো
চুরির ঘটনা বুঝতে সময় লেগেছে ৫-৬ দিন, এরপর সবাই চেষ্টা করেছে, প্রথমেই দেশের গরীব নাগরিকদের রক্তঘামে অর্জিত বিশাল আমানতের প্রধান তহবিল রক্ষক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর কাছে সাহায্য চেয়েছে। তারা একটুও সহযোগিতা করেনি। এরপর ৮ই ফেব্রুয়ারি ফিলিপিন্সে ফোনে স্টপ পেমেন্ট অনুরোধ জানানো হয়। এরপর ১৬ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান নিরুপায় হয়ে অর্থ উদ্ধারে সহায়তা চেয়ে ব্যাংকো সেন্ট্রাল গভর্নর আমান্দো তেতাঙ্গকো জুনিয়রের কাছে একটি চিঠি লেখেন। তিনি এতে বলেন, আরসিবিসিতে পাঠানো যে সুইফট অর্ডার হয়েছে তা ভুয়া। উনি এই ঘটনা জানার সংগে সংগে আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যাতে আর যাতে কোন টাকা খোয়া না যায়। এবং যে টাকা চলে গিয়াছে সেটা উদ্ধারের জোর চেষ্টা চালিয়েছেন। এবং এই ঘটনা মিডিয়াতে প্রচার হলে কোন লাভ হতনা। বরং বড় ধরনের একটা প্যানিক সৃষ্টি হতে পারতো। এই কারনে উনি চেপে গিয়াছিলেন হয়তোবা।
বাংলাদেশের মত গরীব দেশেও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিঙ্গের মাধ্যমে আন্তএকাউন্ট বা আন্তব্যাঙ্ক লেনদেন করতে প্রথম বার পেমেন্ট করতে অনেকগুলো পর্ব পার হতে হয়, সেম একাউন্টে দ্বিতীয় বা পরবর্তিতে আর সেসব লাগে না, সহযেই করা যায়। কিন্তু প্রথম ট্রানজেক্সানে বেনিফিসারি নেম সেভ করতে পিতামাতার নাম, কোন শাখা, কার্ড নং সর্বশেষ লেন-দেন তথ্য জানতে চাওয়া হয়, ইমেল ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়, উত্তর দিতে দেরি হলে বা ভুল লিখলে একাউন্টই লক হয়ে যায়। কিন্তু এই বিশাল ব্যাঙ্ক ফেড কোন ভেরিফিকেশন বা ফোন করেনি।
বাংলাদেশের সরকারি বিদেশী পেমেন্ট সাধারনত সোনালী জনতা ও অগ্রনীব্যাঙ্কের বৈদেশিক বানিজ্য শাখার মাধ্যমে পরিশোধ করে এছাড়া, HSBC, CITi bank NA তো আছেই। বাংলাদেশে বড় কয়েকটি বিদেশী ব্যাঙ্ক HSBC, CITiBANK NA ইত্যাদি আছে, যারা সুধু করপরেট আন্ত-ব্যাঙ্ক টাকা মুভ করায়। এরা অল্প কয়েকটি সুনির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত বড় কর্পরেট গ্রাহক ছাড়া অন্য কারো সাথে লেনদেন করে না।ভুইফোড় এনজিও বা ব্রিফকেস কম্পানীর একাউন্টে ট্রানজেক্সান এক্সিকিউট কখনোই হবে না, সিস্টেম বারড। আর ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর মত রাষ্টিয় ব্যাঙ্ক সিস্টেম বার নাল। বিশ্বাস করা যায়?
এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়?
