লাশ কয়টি?
২৫০০ - ৩০০০ বলছে অনেকে। হেফাজত অবস্য মৃতের সংখ্যার ব্যাপারে কিছুই বলেনি। তবে হেফাজতের লালবাগ কেন্দ্র থেকে একটি মুখপত্র আমারদেশ পত্রিকায় জানিয়েছে মৃতের সংখা ১৬জন। সুত্র-আমারদেশ
আলজাজিরা বলছে সারাদেশে সারা দেশে মোট ৫১ জন নিহত।
বিবিসি, স্থানীয় দৈনিক পত্রীকাগুলোর বক্তব্য প্রায় একই রকম, সারাদেশে বিচ্ছিন্ন ভাবে সারা দিনে মোট ৩০-৪০ জন নিহত
বিএনপির ভোমা নেতারা হেড়ে গলায় মিডিয়ার একগাদা মাইকের সামনে বলছে লাশের সংখ্যা ৩০০০। সব লাশ গুম করা হয়েছে। রানাপ্লাজারও হাজার হাজার লাশ গুম করা হয়েছিল বলা হয়েছিল! বিএনপির নেতারা অবস্য বলেনি কোন সুত্রে এ তথ্য পেলেন। রাজনৈতিক বক্তব্যে কোন তথ্যসুত্র লাগে নাকি।
হেফাজতের মুখপত্র বিএনপির দাবি সমর্থন করেনি। পরে বিএনপির অযাচিত ভাবে করা 'গায়েবানা জানাজা' প্রত্যাক্ষান করে, হেফাজত পরে নিজেদের ডাকা হরতালও প্রত্যাহার করে নেয়।
সে রাতে কি মিডিয়ার উপস্থিতি ছিল?
হ্যা, সকল টিভি ও পত্রিকার সাংবাদিক প্রতিনিধী সেখানে উপস্থিত ছিল।
তারা থাকবেই কারন রাত১২টায়ই খবর হয়ে যায় হেফাজতিদের উঠিয়ে দেয়া হবে পুলিশি অভিযানে। তাই লাইভ সম্প্রচার করতে নিষেধ করা হয়েছিল, কিন্তু অনেকেই মানে নি।
সময় টিভি ও দিগন্ত টিভি লাইভ সম্প্রচার করছিল, দিগন্ত ভোর ৪ টায় সংবাদ প্রচার করে নিভে গিয়েছিল। অন্যান্ন চ্যানেলের সাংবাদিক সেখানে ছিল, পত্রীকার প্রতিনিধীরা অনেকেই ক্যামেরা সহ উপস্থিত ছিল। ৭১ এর সাংবাদিক একটি ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লাইভ অডিও বিবরন দিচ্ছিলেন। দিগন্ত টিভি সহ সবাই হেফাজতিদের তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলা হচ্ছিল, প্রায় বিনা বাধায়ই। তখনো হতাহতের সংখ্যা কিছুই বলা হয়নি। যদিও ৪টি মৃতদেহ পাওয়া যায়, যারা ভীড়ের চাপে পদদলিত হয়ে বা সাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে।
শেষরাতে ক্রাকডাউন শুরু হওয়ার পর সকালে মিডিয়ার প্রায় সবগুলো টিম চলে আসে, ৬-৭টার পর সাধারন উৎসুক জনতাও আসতে শুরু করে। সিটি কর্পরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মিরা তখন দলে দলে কাজে লেগে গেছে, পরে থাকা জুতা সেন্ডেল, ইটের ভাঙ্গা, কেটেফেলা গাছ সরিয়ে ফেলতে। রাস্তার একপাস চালু করে দেয়া হয় সকাল ৮টার পর। এর পর অফিসগামি যাত্রিরা আসতে সুরুকরে।
৩০০০ লাশ গেল কৈ? ৩০০০ মারতে কত গুলি লাগে? সাধারনত ১০ জন মারা গেলে ৫০-৬০ জন আহত থাকে, ৩০০০ মৃত্যু হলে ১৬,০০০ আহত হওয়ার কথা, কিন্তু আহত নেই! ঢাকা মেডিকেলে আহত নেই। গুলিতে আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল বা মিটফোর্ড ছাড়া ভর্তি করবেনা কোন বেসরকারি হাসপাতাল। আহতের জন্য কেউ রক্ত চাইলোনা বাস্তবে বা ফেসবুকে!
