অপার বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে বালিকা
এই তুমি সেই তুমি কিনা
এই তুমি সেই ঘুমহারা কাব্য?
নাকি সেই ধূ ধূ মরুচরের একপশলা বৃষ্টি?
ছুঁয়ে দেওয়া কোন প্রজাপতির রং
নাকি চোখ খুললেই হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া স্বপ্ন?
ক্ষনিকের তরে যে দ্বিধা মনে এসে করে ভর
তাতেই যেন ধরনী পায় মহাকালের স্থিরতা,
বিস্ময়ের ধাক্কা সামলে নিতে না পেরে
চোখের পাতারা কখনোও বা হয় নিজ থেকে বন্দি
অথবা আত্নসমর্পন করে নিজের কাছে, নিজ থেকে,
সামনের তোমাকে দাড় করিয়ে রেখে তাই
অসীমের নীলাকাশ অযথাই খুঁজে।
প্রভাতের সরলতার মতো উদাস দৃষ্টি তব
যেন কোথায় কি রেখে এসেছো কোন এক কালে,
তারপর, চুপি চুপি সেই সব ক্ষণে
দেখে নেয় তোমায় মুগ্ধতায়, তোমারই অদেখায়।
সত্যি কি তোমার অদেখায় তোমাকে দেখা?
অতো চতুরতা কি বালিকার ইচ্ছাবৃত্তে ছিল কোন কালে?
অথবা অতো নির্লিপ্ততা দেখেছে কেউ তোমার মাঝে?
জানে, বালিকা সব জানে,
নিজ দৃষ্টিকে অমন উদাস উদাস রেখে
এ যে বালিকার দৃষ্টিকে মুগ্ধতা ছড়াতে জায়গা করে দেওয়া।
...
...
নিয়ন আলোটুকু ক্রমে তীর্যক হতে থাকে
অস্পষ্টতার চাদর ঘিরে ধরে দূরের মেঠোপথটা
পথচারীদের পদচারনায় ফুটে উঠে ঘরে ফেরার ব্যস্ততা
বালিকার ক্লান্তিহীন চোখের পাতায় নেমে আসে রাত্রির হাহাকার
আর তাতেই দেখে নেয় শেষ বারের মতো
ভালোবাসার কল্প-সিন্ধুর প্রতি বিন্দু কণায়।।