শাহবাগ স্কয়ারের ফেসবুক পেজ এ লাইক করুন
আমরা তরুন প্রজন্ম এখন এক কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে আমাদের জীবনকে অতিবাহিত করছি। এর মধ্যে কেউ কেউ তাদের অমূল্য জীবনকে বিলিয়েও দিচ্ছেন। এই সময়ের তরুন প্রজন্মের প্রতি আমার আহবান, হে তরুন প্রজন্ম, সাবধান হও সত্যের পথে চলো। মিথ্যা ও ধোকার পথে চলে জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা।
এসময়ে আমরা যারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করে যাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ একটি চক্র নানান ধরনের অপপ্রচার করে যাচ্ছে। যার মধ্যে তরুন প্রজন্মতো আছেই এর সাথে একজন বিচারপতিও সক্রিয় ভাবে জড়িত আরও আছে বিএনপি জামাতের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম। এতে বড় একটা চক্রের অপপ্রচারের হাত থেকে শাহবাগকে মুক্ত করা কত কঠিন তা আমাদের তরুন প্রজন্ম ছাড়াও সকল দেশবাসী ও ধর্মপ্রান সকল মুসলমানকেও অনুধাবন করতে হবে। তনুবা মিথ্যা ও ধোকার মুখে সত্য একে বারেই চাপায় পড়ে যাবে। স্বাধীনতার এই ৪০ বছরে এমন নানা অপপ্রচারে অনেক মিথ্যাই সত্য হয়ে সাধারণ জনগণের মনে গেথে আছে। অপপ্রচার কারীরা ধর্মকে লেবাস ধরে এসব অপকর্ম সাধারণ জনগনের কাছে এমন ভাবে গেথে দিচ্ছেন যারা কখনো তা যাচাই না করেই অন্যের কাছে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন এবং ধর্মভিড়– লোকজন সহজেই তা বিশ্বাস করে তাদের পক্ষ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
দেলোয়ার হোসেন সাইদী সম্পর্কিত কিছু অপপ্রচার এমন ভাবে জনগণকে খাওয়ানো হয়েছে তারাও তা বিশ্বাস করে বসে থাকছেন। তাছাড়া তিনি ওয়াজের নাম করে সুরেলা কণ্ঠে জনগণের অন্তরেও নিজেকে ঠাই করার চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। তিনি ওয়াজের সময় কোরানের অর্থকে নিজের মতো করে অনুবাদ শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল পথ দেখিছে এসেছেন। তরুন প্রজন্মকে মিথ্যা ও ধ্বংসের পথ দেখিয়ে জঙ্গিবাদে ঠেলে দিয়েছেন।
তরুন প্রজন্মকে বুঝিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছাত্র ছিলেন, যুদ্ধের সময়ে কোন রাজনীতি বা রাজাকারের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে, যুদ্ধের সময় তার বয়স ৩০ এর কাছাকাছি ছিল। তার তখন ছেলে ছিল। বলতে পারেন তার ছেলে তখন ছাত্র ছিল। গত বছর তার বড় ছেলে ইন্তেকালের সময় অনেকইে তার সম্পর্কে জেনেছেন। আশা করি এ মিথ্যাটা আর কেউই গ্রাহ্য করবেন না। এ সত্যটুকু অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে তিনি যুদ্ধর সময় সক্রিয় ভাবে রাজাকারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে কর্মরত বিশিষ্ট লেখক হুমায়ুন আহমেদ, ড. জাফর ইকবাল স্যারের মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে নির্মম ভাবে হত্যার সাথে এই দেলোয়ার হোসেন সাইদী সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন।
ধর্মের লেবাসে জামাতের প্রার্থী হয়ে দেলোয়ার হোসেন সাইদী গত কয়েকটি নির্বাচনে এলাকার হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে তার অপর অক্ষের লোকজনদের উপর যে নির্মম অত্যাচার করেছেন ড. হুমায়ুন আজাদ তার পাক সার জমিন সাদ বাদ লেখায় তা ফুটিয়ে তুললে তাকেও নির্মম ভাবে হত্যার চেষ্টা করেন। অবশেষে জার্মানীতে তার মৃত্যুটিও সাভাবিক নয় বলে মনে করা হয়।
আন্তর্জাতিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী এই চক্রটির শক্তি অর্জন করার অন্ততম কারণ হচ্ছে বিশ্ব জঙ্গিবাদের সাথে এর সরাসরি সক্রিয়তা। আপনাকে ইসলামের কথা বলে ইসলামের পথ দেখানো কথা বলে ভুল পথ দেখানোই এদের প্রধান কাজ। জিহাদের কথা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেরা অন্যের নামে অপকর্ম করে ফাসিয়ে তরুন পজ্রন্মকে বিভ্রান্ত করাই এই সংগঠনের অন্ততম কাজ। যেমন, রাজিবের নামের ব্লগ সাইট হ্যাক করে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (স) কে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ব্লগ লিখে ফাসানোর চেষ্টা করে ধরা খেয়েছে চক্রটি। পবিত্র কোরান শরিফ পুড়ে শাহবাগের আন্দোলন কারীদের ফাসানোর চেষ্টাও গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে।
হে তরুন সমাজ, তোমরা যারা বিভ্রান্ত হয়ে জামাত শিবিরের পক্ষ নিয়ে কথা বলছো বা তাদের সাথে সক্রিয় অপকর্মে লিপ্ত আছো, তোমাদের প্রতি আমার আহবান, এক্ষুনি সঠিক পথ চিনতে শিখো। জামাত শিবিরের দেখানো ভুল পথে হেটে এযুগের রাজাকার না হয়ে সঠিক পথে আসো। নিয়মিত নামাজ পড়ার অভ্যাস থাকলে নামাজে আল্লাহর কাছে সঠিক পথ দেখানোর জন্য দোয়া কর। (নামাজের অভ্যাসের কথা বলছি এ জন্য যে জামাত শিবিরের অনেকেই নামাজ না পড়ে একটা ফরমে না পড়েছে বলে লিখে রাখে নইলে নাকি উচ্চ পদ পাওয়া যায়না। এটা আমার নিজের চোখে দেখা।) নিশ্চয়ই আল্লাহ সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন।
হে তরুন প্রজন্মের তোমরা যারা এখন শাহবাগেআন্দোলনের সাথে আছো। তোমরা এদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক প্রচারনা চলোও যাতে এদের অপপ্রচার কোন কাজে না আসে। আর আন্দোলনের সাথে যারা মুসলমান আছো তারা আন্দোলনের পাশাপাশি অনেকেই এখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করছে সকল মুসলমানই নামাজে শরিক হও। ৭১ এ যুদ্ধের সময়ও আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা একই ভাবে দেশ শত্র“ মুক্ত করেছিল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্য ও সঠিক পথের বিজয় করবেন।
জয় বাংলা
তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা / শাহবাগের মোহনা
তুমি কে ? আমি কে ? বাঙ্গালী। বাঙ্গালী।