পত্রিকায় জুনিয়র সহসম্পাদকের কাজ করি। তাই মাঝে মধ্যে আমাকে সাহায্যের আবেদনের সংবাদ করা লাগে। ইতিমধ্যে এই ধরনের সংবাদ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন, অভিজ্ঞতা জন্মেছে। সাহায্যের আবেদন ছাপানোর পরদিন যখন শুনি কেউ আমার নিউজটি পড়ে সাহায্য করতে চেয়েছে তখন ভালো লাগে। এই ভেবে যে কারও উপকারে কিছুটা কাজে লাগতে পারলাম।
বেশির সময় সংবাদ পাই দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। নয়তো ক্যান্সারে আক্রান্ত। খুব খারাপ লাগে তখন। নিয়মিত সাহায্য আবেদনের সংবাদ করি এবং প্রতিটা সংবাদে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলি। তাদের কথা শুনে মনটা আরও খারাপ হয়ে যায়।
অনেক সময় সব কিছু সম্পাদনা করার পর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি তখন অনেকে ফোনের লাইন কেটে দেয়। দুই তিন বার চেষ্টা করি। তারপরও লাইন কেটে দেয় নয় তো ফোন ধরে না। তখন খুব খারাপ লাগে। কারণ কোনো তথ্যের অভাব রেখে সে নিউজ অন্তত আমি ছাড়ি না। ফলে তখন আর সেই সাহায্যের আবেদন ছাপানো হয় না।
আজ একজনের নম্বরে কথা বললাম। তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। দরিদ্র কৃষক পরিবারের এক মাত্র ছেলে। অর্থনীতিতে এমএসএম করেছে। ফোন করে শুনলাম। অপারেশন হয়ে গেছে। ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর মা একটি কিডনি দিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন মৃতু্যর আগ পর্যন্ত তাকে ওষুধ খেতে হবে। এখন প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার ওষুধ লাগছে।
আমার প্রশ্ন আপনারা কি সংবাদপত্রে সাহায্য আবেদনের সংবাদ পড়েন? সংবাদ পড়ে কখনো কি মন খারাপ হয়েছে। সংবাদ পড়ে কাউকে কি সাহায্য করেছেন? বা কোনো সাহায্য আবেদনের সংবাদ পড়ে বিরক্ত হয়েছেন?