পুলিশের জরুরী কল-সেন্টার অফিসে এসগার হোলম একজন ক্লান্ত পুলিশ অফিসার যিনি কল রুমে বলতে গেলে শাস্তিমূলক কারনে অবস্থান করছিলেন তার বিরুদ্ধে এক ঘটনার তদন্তের চলাকালীন সময়।। পরেরদিন আদালতে শুনানি হবে সেই ঘটনার।
(ছবি গুগল থেকে নেয়া)
তখনই এক মেয়ের কাছ থেকে ফোনকল আসে।। তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তার প্রশ্নের উত্তর কেবল হ্যাঁ বা না দিতে পেরে, এসগার জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে মহিলার দুটি ছোট বাচ্চা একা বাসা রয়েছে। মহিলাকে তার অপহরণকারী থেকে বাঁচানোর জন্য সময় যতই কমে আসতে থাকে,এসগার অস্থির হয়ে উঠতে থাকে। নানা ঘটনার ভিতরে যাবার পর আবার যখন অপহত মেয়ের ছয় বছরের কন্যার সাথে যোগাযোগ করে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা করে এসগার; তখন ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করে।
পরের ঘটনা কেঁচো খুরতে গিয়ে এক বিশাল অজগর বেড়িয়ে আসার ঘটনাকেও হার মানিয়ে দেয়।মানুষ যে কি আসলে করতে পারে যখন মানুষ অসুর বনে যায়;এ মুভি আপনার চিন্তা-ভাবনায় একটা পরমানু বোমা মেরে সব তছনছ করে দিবে।
এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যেটা কিনা আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরে যে জরুরী পরিষেবা কর্মীদের কীভাবে অজানা আশঙ্কা মাঝে থাকতে হয় পরবর্তী মুহূর্তে কি ঘটবে, তবুও নৈতিকতার কৌশলগুলি এবং মানবিক প্রবৃত্তির মাঝ থেকে সব কিছু মোকাবেলা করতে হয় প্রতিবার।
পরিচালক গুস্তাভ মুলারের সিনেমাটি আসলে ক্রাইম-ড্রামা ঘরানার। সাউন্ড এডিটিং কথায় অসাধারন। সব মিলিয়ে এক মাস্টারপিস মুভি স্ক্যান্ডেনিভিয়ান এলাকা থেকে আসা।
ডেনমার্ক এই মুভিটিকে ৯১তম অস্কারের পাঠিয়েছিলো বিদেশী ভাষার বিভাগে।
মুভিটি আমি এখানকার এক লোকাল টিভি চ্যানেলে দেখেছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১