বাংলাদেশ সরকারি বড় রাষ্ট্রীয় পেমেন্ট আমেরিকান কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর মাধ্যমে পরশোধ করে, সর বড় গ্রহিতাই সুপরিচিত যেমন - বৃহত্তম পেমেন্ট দেয়া হয় এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু)র মাধ্যমে। বাংলাদেশ সরকারি বড় রাষ্ট্রীয় কেনা কাটা আকুর গ্যারান্টিতে বাকিতে কিনে, পরে প্রতিমাসে বা দু-তিন মাস অন্তর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু)কে ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে। এটাই বাংলাদেশের বৃহত্তম এককালিন পেমেন্ট যা মাঝে মাঝে ১০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
আর অন্যান্ন বিদেশী রাষ্ট্র, বা রাষ্ট্রিয় মুল্য পরিশোধ তো আছেই, যেমন -
চীন বা রাশীয়ার বাকিতে কেনা অস্ত্রকেনা কিস্তি পরিষোধ
ইরানী বা সৌদি তেল কম্পানীকে মুল্য পরিশোধ
সৌদি তেল কম্পানীকে ফার্নেস ওয়েল কেনার অগ্রিম পেমেন্ট
বিশ্বব্যাঙ্ক, জাইকা এডিবির সুদের কিস্তি পরিশোধ
২০০৯ এ কেনা বোইং জেট বিমান কেনার কিস্তি পরিশোধ
কোরিয়ান রেল কম্পানীর ঋন পরিশোধ।
ফেডের বাংলাদেশী পেমেন্ট রিকোয়েস্ট প্রায় সবই সুপরিচিত বড় গ্রহিতা,
কিন্তু এখানে আমেরিকান কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এত সিধা ক্যান? কোথাকার কোন জুয়ারী চিঙ্কু নতুন তৈরি একাউন্টে ডলার চাইলো আর দিয়া দিল। এত বিশাল বিলয়ন ডলার এমাউন্ট চাইল আর ফস করে দিয়া দিল,
মাত্র ১ বিলিয়ন থেকে ২৮ বিলিয়ন ডলারে উত্তির্ন বাংলাদেশের বিশাল রিজার্ভ, দেশের গর্ব আর অহঙ্কারের ব্যাপারটিকে কারা ধ্বংশ করে দেশটিকে পথের ভিকিরি বানাতে চাচ্ছে। কারা?
এই অর্থ যারা তসরুফ করেছে তারা আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেস্যে করেনি বলেই আপাতত মনে হচ্ছে। দেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটি অচল করে ফেলাই তাদের মুল কাজ ছিল বলে মনে হচ্ছে। এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে এদেশী ব্যাঙ্কের সন্দেহভাজন কেউই পলাতক নেই। আত্নসাতে সরকারি দলের কেউ জরিত বলে মনে হয়না। আপাত এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সন্দেহজনকরা ম্যানিলার জুয়ারী, চীনা মাফিয়াদের সাথে কোন সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে না, তারা ১ মাস সময় পেয়েছিল, ভেগে যেতে। যায় নি।
নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভের সাইবার সিক্যুরিটি সিস্টেম নিসন্দেহে পেন্টাগনের চেয়েও উন্নত। তারাই একমাত্র সঠিক টা বলতে পারে, ট্রাঞ্জেকশান টাইমে প্রকৃতই কি হয়েছিল। সেখানে এবং এখানে কারা কারা ছিল? ট্রাঞ্জেকশান পাস কোড বা সুইফট কোড কোন ব্যাক্তি বা ব্যক্তিরা জেনারেট করেছিল? সাধারন টেলিফোনে ম্যানুয়ালী ভেরিফিকেশন করা হয়েছিল কি না? হয়ে থাকলে কনভাসেশন রেকর্ড থাকার কথা। এই রেকর্ড হারিয়ে ফেললেও ফেড ও সুইফটস অফিসে অবস্যই থাকার কথা। ফেড (ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিউইয়র্ক) কেন নিশ্চুপ? কেন সহযোগিতা করছে না?
