মেঘের সাথে কথা হয়নি, তবু অঝোর বৃষ্টিতে
আবছা দৃষ্টিতে দেখি দিন শেষের বিষাদ আয়োজন
পোড়ানোর গন্ধ-সিঁড়ি বেয়ে পায়ে পায়ে মৃত্যু উঠে আসে
গোপন কোনো উল্লাসে- আমাকে লক্ষ্য করে।
আমার যাবতীয় নিঃসঙ্গতাকে সরিয়ে দিতে
সমবেত বন্ধুরা বুঝি চিৎকার করছিল আমার মৃত্যু শোকে
আর আমি যেন যবনিকার আড়াল থেকে দেখছিলাম
নরম আর একাগ্র দৃষ্টিতে তাদের অশ্রুর বৈভব।
সমুদ্র-ফেনার মতো দুলে উঠছিল তাদের বিলাপ
আর শালবনের নিখাদ নির্জনতার সঙ্গে সঙ্গে
আমার প্রতিটি আঙুলের ডগায় জড়িয়ে নিচ্ছিলাম
স্বীয় অকাল-মৃত্যুর ধূপছায়া ম্লান সাদা-কালো স্মৃতি ।
হু হু হাওয়ার পাখায় আকাশ পানে ভেসে যেতে যেতে
লোকালয়ে ছেড়ে যাচ্ছিলাম ছন্নছাড়া সব কথা ,
অষ্টাদশবর্ষীয়ার সিন্দুকমায়া , রূপোলী স্বপ্নঘোরে
যা লগ্নি করেছিলাম পাঁজরের বাষ্পে, স্নিগ্ধ স্নাত বর্ষাকালে
মধ্যাহ্নের হৃদপিণ্ডের অন্ধকারে পুষ্পিত স্বপ্নগুলো
আমার নিস্পন্দ কায়া করমচালাল যন্ত্রণার কোনো ঝোপে।
=======
উৎসর্গ - ইয়াসমিন আক্তার। ২২-০৬-১৩ আমাদের অফিসের এই কর্মীটি তার খালাতো ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছিলো আমাদেরই অফিস প্রাঙ্গণে , বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দুপুর পৌনে দুইটার দিকে । হাসপাতালে নিতে নিতেই মেয়েটি পথে মারা যায়। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসি করুন।