https://www.facebook.com/shahbaghchattor
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটের কানাইঘাট পৌরশহরে সমাবেশ করছে জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ নামের অরাজনৈতিক সংগঠন। রোববার দুপুরে পৌরশহরের পূর্ব-বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খুল হাদিস জামায়াত-শিবিরের হামলায় আক্রান্ত আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ ডাকা হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জামায়াত প্রকৃত ইসলামী দল নয়। তারা আল্লাহপ্রদত্ত ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত ইসলামে বিশ্বাসী নয়। তারা ইসলামের নামে মওদুদীবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই প্রকৃত ইসলাম রক্ষায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সমাবেশ থেকে কানাইঘাটে জামায়াত-শিবিরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। জামায়াত-শিবির কর্তৃক আল্লামা দুর্লভপুরীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কানাইঘাটের সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার সমন্বয়ে গঠিত ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মাওলানা ইসমাঈল দুর্লভপুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন মাওলানা গোলাম ওয়াহীদ, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রশিদ মক্ববুল, মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা মুবশ্বির আলী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলী, মাওলানা কয়ছর আহমদ, মাওলানা মঈনুদ্দীন, মাওলানা আজমত উল্লাহ, মাওলানা আবদুল করিম, মাওলানা আবদুর রহমান, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা হা. আহমদ সগীর, মাওলানা মামুনুর রশীদ প্রমুখ। ১০ এপ্রিল বিকালে পৌরশহরের নন্দিরাই এলাকায় পুলিশ-শিবির ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় মাওলানা আলীম উদ্দিনের মোটরসাইকেলে ইটের টুকরো পড়ে। ঘটনার পরই প্রতিবাদী জনতা কানাইঘাট পৌর শহরে জামায়াতের ১০টি দোকান, ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।