দেশে বা বিদেশে ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা উঠাতে , বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে , এক এ্যাকাউন্ট থেকে আরেক এ্যাকাউন্টে বেশী টাকা ট্রাসফার, এমনকি ক্রেডিট কার্ডে বেশী টাকার বাজার করলে ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে ম্যানুয়াল পারসন টু পারসন ফোন করে বা ভেরিফিকেশন কোডে নিশ্চিত হয় টাকাটা কি আমিই পাঠাচ্ছি/খরচ করছি কি না । এবং যেখানে টাকাটা যাচ্ছে তাকে আমি চিনি কিনা ? এটা ক্রস চেকিং, সারা বিশ্বেই ব্যাঙ্কে এই নিয়ম । আমেরিকান ফেডারেল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম ক্রস চেকিং ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা রিলিজ করে দিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়?
কোথায় কোন ক্যাসিনো না জংগিদের এ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বা এ নির্দেশ সত্যি দেয়া হয়েছে কিনা তার কোন সাধারন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি । এমনকি ম্যানিলাতে অবৈধ লন্ডারিং ফাঁস, এরপর ব্যাপক বিতর্ক শৃষ্টি হলেও সে ধুম্রজালের ভেতর শ্রীলংকায় আরো পাচটি সন্দেহভাজন ট্রাসফার রিকোয়েষ্টে শ্রীলংকার সদ্য তৈরি ভূয়া একটি এ্যাকাউন্টে বৃহত্তম এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়? শৃলঙ্কার স্টেট ব্যাঙ্ক "স্টপ পেমেন্ট" না করলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটতো।
ইতিহাসের বৃহত্তম জালিয়াতির ঘটনার পরও নির্লিপ্ত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুই লাইনের দায়সারা বিবৃতি
একটা ভয়ংঙ্কর ব্যাপার, রিজার্ভ অর্ধেক খালি করার বদমতলব।
আসলে মার্কিন প্রশাসনে সাম্রাজ্যবাদি কোন শক্তিশালি মহল স্টেবল হাসিনা সরকারকে আনস্টেবল করতে বিরুদ্ধে জেনেশুনেই এ ধরনের ফরমায়েসি কান্ড করিয়েছে কিনা তা আমাদের ভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। নাকি তারা আমাদের দেশকে তহবিলশুন্য দেউলিয়া করে একটি 'শুশিল ক্যু' তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি কাজে ব্যবহার করছে ? নইলে ফেডারেল ব্যাংক কেন তাদের দায়িত্ব এডিয়ে যাচ্ছে ? বিশ্বের বৃহত্তম ফর্জারি কান্ডে অন্তত নিজেদের দায়মুক্তির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি নিজেদের দেশের নেট বিশেষজ্ঞদের ব্যাবহার করছে না। এত বড় ঘটনার পরও নিজেদের সারভারে খুজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেনা কেন?
ম্যানিলার আদালতে অভিযুক্ত ব্যাঙ্কাররা।
আর সবশেষে আমাদের নিজেদের দোষটাও খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
কার অপরাধের শাস্তি কে পায়! ডঃ আতিয়ার রহমান ছিলেন এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ট গভর্নর। একজন ক্লিন ব্যক্তি।
লোভ, ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির পেছনে উনি কখনো ছিলেন না, কেউ বলে অপবাদ দিতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ যখন দায়িত্ব নেয় তখন রিজার্ভ ছিল ১ বিলিয়ন। আর ডঃ আতিয়ার রহমানের সুসম পরিচালনায় এখন সেই রিজার্ভ ২৮-২৯ বিলিয়নের ওপর .... সেই রিজার্ভ তিনি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন, এখনই বলা যায় না।