৩০০০ লাশ সরাল কিভাবে,
সাধারনত ১৮-১৯ জন মানুষের ওজন ১ টন হয়, (৬০কেজি পার ম্যান হিসাবে) একটি ট্রাক ৫ টন ক্যাপাসিটি, মনে করি ওভার লোড, দ্বিগুন লাশ উঠাইছে, ১০ টন (১৯০জন)! দ্বিগুন ওভারলোড করলেও ১৮ টা ট্রাক লাগবে, (বাস্তবে ওভারলোড সম্ভব না লাশ উপচে পরবে, দেখা যাবে) ৩০টা ট্রাক লাগবেই। মনে করি বেশী লোক লাগিয়ে ৩০টি ট্রাক একসাথে লোডিং করেছিল, সেটাও সম্ভব না কারন রাস্তায় বিভিন্ন অবস্ট্রাকশন ছিল, কেটে ফেলা গাছ, পিলার, বাতির খুটি পুড়ে যাওয়া বিধ্বস্ত যানবাহন ইত্যাদির কারনে একই সাথে দুটির বেশী ট্রাক একযোগে লোডিং করা টেকনিকেলি সম্ভব ছিলনা। লাশগুলো নিশ্চই একযাগায় জড় করা ছিলনা যে এক্সাভেটর বা পেলোডার ব্যাবহার করবে! ৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
সবচেয়ে কাছের একটি লাশ খুজে এনে লোডিং করতে ৩মিনিট ধরলাম (অন্ধকারে ৫ বর্গ কিলোমিটারের ভেতর দুরবর্তি ১ টি লাশ খুজে আনতে ১ ঘন্টা বা আরো বেশী সময় লাগার কথা)
৩০০০ লাশ এনে লোডিং করতে ১৫০ ঘন্টা, দুইট্রাক একসাথে লোডিং তাই ৭৫ ঘন্টা (তিন দিন) লাগতো, সর্বচ্চ লোক লাগিয়ে সর্বশক্তি দিয়েও ১০-১২ ঘন্টার আগে লাশ সরাতে পারতনা। অতচ দুতিন ঘন্টা পর দিনের আলো আসার পর কেউ একটি লাশও দেখেনি। ৬ টার দিকে আমি সেখানে যাই। রক্তও দেখা যায় নি, দেয়ালে গুলির দাগ একটিও নেই, পড়ে থাকা গুলির খোসাও নেই।
লাশের সংখা যদি মাত্র ৫০০ ও হয় তাহলেও প্রায় ৫ ঘন্টার আগে সব লাশ সরাতে পারতনা।
এছাড়াও যেমন পার ম্যান ২ ব্যাগ হিসাবে ৬ টন রক্ত ধুয়ে সরাতে হলে কত হাজার গ্যালন পানি লাগতে পারে?
রক্তপচা পানি জলাবদ্ধ হয়ে যে পঁচা গন্ধ বের হত তা ১৫ দিনেও কেউ কাছে আসতে পারতো কি না সন্দেহ।
লাশ ট্রাকেকরে সরানোর সময় ফোটা ফোটা রক্তে ট্রাকের গতিপথের রাস্তা সয়লাব হয়ে যেত। মানুষের চোখে মিডিয়ার চোখে পড়তই।
ভন্ড মাওলানা খোকা, এমকে জানোয়ার কোথায়? জবাব কি!
ম্যাডাম যদিও এখনো চুপ আছেন, আগে তার কথা লিখে দিতেন সফিক রেহমান, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তার লেখা লিখে দিচ্ছে জামাতি 'বাঁশের কেল্লা'!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