১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান কালে সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রেখে ছিলেন পিটার । যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সভা-সমাবেশ করে জনমত গঠনে বিশেষ ভুমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য নিউ আমস্টারডাম পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি । ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধকে সপরিবারে হত্যার পর বাঙালি জাতির ক্রান্তিলগ্নে এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে সেনা সরকারের আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করে, পড়ে তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় ।১৯৭৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাভোগ করেন । পরে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মধ্যস্থতায় তাঁকে মুক্তি দেয়া হয় এবং তার বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় । শেখ হাসিনার সরকার ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে তাকে মানবাধিকার রক্ষক ও বাংলাদেশের বন্ধু সম্মাননা দেন ।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ নানা জায়গায় বাংলাদেশের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, জলবায়ু, মৌলবাদ ও যুদ্ধাপরধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন তিনি ।
এমন একজন বাংলাদেশের বন্ধুর বিরুদ্ধে ফেবু সহ কিছু অনলাইন পত্রিকার কলামিষ্ট অপপ্রচার চালাচ্ছে । এই মুখোশধারীদের থেকে সাবধান থাকতে হবে । এরা কাকে কখন নিজ স্বার্থে দেশের শত্রু-মিত্র বানাবে সেটা তারা নিজেরাও হয়তো জানেন না । তাই, জয় বাংলা বলে আগে বাড়লেই হবে না, এই শ্লোগানধারী কিছু লোকের সম্পর্কেও সজাগ থাকতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