এবারের ইস্যুতে অর্থমন্ত্রীর কথাগুলো একদম অসংলগ্ন। এই হারামির বাচ্চা নিজে জিয়ার প্রডাক্ট, এরশাদের মুত্রপান করেছে পুরো মেয়াদ। সে কোন কালেই আওয়ামীলীগের পক্ষে ছিলনা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ড: কিবরিয়া গ্রেনেডহামলায় নিহত হলে নিরুপায় হাসিনা এই নিমকহারামকে কোষাগারের দায়ীত্ব দেন। এই আবালটা ঘটনার কোন তদন্ত হওয়ার আগেই মিডিয়ার সামনে এসে অতিয়ুর স্যারের বিরুদ্ধে বিষোদঘার করেছেন। অথচ বিনা তথ্যপ্রমানে তাকেই মিডিয়ার সামনে চোর বলছেন। অন্য একদিন এও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো দায় নেই। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’ অর্থাৎ, আগপিছ না জেনেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
এই বানচ্চোত অর্থমন্ত্রী সরকার কে বিপাকে ফেলতে একবার বলেছিলেন, ৪০০০ কোটি কোন টাকাই না। যদি ৪০০০ কোটি টাকা ওনার কাছে কিছুই না হয়ে থাকে, তাহলে মাত্র কয়েকশত কোটি টাকা নিয়ে এত উত্তেজিত হওয়াটা অন্তত ওনার সাজেনা। মনে হয় আগে থেকেই ড. আতিউর রহমান স্যারকে সহ্য করতে পারছিলেননা। এই মাদার োদ মাল এর আগে ব্যক্তিগত ফালতু কারনে শুদখোর ইউনুছের বিরুদ্ধে একহাত নেয়, আর শেখ হাসিনার কান ভারি করে অকারনে খেপিয়ে তুলে। হতে পারে এই শুধখোরটা প্রত্যাশানুরূপ ওনাকে তোয়াজ করে চলছিলেননা। কি দরকার ছিল? সে শুদ খেলেও তো নারীবান্ধব এন্টিফান্ডামেন্টাল পলিসি ছিল তার মুলনীতি, মুলত সে বছকে বছর হাসিনা পলিসি প্রতিষ্ঠা করছিল, আর শুদ কি ইউনুসে একাই খায়? আবেদে সহ আরো শতাধিক মাইক্রোক্রেডিট এনজিও খায় না?
যাই হোক ভবিস্যতে আরো বড় বিপর্যয় সামনে আছে।
তবে আপাত এই টাকাগুলো বাংলাদেশ ফেরত পাবে। সময়ের ব্যাপার সুধু।
ফিলিপিনো স্টেট ব্যাঙ্ক এই বড় টাকা ব্যাক্তিএকাঊন্টে প্রদানে অস্বিকৃতি জানিয়েছিল, পরে ফিলিপিনস টুরিজম ভিত্তিক উদার মুদ্রানীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শর্তযুক্ত আংশিক ছাড় করিয়ে নেয় দুর্বৃত্ত্বরা, তবে কোন সমস্যা হলে স্থানীয় ব্যাঙ্ক সমুদয় টাকা ফিরিয়ে দিবে এই শর্তে। বহুল আলোচিত সুন্দরি আরসিবিসি’র জুপিটার স্ট্রিট শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোষ দেগুইতো আদালতে বলেছেন মাফিয়া চক্র খুনের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলিয়েছে এবং অর্থ ছাড় করিয়েছে।
ম্যানিলার কাছে মাকাতি শহরের সিটি প্রসিকিউটর অফিসে ৬ পৃষ্ঠার অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে জালিয়াতি হয়েছে। তারা টাকা উত্তোলন ও অন্যান্য ডকুমেন্ট বানিয়েছে। এসব ভুয়া ডকুমেন্ট বিভিন্ন লোকের তৈরি। এর সঙ্গে ট্রুথ ভেরিফায়ার সিস্টেমের একটি রিপোর্টও জমা দেয়া হয়েছে। এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এরা স্বাক্ষর ভেরিফিকেশন করে থাকে। আরসিবিসি গত ১৭ই মার্চ এ রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিনেটে। ৫ই ফেব্রুয়ারি দুই কোটি পেসো উত্তোলনের যে স্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে তা জাল। ওইদিনই বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আরসিবিসির জুপিটার শাখায় স্থানান্তরিত হয়। এদিনই ওই শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। এ কাজ করতে উইলিয়াম সো গোর নামে ভুয়া ডলার লেনদেনের একটি নতুন একাউন্ট খোলা হয়। তাতেই জমা হয় ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এই অর্থ রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেম মানি একচেঞ্জ পেসোতে রূপান্তরিত করে। তারপর তা অন্যান্য একাউন্টে জমা হয়। এখান থেকে অর্থ চলে যায় ক্যাসিনোতে ‘কৃষ্ণ গহ্বরে’।
