(১)
ভালোবাসার কথা বললেই তুই
চাল-ডালের হিসেবের খাতাটা হাতে ধরিয়ে দিস।
কেন রে ?
ওই নিরেট কাগজের বিন্যস্ত কালির ছাপটুকুই সব?
স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে সংখ্যাগুলো বুঝি আহামরি কিছু?
চোখের সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটা কি তবে এতোই নগন্য?
মাপিস না রে, মাপিস না তুই
ওই চাল-ডালের বেড়াজালে অামার ভালোবাসা।
ক্ষুধা ফুরালে কাঁদবি ঠিকই
মনের দেশে জড়িয়ে রাখা মনের খোঁজে।।
(২)
ফিরে আসবো তোকে ছুঁয়ে,
নিজ বৃত্তের ছায়া মাড়িয়ে তোর বৃত্তের শুভ্র রেখায় ।
মানবী হয়ে নয়-
এ যে আমার আজন্ম ব্যর্থতা হিসেবের গরমিলে,
কাঁচা হাতের লেখায় ভুল করে নিজের নাম।
তবুও আসতেই হবে -
শ্রাবনের পুকুরঘাটে সিড়ি বেয়ে
চঞ্চলা কিশোরীর সাবধানী পায়ের উচ্ছ্বাসে নয়,
লাল জরীর ফিতায় যত্নে বাধানো চুলের বেণীতে নয়,
তোর চোখ ভেসে যাওয়া অশ্রু হয়ে।
একটি অাশায়-
চোখ গড়িয়ে চিবুক বেয়ে নামতে গিয়ে
হঠাৎ থেমে জড়িয়ে নেব অস্থিরতা তোর।
পুরুষ কি তবে কাঁদে?
তুই কাঁদবি ঠিক কোন এক মাঝ দুপুরের চেতন মনে,
আমাকে ফিরে পাওয়ার করুণ আর্তির গোপন চাওয়ায়।
ভালোবাসা এমন ই রে-
প্রাপ্তির সুখে নেই, হৃদয়ের রক্তক্ষরনে হয়তো,
কাছে টানার সাধ্যে নেই, দূরে থেকে হাহাকার।।