এই মামলা চালু থাকলেও অভিযুক্ত স্থানিয় ব্যাঙ্ক ফিলিপিনো স্টেটব্যাঙ্ককে টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য, ব্যঙ্কিং আইনে তাই বলে। ব্যাঙ্ক অর্থ সঙ্কুলান নাহলে বা দিতে ব্যার্থ হলে তার ইনস্যুরেন্স কম্পানী দিবে। সব ব্যার্থ হলেও ফাইনাল রিএসুরেন্স অফিস 'লয়েডস' দিবে। দিতে হবেই।
টাকা ফিরিয়ে দেয়ার পুর্বে বাংলাদেশকে একটি ফর্মাল মামলা করতে বলা হবে। এটাই নিয়ম।
বিশ্বব্যাপি কঠিন মানিলন্ডারিং আইনে অপরের টাকা হজম করা এত সহজ না।
তথ্য সুত্র
ফিলিপিনো দৈনিক দা ইনকোয়ারার।
প্রথম আলো ২০১৬
ফেবু বন্ধুদের স্ট্যাটাস/মন্তব্য।
সুত্র সংযোজন ২১-০৪-২০১৬
তিন মাসের মধ্যে পুরো অর্থ ফেরত দেবে ফিলিপিনস সরকার
তথ্য সংযোজন ০৪-০৫-২০১৬
এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে সুইফট ট্রাঞ্জেক্সান রিকোয়েষ্ট, গভীর রাতে ১২টার পর হয়েছে। এত রাতে কোন অফিসারই ব্যাঙ্কে ছিল না, থাকার কথাও না। অর্থাৎ ভিন্ন কৌশলে হ্যাক হয়েছে অবস্যই। ফিলিপিনো তদন্তে হ্যাক হওয়া অর্থে বাংলাদেশের কারও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর রিজার্ভের টাকা চুরি ঠেকানো সম্ভব না হলেও, টাকা বেহাত হওয়া থামানো গেছে।
রাষ্ট্র যথা সময়ে ব্যাবস্থা নিতে না পারলেও পরে যোগাযোগ করে প্রয়জনীয় প্রতিনিধী পাঠিয়ে "স্টপ পেমেন্ট" করে টাকা বেহাত হওয়া থামানো গেছে। টাকা আংশিক ফেরত এসেছে, বাকিটা ফিলিপিনস রাষ্ট্রিয় হেফাজতে আছে। হ্যাকিং করে নেয়া সব টাকাই ফিরে আসবে।
রিজার্ভের অর্থ চুরির বিষয়টি নিয়ে ১০ মে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এর সাথে ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নিউইয়র্ক ফেড ও সুইফটের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই মিটিংটি হবে। বৈঠকে অংশ নিতে ৮ মে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে গভর্নরের। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গভর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ওই বৈঠকে অংশ নেবেন।
চুরি যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চুরির ঘটনায় কার কতটুকু কার দায়দায়িত্ব তা নিয়েও আলোচনা হবে। বাংলাদেশ মনে করে, এ ঘটনায় নিউইয়র্ক ফেড ও সুইফটের দায় রয়েছে। অন্যদিকে সুইফট ও নিউইয়র্ক ফেড একাধিকবার বলেছে যে তাদের কোনো দায় নেই। দুর্বলতা বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফেড নিউইয়র্ক ও বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফটেরও কিছু দায়দায়িত্ব রয়েছে। একটা চক্রান্ত অবস্যই ছিল। এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে সুইফট ট্রাঞ্জেক্সান রিকোয়েষ্ট, গভীর রাতে ১২টার পর হয়েছে। এত রাতে কোন অফিসারই ব্যাঙ্কে ছিল না, থাকার কথাও না। অর্থাৎ ভিন্ন কৌশলে হ্যাক হয়েছে অবস্যই। এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে ফিলিপিনো তদন্তে হ্যাক হওয়া অর্থে বাংলাদেশের কারও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা।
রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফেড নিউইয়র্ক ও বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফটের কোন ভাবেই দায় এড়াতে পারে না। রিজার্ভের অর্থ স্থানান্তরে সুইফটের বার্তা ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া আদেশ পাঠানো হয়েছিল, বড় বড় এমাউন্ট চলে যাচ্ছে দেখার পরও ম্যানুয়াল ক্রসচেকিং/ভিরিফিকেশন করে নি।
এই ৩৫টি ট্রাঞ্জেকশান রিকোয়েষ্ট মোট 9.5 বিলিয়ন ডলার (রিজার্ভ প্রায় অর্ধেক খালি করে ফেলার মত ভয়াবহ চক্রান্ত) ৩৫টির ভেতর ৩০টি আদেশ আটকে দিয়েছিল সুইফট। যদি ৩০টি আদেশ আটকানো সম্ভব হয়, তবে প্রথম পাঁচটি আদেশ কেন ছেড়ে দিল সুইফট? কেন আটকানো গেল না? এ ক্ষেত্রে আমানত রক্ষক ফেড নিউইয়র্ক ও সুইফটের গুরুতর গাফলতি ছিল, তারা কোনভাবেই তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
সংযোজন ১০-০৫-২০১৬
ইচ্ছাকৃত ভাবেই সুইফট নিয়োজিত ঠিকাদার কর্মিরা সার্ভার আপডেট করতে এসে 'হ্যাকিং সুবিধা' স্থাপন করে রেখেছিল।
ডাকাতদের সাথে সুইফট নিয়োজিত ঠিকাদার কর্মিদের সম্পর্ক থাকতেও পারে, কারন পরে ওদের একজন ফিলিপিনো আইটি টেকনিশিয়ান ম্যানিলাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হয়েছিল।
গত বছর আগস্ট থেকে নভেম্বর। এই চার মাস সুইফটের টেকনিশিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে কাজ করে। সুইফট সার্ভারের সঙ্গে তারা আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) নামে আরেকটি সার্ভারকে সংযুক্ত করে। নিয়ম অনুযায়ী সুইফট সার্ভারে আরেকটি সার্ভার আইপির সংযোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে সেখানে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের একটি আইপির সংযোগ দেয়। এতে সুইফট সার্ভারের সঙ্গে ব্যাংকের ৫ হাজার সাধারণ কম্পিউটারের সংযোগ এক হয়ে যায়। এমনকি ওই সার্ভারে কোনো ধরনের ফায়ার ওয়াল বা ম্যানেজেবল সুইচও বসানো হয়নি। যাবার সময় সেই রিমোট একসেসটি চালু রেখেই চলে যান তারা। এসব কারণে তদন্তকারী সংস্থা বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি বলছে, সুইফটের টেকনিশিয়ানরা এটা ইনটেনশনালি করেছে বলে তাদের মনে হয়েছে।
সুইফট সার্ভার অরক্ষিত রাখার দু’মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিং হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে ইতিমধ্যে সুইফটের ৮ কারিগরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে চিঠি দিয়েছে সিআইডি। একই সঙ্গে বিষয়টির বিস্তারিত জানতে সুইফটের প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তার সঙ্গে ব্যাংকের কয়েকজন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শাহ আলম বলেন, "আমরা সুইফটের টেকনিশিয়ানদের মারাত্মক কিছু অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি"।
এই সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সুইফটের কর্মীরা নিজেদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি বলেই দৃশ্যত মনে হচ্ছে। এ কারণে, এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুইফট মেসেজিং ব্যবস্থায় বাইরে থেকে প্রবেশ সহজ হয়ে যায়। সিআইডি সূত্র জানায়, ব্যাংকের সার্ভারে এসব সংযোগ ঘটানোর পর এর দুর্বলতার দিকগুলো যাচাই করার দায় সুইফটের। কিন্তু তারা তা করেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাক অফিস অব দি ডিলিং রুমের যেসব কম্পিউটার থেকে অর্থ ট্রান্সফারের জন্য অটো মেসেজ প্রদান করা হয়, সেসব কম্পিউটারে একটি করে ইলেকট্রনিকস চিপস লাগানো থাকে। সাধারণত দিনের কাজ শেষে সেই চিপস খুলে রাখার কথা। চিপস রাখার জন্য ব্যাংকে আলাদা সুরক্ষিত ভল্টও রয়েছে।
কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাক অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুইফটের কারিগররা তাদের চিপস না খোলার পরামর্শ দিয়ে গেছে। এজন্য তারা চিপসটি ২৪ ঘণ্টাই কম্পিউটারে লাগানো অবস্থায় রাখতো। চিপসটি যথাযথভাবে খুলে ভল্টে রাখা হলে অর্থ ট্রান্সফারের জন্য বার্তাটি যেত না। এসব কারণেই তারা সুইফটের কারিগরদের সন্দেহ করছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম দিকে সুইফট যেমন শক্তভাবে তাদের কোনো অবহেলা বা দুর্বলতা ছিল না বলে জানিয়েছে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ধরিয়ে দেয়ার পর তাদের স্বর এখন নরম হয়েছে। এই সন্দেহজনক বিষয়টি জানতে ইতিমধ্যে ৪-৫ জন দক্ষ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বেলজিয়ামে সুইফটের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছেন। সেখানকার টপ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলে অর্থ উদ্ধার নিয়ে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান ও সুইফটের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
সিআইডি সূত্র জানায়, তারা সন্দেহভাজন হিসেবে সুইফটের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে তারা কেন এমন কাজ করেছে তার একটা জবাব পাওয়া যাবে। এই কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সুইফটের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, সুইফট কর্মীর ভুল বা অবহেলা শনাক্ত করার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাক অফিস, ফরেন রিজার্ভ বিভাগ ও আইটি বিভাগের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহেল বাকি বলেন, আমরা কিছু লোকের ইচ্ছাকৃত 'হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্র' তৈরি করে দেয়ার কিছু সূত্র পেয়েছিা।
সুত্র - মানবজমিন ১০-০৫-২০১৬
তথ্য সংযোজন ০৭-০৯-২০১৮
বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিতে উত্তর কোরিয়ার এক হ্যাকার জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সনি করপোরেশন ও ২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে ‘ওয়ানাক্রাই র্যানসমওয়্যার’ সাইবার আক্রমণের দায়ে পার্ক জিন হিয়ক নামে ওই উত্তর কোরীয়র বিচার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির বিচার দপ্তর বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করে বলেছে, পার্ক ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায়ও জড়িত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার দপ্তরকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স এই তথ্য জানানোর পাশাপাশি বলেছে, পার্কের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোগ নিলেও নিজেদের এই নাগরিককে উত্তর কোরিয়া বিচারের জন্য ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুই দেশের মধ্যে অপরাধী হস্তান্তরের কোনো চুক্তিও নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের প্রতিক্রিয়া জানতে রয়টার্স জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো উত্তর পায়নি।
ভবিষ্যতে সাইবার আক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যেই আগের ঘটনাগুলোর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ।
পার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি লাজারাস গ্রুপ নামে একটি হ্যাকার দলের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। তাদের লক্ষ্যবস্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে পার্ক যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনে সাইবার আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ইতোমধ্যে পার্ক এবং তিনি যে চীনা কোম্পানিতে কাজ করেন সেই চোসান এক্সপোর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
view this link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২